০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টঙ্গীতে হাসপাতালে যৌন হয়রানি, গ্রেফতার চিকিৎসক

  • মধুমতি ডেস্ক :
  • প্রকাশিত সময় : ০৫:০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৬ পড়েছেন

টঙ্গী হোসেন মার্কেট আল-কারীম হাসপাতালে এক নারীকে (২২) যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে ওই চিকিৎসক হাসিবুল ইসলামের খাস কামরায় এ ঘটনা।

জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাসা টঙ্গী দত্তপাড়া বনমালা রেলগেট এলাকায়। তার স্বামী একজন প্রবাসী।

এদিকে হাসিবুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি তার রোগীকে যৌন হারানি করেননি। রোগীর হার্টের রোগের চিকিৎসায় যা যা করণীয় তাই তিনি করছিলেন। হার্টের রোগ নির্ণয়ে বুকে চেকআপ করাকে যদি যৌন হয়রানি বলা হয় তা হলে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করবে কীভাবে?

টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ওসি মামলার বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, ওই নারী হার্টের সমস্যা জনিত কারণে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আল-কারীম ইসলামী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক হাসিবুল ইসলাম তার খাস কামরায় ওই নারীর বিভিন্ন চেকআপ করতে থাকেন। এরই একপর্যায়ে চেকআপের নামে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়াসহ নানা যৌন হয়রানি করতে থাকে চিকিৎসক হাসিবুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যৌন হয়রানির শিকার মিমি ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ৯৯৯ এ ফোন দেন এবং ঘটনাটি তার আত্মীয়স্বজনদের জানান। আত্মীয়-স্বজনরা এসে হাসপাতালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে থাকে এবং চিকিৎসককে তার খাসকামরায় আটকিয়ে রাখে। এ অবস্থায় চিকিৎসক হাসিবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। হাসিবুল ইসলামের বাসা ঢাকার মগবাজারে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিবাহিত ওই নারী নিজেই বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। চিকিৎসককে গ্রেফতার করে আজ গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

টঙ্গীতে হাসপাতালে যৌন হয়রানি, গ্রেফতার চিকিৎসক

প্রকাশিত সময় : ০৫:০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

টঙ্গী হোসেন মার্কেট আল-কারীম হাসপাতালে এক নারীকে (২২) যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে ওই চিকিৎসক হাসিবুল ইসলামের খাস কামরায় এ ঘটনা।

জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাসা টঙ্গী দত্তপাড়া বনমালা রেলগেট এলাকায়। তার স্বামী একজন প্রবাসী।

এদিকে হাসিবুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি তার রোগীকে যৌন হারানি করেননি। রোগীর হার্টের রোগের চিকিৎসায় যা যা করণীয় তাই তিনি করছিলেন। হার্টের রোগ নির্ণয়ে বুকে চেকআপ করাকে যদি যৌন হয়রানি বলা হয় তা হলে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করবে কীভাবে?

টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ওসি মামলার বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, ওই নারী হার্টের সমস্যা জনিত কারণে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আল-কারীম ইসলামী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক হাসিবুল ইসলাম তার খাস কামরায় ওই নারীর বিভিন্ন চেকআপ করতে থাকেন। এরই একপর্যায়ে চেকআপের নামে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়াসহ নানা যৌন হয়রানি করতে থাকে চিকিৎসক হাসিবুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যৌন হয়রানির শিকার মিমি ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ৯৯৯ এ ফোন দেন এবং ঘটনাটি তার আত্মীয়স্বজনদের জানান। আত্মীয়-স্বজনরা এসে হাসপাতালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে থাকে এবং চিকিৎসককে তার খাসকামরায় আটকিয়ে রাখে। এ অবস্থায় চিকিৎসক হাসিবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। হাসিবুল ইসলামের বাসা ঢাকার মগবাজারে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিবাহিত ওই নারী নিজেই বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। চিকিৎসককে গ্রেফতার করে আজ গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।