১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএনপি নেতা মফিজের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ করছে এলাকাবাসী

####

খুলনার ডুমুরিয়ায় পানি নিষ্কাশনের লক্ষে শোলমারি ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের সামনে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজ শুরু করেছে। একাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ। গতকাল সকাল থেকে ডুমুরিয়া, রংপুর, গুটুদিয়া ও রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শতশত লোক স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েনে। সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. আরাফাত হোসেন গেটটি পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, পলিপড়ে শোলমারী ১০ ভেন্টের রেগুলেটর দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। বিলডাকাতিয়া, রংপুর, গুটুদিয়া, রঘুনাথপুর ও ডুমুরিয়াসহ আশপাশ এলাকার পানি সরবরাহ একমাত্র পথ শোলমারী সুইচ  গেট। পলিতে ভরাট হওয়াতে এ গেট দিয়ে বের হতে পারছে না পানি। আর এতে প্লাবিত হচ্ছে এসব এলাকা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমন ঘটনা ঘটে আসছে ৫/৬ বছর ধরে। এবার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজের নেতৃত্বে  প্লাবিত বিভিন্ন  এলাকার শতশত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েছেন।

গেট পরিদর্শনে এসে ডুমুরিয়া কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি ও মঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র বৈরাগী বলেন, ‘গেটের মুখে পলি অপসারণ করতে না পারলে ক্রমন্বয়ে এ অ লের সব এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। বিএনপি নেতা মোল্যা মোশাররফ হোসেনের ডাকে ব্যাপক সাড়া দিয়ে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত মানুষ পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েছেন। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে‘ন তিনি।’ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে একাজে অংশ গ্রহনের জন্য ট্রাক, আলমসাধুসহ বিভিন্ন গাড়ি পাঠিয়েছেনও মোল্যা মফিজ।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ বলেছেন, ‘ডুমুরিয়াসহ উত্তরা লের ৫/৬টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির মৎস্য ঘের, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কাঁচা বসতবাড়ি। পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার ফসলী জমিসহ ঘের বাঁচাতে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি।’ তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য তিনি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, শোলমারি ১০ ভেন্ট রেগুলেটরে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দে ২টি মটর স্থাপন প্রকল্প অনুমোদিত রয়েছে। যা টেন্ডারও হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে ঝুলে আছে মটর স্থাপনের একাজ। যে কারণে হুমকীতে পড়েছে বৃহত এই এলাকা। অচীরে মটর স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএনপি নেতা মফিজের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ করছে এলাকাবাসী

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

####

খুলনার ডুমুরিয়ায় পানি নিষ্কাশনের লক্ষে শোলমারি ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের সামনে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজ শুরু করেছে। একাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ। গতকাল সকাল থেকে ডুমুরিয়া, রংপুর, গুটুদিয়া ও রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শতশত লোক স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েনে। সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. আরাফাত হোসেন গেটটি পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, পলিপড়ে শোলমারী ১০ ভেন্টের রেগুলেটর দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। বিলডাকাতিয়া, রংপুর, গুটুদিয়া, রঘুনাথপুর ও ডুমুরিয়াসহ আশপাশ এলাকার পানি সরবরাহ একমাত্র পথ শোলমারী সুইচ  গেট। পলিতে ভরাট হওয়াতে এ গেট দিয়ে বের হতে পারছে না পানি। আর এতে প্লাবিত হচ্ছে এসব এলাকা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমন ঘটনা ঘটে আসছে ৫/৬ বছর ধরে। এবার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজের নেতৃত্বে  প্লাবিত বিভিন্ন  এলাকার শতশত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েছেন।

গেট পরিদর্শনে এসে ডুমুরিয়া কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি ও মঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র বৈরাগী বলেন, ‘গেটের মুখে পলি অপসারণ করতে না পারলে ক্রমন্বয়ে এ অ লের সব এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। বিএনপি নেতা মোল্যা মোশাররফ হোসেনের ডাকে ব্যাপক সাড়া দিয়ে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত মানুষ পলি অপসারণ কাজে নেমে পড়েছেন। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে‘ন তিনি।’ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে একাজে অংশ গ্রহনের জন্য ট্রাক, আলমসাধুসহ বিভিন্ন গাড়ি পাঠিয়েছেনও মোল্যা মফিজ।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ বলেছেন, ‘ডুমুরিয়াসহ উত্তরা লের ৫/৬টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির মৎস্য ঘের, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কাঁচা বসতবাড়ি। পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার ফসলী জমিসহ ঘের বাঁচাতে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি।’ তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য তিনি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, শোলমারি ১০ ভেন্ট রেগুলেটরে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দে ২টি মটর স্থাপন প্রকল্প অনুমোদিত রয়েছে। যা টেন্ডারও হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে ঝুলে আছে মটর স্থাপনের একাজ। যে কারণে হুমকীতে পড়েছে বৃহত এই এলাকা। অচীরে মটর স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ##