০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান রবি হত্যা মামলায় আওয়ামী নেতা তারা বিশ্বাস আটক, সন্দেহভাজনদের তালিকায় প্রতিদ্বন্দ্বি, সংসদ সদস্য র্প্রাথী ও ইউপি চেয়ারম্যানগং

  • অফিস ডেক্স :
  • প্রকাশিত সময় : ০৮:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • ১৭ পড়েছেন

####

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবিকে হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আবাসন ব্যবসায়ী মো. আজগর বিশ্বাস ওরফে তারা বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে খুলনা মহানগরীর রায়েরমহল এলাকায় অবস্থিত তারা বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস প্রোর্পাটিজের অফিস থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা ও ডুমুরিয়া থানা পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রোববার (৭ জুলাই) রাতে নিহত ইউপি চেয়ারম্যান রবিউলের স্ত্রী শায়লা ইরিন বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বিগত ২০২১সালের ইউনিয়ণ পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি’র প্রতিপক্ষ র্প্রাথী ও সবশেষ গত ০৯জুন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারের সূত্র ধরে ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহার নেতৃত্বে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের দুইটি টিম নগরীল রায়েরমহল এলাকার বিশ্বাস প্রোপার্টিজের অফিসে অভিযান চালায়। এ  সময় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগর আলী বিশ্বাস(তারা বিশ্বাস)কে আটক করে। আটকের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা বিশ্বাসের আটকের পর ডুমুরিয়া থানা পুলিশ দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তারা বিশ্বাসের মালিকানাধীন বিশ্বাস প্রোপার্টিজের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি শটগান, একটি খেলনা পিস্তল, একটি রিভলবার সদৃশ লাইটার, ৫৭ রাউন্ড কার্তজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করেছে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ তারা বিশ্বাসকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তারা বিশ্বাসকে আটকের বিষয়ে এখনই কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি।

এদিকে, রবিউল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আজগর বিশ্বাসের ছোট ভাই তারেক বিশ্বাস জানান, সোমবার দুপুরের দিকে মহানগরীর রায়েরমহলে অবস্থিত বিশ্বাস প্রোপার্টিজের অফিস থেকে তার বড় ভাই তারা বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে কি অভিযোগে বা কোথায় নিয়ে গেছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।

জানা গেছে, আবাসন ব্যবসায়ী বিশ্বাস প্রোপার্টিজের স্বত্বাধিকারী আজগর বিশ্বাস তারার বিরুদ্ধে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও মহানগরীর রায়েরমহল এবং আডংঘাটা এলাকায় অন্যের জমি জবর দখল ও সরকারী খাল দখল করে ভরাটের মাধ্যমে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি গত ০৯জুন অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

এদিকে, ডুমুরিয়ার আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন শরাফপুরের রবিউল ইসলাম রবি। ২০১১সাল থেকে পরপর তিনবার বিপুল ভোটে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার এ জনপ্রিয়তার কারনেই অসময়ে আততায়ীর হাতে জীবন দিতে হলো। এছাড়া গত জাতীয় সংসদ র্নিবাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের পক্ষ নেওয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বি একজন সংসদ সদস্য র্প্রাথীর বিরোধীতা করায় সে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউলের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ হত্যাকান্ডের তারও মদদ থাকতে পারে। একই সাথে গত ০৯জুন ডুমুরিয়া উপজেলা র্নিবাচনে  স্তানীয় সংসদ সদস্য সর্মিথত উপজেলা চেয়ারম্যান র্প্রাথীর পক্ষ নেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বি একজন আবাসন ব্যবসায়ী র্প্রাথী ও তার অনুসারীরা চেয়ারম্যান রবিউলের উপর ক্ষিপ্ত হয়। সে ঘটনার জেরেও এ হত্যাকান্ডের ঘটনাও ঘটতে পারে। বিশেষ করে রবিকে যেখানে গুলি করা হয় সেই গুটুদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন ও তার সহযোগীরা তারা বিশ্বাসের পক্ষ নিয়ে র্নিবাচনের প্রতিপক্স হিসেবে রবির উপির ক্ষিপ্ত ছিল। গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তুহিন খুলনা নগরীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন হত্যা মামলার আসামী, নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বাহারা র্পাটির পৃষ্ঠপোষক এবং এলাকার ভুমিদস্যদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। পুলিশের হাতে আটককৃত তারা বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্টান বিশ্বাস প্রোর্পাটিজের মাধ্যমে জমি দখল ও সরকারী খাল দখল করে বিক্রির প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকে। রবি হত্যাকান্ডের সাথে তারা বিশ্বাস জড়িত থাকলে তার প্রধান সহযোগী গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনুল ইসলাম তুহিন ও জড়িত বলে মনে করছেন কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগের উপজেলা নেতাবৃন্দ।

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ ও শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্যসহ একাধিক জনপ্রতিনিধি জানান, ইউপি চেযারম্যান রবি সব সময় সন্ত্রাসী ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এছাড়া ২০১১ সালে প্রথম স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী হলেও বিগত ২০১৬ ও ২০২১সালের দুটি ইউপি নির্বাচনে রবিউল ইসলাম দলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে কারনে  তার ওপরে অনেকে ক্ষিপ্ত ছিলেন। এছাড়া সবশেষ গত ০৯জুনের উপজেলা র্নিবাচনেও স্থানীয় সংষদ সদস্যের সর্মিথত র্প্রাথীর পক্ষে কাজ করায় প্রতিদ্বন্দ্বি তারা বিশ্বাসসহ তার পক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ ছিল। এজন্য তারা বিশ্বাসের প্রধান সহযোগী গুটুদিয়া ইউপিসহ কয়েখটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তাদের সহযোগীরাও রবির উপর ক্ষিপ্ত হয়। আজগর বিশ্বাস পরাজিত হওয়ায় তার গ্রুপ ও সহযোগীরাও এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে যা তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসতে পারেবলেও মনে করেন।

খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, ডুমুরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার ঘটনায় পুলিশের তদন্ত ও জড়িতদের সনাক্ত এবং আটকের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সনাক্ত ও দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়ার ওয়াপদা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়ার ০৮নং শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি নিহত হন। ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা শেষে মোটরসাইকেল যোগে খুলনা নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদা এলাকায় পৌছালে ৪-৫জনের একদল সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে  তার অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।  তিনি শরাফপুর ইউনিয়নের তিনবার র্নিবাচিত চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন।  ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

চিতলমারী প্রেসক্লাব সদস্যদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

ডুমুরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান রবি হত্যা মামলায় আওয়ামী নেতা তারা বিশ্বাস আটক, সন্দেহভাজনদের তালিকায় প্রতিদ্বন্দ্বি, সংসদ সদস্য র্প্রাথী ও ইউপি চেয়ারম্যানগং

প্রকাশিত সময় : ০৮:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

####

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবিকে হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আবাসন ব্যবসায়ী মো. আজগর বিশ্বাস ওরফে তারা বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে খুলনা মহানগরীর রায়েরমহল এলাকায় অবস্থিত তারা বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস প্রোর্পাটিজের অফিস থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা ও ডুমুরিয়া থানা পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রোববার (৭ জুলাই) রাতে নিহত ইউপি চেয়ারম্যান রবিউলের স্ত্রী শায়লা ইরিন বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বিগত ২০২১সালের ইউনিয়ণ পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি’র প্রতিপক্ষ র্প্রাথী ও সবশেষ গত ০৯জুন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারের সূত্র ধরে ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহার নেতৃত্বে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের দুইটি টিম নগরীল রায়েরমহল এলাকার বিশ্বাস প্রোপার্টিজের অফিসে অভিযান চালায়। এ  সময় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগর আলী বিশ্বাস(তারা বিশ্বাস)কে আটক করে। আটকের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা বিশ্বাসের আটকের পর ডুমুরিয়া থানা পুলিশ দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তারা বিশ্বাসের মালিকানাধীন বিশ্বাস প্রোপার্টিজের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি শটগান, একটি খেলনা পিস্তল, একটি রিভলবার সদৃশ লাইটার, ৫৭ রাউন্ড কার্তজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করেছে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ তারা বিশ্বাসকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তারা বিশ্বাসকে আটকের বিষয়ে এখনই কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি।

এদিকে, রবিউল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আজগর বিশ্বাসের ছোট ভাই তারেক বিশ্বাস জানান, সোমবার দুপুরের দিকে মহানগরীর রায়েরমহলে অবস্থিত বিশ্বাস প্রোপার্টিজের অফিস থেকে তার বড় ভাই তারা বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে কি অভিযোগে বা কোথায় নিয়ে গেছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।

জানা গেছে, আবাসন ব্যবসায়ী বিশ্বাস প্রোপার্টিজের স্বত্বাধিকারী আজগর বিশ্বাস তারার বিরুদ্ধে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও মহানগরীর রায়েরমহল এবং আডংঘাটা এলাকায় অন্যের জমি জবর দখল ও সরকারী খাল দখল করে ভরাটের মাধ্যমে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি গত ০৯জুন অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

এদিকে, ডুমুরিয়ার আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন শরাফপুরের রবিউল ইসলাম রবি। ২০১১সাল থেকে পরপর তিনবার বিপুল ভোটে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার এ জনপ্রিয়তার কারনেই অসময়ে আততায়ীর হাতে জীবন দিতে হলো। এছাড়া গত জাতীয় সংসদ র্নিবাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের পক্ষ নেওয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বি একজন সংসদ সদস্য র্প্রাথীর বিরোধীতা করায় সে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউলের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ হত্যাকান্ডের তারও মদদ থাকতে পারে। একই সাথে গত ০৯জুন ডুমুরিয়া উপজেলা র্নিবাচনে  স্তানীয় সংসদ সদস্য সর্মিথত উপজেলা চেয়ারম্যান র্প্রাথীর পক্ষ নেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বি একজন আবাসন ব্যবসায়ী র্প্রাথী ও তার অনুসারীরা চেয়ারম্যান রবিউলের উপর ক্ষিপ্ত হয়। সে ঘটনার জেরেও এ হত্যাকান্ডের ঘটনাও ঘটতে পারে। বিশেষ করে রবিকে যেখানে গুলি করা হয় সেই গুটুদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন ও তার সহযোগীরা তারা বিশ্বাসের পক্ষ নিয়ে র্নিবাচনের প্রতিপক্স হিসেবে রবির উপির ক্ষিপ্ত ছিল। গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তুহিন খুলনা নগরীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন হত্যা মামলার আসামী, নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বাহারা র্পাটির পৃষ্ঠপোষক এবং এলাকার ভুমিদস্যদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। পুলিশের হাতে আটককৃত তারা বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্টান বিশ্বাস প্রোর্পাটিজের মাধ্যমে জমি দখল ও সরকারী খাল দখল করে বিক্রির প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকে। রবি হত্যাকান্ডের সাথে তারা বিশ্বাস জড়িত থাকলে তার প্রধান সহযোগী গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনুল ইসলাম তুহিন ও জড়িত বলে মনে করছেন কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগের উপজেলা নেতাবৃন্দ।

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ ও শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্যসহ একাধিক জনপ্রতিনিধি জানান, ইউপি চেযারম্যান রবি সব সময় সন্ত্রাসী ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এছাড়া ২০১১ সালে প্রথম স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী হলেও বিগত ২০১৬ ও ২০২১সালের দুটি ইউপি নির্বাচনে রবিউল ইসলাম দলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে কারনে  তার ওপরে অনেকে ক্ষিপ্ত ছিলেন। এছাড়া সবশেষ গত ০৯জুনের উপজেলা র্নিবাচনেও স্থানীয় সংষদ সদস্যের সর্মিথত র্প্রাথীর পক্ষে কাজ করায় প্রতিদ্বন্দ্বি তারা বিশ্বাসসহ তার পক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ ছিল। এজন্য তারা বিশ্বাসের প্রধান সহযোগী গুটুদিয়া ইউপিসহ কয়েখটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তাদের সহযোগীরাও রবির উপর ক্ষিপ্ত হয়। আজগর বিশ্বাস পরাজিত হওয়ায় তার গ্রুপ ও সহযোগীরাও এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে যা তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসতে পারেবলেও মনে করেন।

খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, ডুমুরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার ঘটনায় পুলিশের তদন্ত ও জড়িতদের সনাক্ত এবং আটকের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সনাক্ত ও দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়ার ওয়াপদা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়ার ০৮নং শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি নিহত হন। ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা শেষে মোটরসাইকেল যোগে খুলনা নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদা এলাকায় পৌছালে ৪-৫জনের একদল সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে  তার অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।  তিনি শরাফপুর ইউনিয়নের তিনবার র্নিবাচিত চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন।  ##