০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়ার চুকনগরে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন জেলা পরিষদের সুপার মার্কেট, সুফল পাবে ব্যবসায়ীরা

####

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদদের রক্তেস্নাত খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে জেলা পরিষদের দীর্ঘকাল পরিত্যক্ত ৫৬শতক জমির উপর নির্মিত হচ্ছে একটি দৃষ্টিনন্দন সুপার মার্কেট। মার্কেটটি নির্মিত হলে এর সুফল ভোগ করবে এ বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এটি খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার সংযোগস্থল ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক নগরী ও খুলনার প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত চুকনগর বাজারের যতিন কাশেম রোডের ভদ্রা নদীর গা ঘেষে নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। মার্কেটটি নির্মিত হলে বানিজ্যিকভাবে অনেক সুফল পাবে তিন জেলার মানুষ। তাদের বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা করার জন্য জেলা শহর খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরে যাওয়া লাগবে না। এক মার্কেটের সবকিছু পাওয়া যাবে। এখানে এক মার্কেটে মোট ১২৬টি ঘর নির্মিত হচ্ছে।
চুকনগর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, বর্তমানে চুকনগর বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিতে গেলে ২০-২৫ লক্ষ টাকা জামানত ও ১৫-২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হচ্ছে। তারপরও দোকান বন্ধ করে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না। এখানে অধিকাংশ দোকানের চাল টিনশেট হওয়ায় বিভিন্ন সময় চুরির ঘটনা ঘটছে। ঘর গুলো টিনশেট হওয়ায় চোরেরা এ চুরির সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। তবে মার্কেটটি ছাঁদ দিলে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে নিরাপদে ঘুমাতে পারবে। এদিকে পর্যাপ্ত ভাড়া ও জামানত দেওয়ার পর ঘর মালিকের সাথে সামান্য মনোমালিন্য হলে তাকে ঘর থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এরকম ঘটনা ইতিমধ্যে একাধিকবার ঘটেছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন। সেক্ষেত্রে জেলা পরিষদের জায়গা বরাদ্দ নিলে ব্যবসায়ীদের এই জাতীয় কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। ব্যবসায়ীরা বলেন, দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র চুকনগর। ৩টি জেলা তথা খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর এবং শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত নওয়াপাড়ার সংযোগস্থল হওয়াই বানিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে চুকনগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলা বেনাপোল স্থল বন্দর ও ভোমরা স্থল বন্দরের সাথেও অবাধ চলাচল ব্যবস্থার সুযোগ রয়েছে । সর্বদিক থেকে যোগাযোগের সহজলভ্যতা থাকায় অনেক দূর দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা চুকনগরে ব্যবসা করতে আসেন । এরফলে চুকনগর বাজারে ব্যবসা বানিজ্যের একটি অনন্য স্থান হিসাবে খুলনা বিভাগসহ বাংলাদেশে সুপরিচিতি লাভ করেছে । চুকনগরে ব্যবসায়ীক পরিধি আরো অনেক বাড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু চুকনগর একটি ইউনিয়নের বাজার হওয়াই বাজারটির পর্যাপ্ত জায়গার সংকট রয়েছে। এছাড়া বাজারের কিছু অসাধু ঘর মালিক এই সুযোগকে পুঁজি করে ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে ২০-২৫ লক্ষ টাকা জামানতসহ মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।একারনে ব্যবসায়ীরা ঘর মালিকের নিকট এক প্রকার জিম্মি হয়ে দূর দুরান্ত থেকে চুকনগরে আসা ব্যবসায়ীরা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অনেকে নিঃস্ব হয়ে ব্যবসা ছেড়ে পালিয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত ৫৬শতক জমিতে এই মার্কেট ব্যবসায়ীদের মনে আনন্দের সঞ্চার যুগিয়েছে। যেখানে একই সাথে শতাধিক ব্যবসায়ীর ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। জেলা পরিষদ সুলভ মূল্যে ঘর প্রদানের ব্যবস্থা করেছে । খুলনা বিভাগের অনেক শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চুকনগর বাজারে ব্যবসা করেন ।

খুলনা জেলার গত দুই অর্থ বছরের সেরা করদাতা চুকনগর বাজারের ব্যবসায়ী জয়দেব মন্ডল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে চুকনগর বাজারে ব্যবসা করি । আমার ব্যবসার যে পরিধি সেখানে বর্তমানে ঘরের সংকট রয়েছে। যার জন্য আমার ব্যবসা করতে অসুবিধা হচ্ছে। জেলা পরিষদের মার্কেট হলে সেখানে দোকান বরাদ্ধ নিতে পারলে আমার ব্যবসা করতে সুবিধা হবে। চুকনগরসহ আশেপাশের সাধারন জনগন এই জেলা পরিষদ মার্কেট হওয়াই খুশি। কারন জেলা পরিষদ মার্কেটের মাধ্যমে এই এলাকার অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের মহাসড়কে। সেখানে চুকনগরের মত বানিজ্যিক এলাকায় আগের আমলের সেমি পাকা ঘর চিন্তা করা যায় না। এছাড়া চুকনগর পুরাতন বাজার হলেও সংস্কারের অভাবে অনেক দোকানপাট জরাজীর্ন অবস্থায় আছে। বিভিন্ন সময় চুরি সংঘটিত হয়েছে । যার ফলে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে থাকে। ব্যবসা করতে অনীহা প্রকাশ করছে অনেকে। অনেক হাঁট বাজারে সরকার কয়েক তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন চাঁদনী তৈরির প্রকল্প গ্রহন করার উদ্যোগ নিয়েছে । এরফলে জেলা পরিষদ মার্কেটটি ছাঁদ যুক্ত হলে এই ঐতিহাসিক চুকনগর বাজারটির শ্রী বৃদ্ধি পাবে এবং দৃষ্টিনন্দন একটি মার্কেট হবে । যেখানে চুরির শঙ্কাও কমে যাবে এবং ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারবে।

আদর্শ বস্ত্রালয় ও আদর্শ মটরস এর সত্ত্বাধিকারী জয়দেব আঢ্য বলেন, চুকনগর বাজারে পরিত্যক্ত জেলা পরিষদের জায়গায় এমন একটি সুপার মার্কেট নির্মাণ করছেন জেলা পরিষদ। যা দেখলে সবার মন জুড়িয়ে যাবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ একটি দৃষ্টিনন্দন মার্কেট উপহার দিতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ। এজাতীয মার্কেট ইতিপূর্বে আমি কোথায় দেখিনি। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত স্থান নোংরা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকবে এটা কখনো হতে পারে না।

চুকনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম ও সাধারণ সম্পাদক সরদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে খুলনা জেলা পরিষদ চুকনগর বাজারে একটি দৃষ্টিনন্দন মার্কেট নির্মাণ করছে, এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ সরকারের ৫৬শতক জমি দীর্ঘকাল ধরে ফেলানো বলে,লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এখানে একটি সুপার মার্কেট হওয়ায় চুকনগর বাজারের ব্যবসায়ীরা অনেক সুফল ভোগ করবে।

জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, চুকনগর বাজারে ব্যবসায়ীদের অনেক চাহিদা। এটি অনেক বড় বাজার। প্রয়োজনের তুলনায় দোকান অনেক কম। তাছাড়া জেলা পরিষদের জায়গাটি দীর্ঘদিন ফেলানো ছিল। এখানে মানুষ ময়লা আবর্জনা ফেলতো। এতে একদম অপরিচ্ছন্ন ও আর্বজনার গন্ধে মানুষের সমস্যা হতো।  র্মাকেট র্নিমান হওয়ায় জায়গাটি পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন হবে। মানুসের অনেক সুযোগ-সুবিধা তৈরী হবে। এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। অন্যদিকে, জেলা পরিসদের রাজস্বও বাড়বে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

ডুমুরিয়ার চুকনগরে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন জেলা পরিষদের সুপার মার্কেট, সুফল পাবে ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত সময় : ০৬:২৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

####

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদদের রক্তেস্নাত খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে জেলা পরিষদের দীর্ঘকাল পরিত্যক্ত ৫৬শতক জমির উপর নির্মিত হচ্ছে একটি দৃষ্টিনন্দন সুপার মার্কেট। মার্কেটটি নির্মিত হলে এর সুফল ভোগ করবে এ বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এটি খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার সংযোগস্থল ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক নগরী ও খুলনার প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত চুকনগর বাজারের যতিন কাশেম রোডের ভদ্রা নদীর গা ঘেষে নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। মার্কেটটি নির্মিত হলে বানিজ্যিকভাবে অনেক সুফল পাবে তিন জেলার মানুষ। তাদের বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা করার জন্য জেলা শহর খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরে যাওয়া লাগবে না। এক মার্কেটের সবকিছু পাওয়া যাবে। এখানে এক মার্কেটে মোট ১২৬টি ঘর নির্মিত হচ্ছে।
চুকনগর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, বর্তমানে চুকনগর বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিতে গেলে ২০-২৫ লক্ষ টাকা জামানত ও ১৫-২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হচ্ছে। তারপরও দোকান বন্ধ করে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না। এখানে অধিকাংশ দোকানের চাল টিনশেট হওয়ায় বিভিন্ন সময় চুরির ঘটনা ঘটছে। ঘর গুলো টিনশেট হওয়ায় চোরেরা এ চুরির সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। তবে মার্কেটটি ছাঁদ দিলে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে নিরাপদে ঘুমাতে পারবে। এদিকে পর্যাপ্ত ভাড়া ও জামানত দেওয়ার পর ঘর মালিকের সাথে সামান্য মনোমালিন্য হলে তাকে ঘর থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এরকম ঘটনা ইতিমধ্যে একাধিকবার ঘটেছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন। সেক্ষেত্রে জেলা পরিষদের জায়গা বরাদ্দ নিলে ব্যবসায়ীদের এই জাতীয় কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। ব্যবসায়ীরা বলেন, দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র চুকনগর। ৩টি জেলা তথা খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর এবং শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত নওয়াপাড়ার সংযোগস্থল হওয়াই বানিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে চুকনগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলা বেনাপোল স্থল বন্দর ও ভোমরা স্থল বন্দরের সাথেও অবাধ চলাচল ব্যবস্থার সুযোগ রয়েছে । সর্বদিক থেকে যোগাযোগের সহজলভ্যতা থাকায় অনেক দূর দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা চুকনগরে ব্যবসা করতে আসেন । এরফলে চুকনগর বাজারে ব্যবসা বানিজ্যের একটি অনন্য স্থান হিসাবে খুলনা বিভাগসহ বাংলাদেশে সুপরিচিতি লাভ করেছে । চুকনগরে ব্যবসায়ীক পরিধি আরো অনেক বাড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু চুকনগর একটি ইউনিয়নের বাজার হওয়াই বাজারটির পর্যাপ্ত জায়গার সংকট রয়েছে। এছাড়া বাজারের কিছু অসাধু ঘর মালিক এই সুযোগকে পুঁজি করে ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে ২০-২৫ লক্ষ টাকা জামানতসহ মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।একারনে ব্যবসায়ীরা ঘর মালিকের নিকট এক প্রকার জিম্মি হয়ে দূর দুরান্ত থেকে চুকনগরে আসা ব্যবসায়ীরা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অনেকে নিঃস্ব হয়ে ব্যবসা ছেড়ে পালিয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত ৫৬শতক জমিতে এই মার্কেট ব্যবসায়ীদের মনে আনন্দের সঞ্চার যুগিয়েছে। যেখানে একই সাথে শতাধিক ব্যবসায়ীর ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। জেলা পরিষদ সুলভ মূল্যে ঘর প্রদানের ব্যবস্থা করেছে । খুলনা বিভাগের অনেক শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চুকনগর বাজারে ব্যবসা করেন ।

খুলনা জেলার গত দুই অর্থ বছরের সেরা করদাতা চুকনগর বাজারের ব্যবসায়ী জয়দেব মন্ডল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে চুকনগর বাজারে ব্যবসা করি । আমার ব্যবসার যে পরিধি সেখানে বর্তমানে ঘরের সংকট রয়েছে। যার জন্য আমার ব্যবসা করতে অসুবিধা হচ্ছে। জেলা পরিষদের মার্কেট হলে সেখানে দোকান বরাদ্ধ নিতে পারলে আমার ব্যবসা করতে সুবিধা হবে। চুকনগরসহ আশেপাশের সাধারন জনগন এই জেলা পরিষদ মার্কেট হওয়াই খুশি। কারন জেলা পরিষদ মার্কেটের মাধ্যমে এই এলাকার অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের মহাসড়কে। সেখানে চুকনগরের মত বানিজ্যিক এলাকায় আগের আমলের সেমি পাকা ঘর চিন্তা করা যায় না। এছাড়া চুকনগর পুরাতন বাজার হলেও সংস্কারের অভাবে অনেক দোকানপাট জরাজীর্ন অবস্থায় আছে। বিভিন্ন সময় চুরি সংঘটিত হয়েছে । যার ফলে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে থাকে। ব্যবসা করতে অনীহা প্রকাশ করছে অনেকে। অনেক হাঁট বাজারে সরকার কয়েক তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন চাঁদনী তৈরির প্রকল্প গ্রহন করার উদ্যোগ নিয়েছে । এরফলে জেলা পরিষদ মার্কেটটি ছাঁদ যুক্ত হলে এই ঐতিহাসিক চুকনগর বাজারটির শ্রী বৃদ্ধি পাবে এবং দৃষ্টিনন্দন একটি মার্কেট হবে । যেখানে চুরির শঙ্কাও কমে যাবে এবং ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারবে।

আদর্শ বস্ত্রালয় ও আদর্শ মটরস এর সত্ত্বাধিকারী জয়দেব আঢ্য বলেন, চুকনগর বাজারে পরিত্যক্ত জেলা পরিষদের জায়গায় এমন একটি সুপার মার্কেট নির্মাণ করছেন জেলা পরিষদ। যা দেখলে সবার মন জুড়িয়ে যাবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ একটি দৃষ্টিনন্দন মার্কেট উপহার দিতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ। এজাতীয মার্কেট ইতিপূর্বে আমি কোথায় দেখিনি। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত স্থান নোংরা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকবে এটা কখনো হতে পারে না।

চুকনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম ও সাধারণ সম্পাদক সরদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে খুলনা জেলা পরিষদ চুকনগর বাজারে একটি দৃষ্টিনন্দন মার্কেট নির্মাণ করছে, এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ সরকারের ৫৬শতক জমি দীর্ঘকাল ধরে ফেলানো বলে,লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এখানে একটি সুপার মার্কেট হওয়ায় চুকনগর বাজারের ব্যবসায়ীরা অনেক সুফল ভোগ করবে।

জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, চুকনগর বাজারে ব্যবসায়ীদের অনেক চাহিদা। এটি অনেক বড় বাজার। প্রয়োজনের তুলনায় দোকান অনেক কম। তাছাড়া জেলা পরিষদের জায়গাটি দীর্ঘদিন ফেলানো ছিল। এখানে মানুষ ময়লা আবর্জনা ফেলতো। এতে একদম অপরিচ্ছন্ন ও আর্বজনার গন্ধে মানুষের সমস্যা হতো।  র্মাকেট র্নিমান হওয়ায় জায়গাটি পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন হবে। মানুসের অনেক সুযোগ-সুবিধা তৈরী হবে। এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। অন্যদিকে, জেলা পরিসদের রাজস্বও বাড়বে। ##