১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পূনঃগননার দাবি

####
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফলাফল ঘোষণায় কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট পূনঃগননার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা। গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট গ্রহণের শেষ সময় (বিকাল ৪টা) পর্যন্ত প্রিসাইর্ডিং অফিসারদের ভোট কাউন্টিংয়ের শতাংশের সাথে ফলাফলের ঘোষিত শতাংশের ব্যাপক গড়মিল দেখা যায়। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভোট গণনা পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশে ভোট প্রদানের শতকরা হারের ব্যাপক পার্থক্যের কারণ জানতে ও পূনঃগণনার মাধ্যমে সঠিকভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিজিৎ রায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।
প্রার্থীর আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ৯ই জুন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে দায়িত্বপালনরত বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারগণ ভোট গ্রহণের শুরু থেকে ২ ঘন্টা পরপর অর্থ্যাৎ সকাল দশটা, দুপুর বারোটা, দুইটা  এবং ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সর্বশেষ সময় বিকাল চারটায় ভোটার উপস্থিতির পরিস্থিতি প্রতিবেদন পৃথকভাবে সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান করেন। যা প্রতি ২ ঘন্টা পরপর সহকারী রিটার্নিং অফিসার একটি ছকের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন। নির্ধারিত ছকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় প্রথম ২ ঘন্টায় অর্থ্যাৎ সকাল ১০টায় প্রদত্ত মোট ভোট ১৪ হাজার ৬শ ২৮ যা মোট ভোটের ৫.৩৫ শতাংশ। বেলা ২টায় প্রদত্ত মোট ভোট ৭৫ হাজার ৪শ ৮৯ যা মোট ভোটের শতকরা ২৭.৬৪। বিকাল ৪টায় অর্থ্যাৎ সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী প্রদত্ত মোট ভোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮শ ৯৯ যা মোট ভোটের ৩৯.৫০ শতাংশ। কিন্তু রাত ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন স্বাক্ষরিত প্রাথমিক বেসরকারী ফলাফলের বার্তা প্রেরণ শিটে প্রদত্ত ভোট ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯শ ৩৪ যা মোট ভোটের শতকরা ৫০.৮৭ শতাংশ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বিকাল ৪ টা থেকে রাতের ফলাফল প্রকাশের মধ্যবর্তী সময়ে প্রায় ১১ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রার্থী, কর্মী সমার্থক ও ভোটারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলাফল নিয়ে প্রার্থীদের মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ভোট গণনা পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশে ভোট প্রদানের শতকরা হারের ব্যাপক পার্থক্যের কারণ জানতে ও পূনঃগণনার মাধ্যমে সঠিকভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিজিৎ রায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেন।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিজিৎ রায় জানান, গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট গ্রহণের শেষ সময় (বিকাল ৪টা) পর্যন্ত প্রিসাইর্ডিং অফিসারদের ভোট কাউন্টিংয়ের শতাংশের সাথে রাত ১১ টায়  ফলাফলের ঘোষিত শতাংশের ব্যাপক গড়মিল দেখা যায়। বিকাল ৪টায় ৩৯.৫০ শতাংশ দেখানোর পরে রাত ১১টায় চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সময় ৫০.৮৭ শতাংশ দেখানো হয়। যেখানে ১১ শতাংশ বেশি ভোট দেখানো হয়। যা কাস্টিং ভোটের প্রায় ৩০ হাজার। এ স্বাভাবিক ভোট বৃদ্ধির ফলাফল  প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ, ধুম্রজাল ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তাই ভোট গণনা পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশে ভোট প্রদানের শতকরা হারের ব্যাপক পার্থক্যের কারণ জানতে ও পূনঃগণনার মাধ্যমে সঠিকভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য আমি রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেছি। ঈদের ছুটি শেষ হলে বিষয়টি সূরাহার জন্য আমি মহামান্য হাইকোর্টের দারস্থ হবো।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, আমরা ভোটের দিন বিকাল ৪টায় নির্বাচন কমিশনে ভোটের যে ফলাফল পাঠিয়েছি সেটা কোন কোন কেন্দ্রের বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল ছিল। প্রিজাইডিং অফিসাররা চূড়ান্ত গণনার পরে যে ফলাফল শীট আমাদের দিয়েছেন সে অনুযায়ী মোট ভোটের হার দাঁড়িয়েছে ৫০.৮৭ শতাংশ। ভোটের ফলাফলের অস্বাভাবিকতার বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে প্রার্থী আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা বলেছি ফলাফল ঘোষণা পর আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। কোন প্রতিকার পেতে হলে তাকে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পূনঃগননার দাবি

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

####
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফলাফল ঘোষণায় কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট পূনঃগননার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা। গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট গ্রহণের শেষ সময় (বিকাল ৪টা) পর্যন্ত প্রিসাইর্ডিং অফিসারদের ভোট কাউন্টিংয়ের শতাংশের সাথে ফলাফলের ঘোষিত শতাংশের ব্যাপক গড়মিল দেখা যায়। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভোট গণনা পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশে ভোট প্রদানের শতকরা হারের ব্যাপক পার্থক্যের কারণ জানতে ও পূনঃগণনার মাধ্যমে সঠিকভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিজিৎ রায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।
প্রার্থীর আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ৯ই জুন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে দায়িত্বপালনরত বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারগণ ভোট গ্রহণের শুরু থেকে ২ ঘন্টা পরপর অর্থ্যাৎ সকাল দশটা, দুপুর বারোটা, দুইটা  এবং ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সর্বশেষ সময় বিকাল চারটায় ভোটার উপস্থিতির পরিস্থিতি প্রতিবেদন পৃথকভাবে সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান করেন। যা প্রতি ২ ঘন্টা পরপর সহকারী রিটার্নিং অফিসার একটি ছকের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন। নির্ধারিত ছকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় প্রথম ২ ঘন্টায় অর্থ্যাৎ সকাল ১০টায় প্রদত্ত মোট ভোট ১৪ হাজার ৬শ ২৮ যা মোট ভোটের ৫.৩৫ শতাংশ। বেলা ২টায় প্রদত্ত মোট ভোট ৭৫ হাজার ৪শ ৮৯ যা মোট ভোটের শতকরা ২৭.৬৪। বিকাল ৪টায় অর্থ্যাৎ সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী প্রদত্ত মোট ভোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮শ ৯৯ যা মোট ভোটের ৩৯.৫০ শতাংশ। কিন্তু রাত ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন স্বাক্ষরিত প্রাথমিক বেসরকারী ফলাফলের বার্তা প্রেরণ শিটে প্রদত্ত ভোট ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯শ ৩৪ যা মোট ভোটের শতকরা ৫০.৮৭ শতাংশ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বিকাল ৪ টা থেকে রাতের ফলাফল প্রকাশের মধ্যবর্তী সময়ে প্রায় ১১ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রার্থী, কর্মী সমার্থক ও ভোটারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলাফল নিয়ে প্রার্থীদের মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ভোট গণনা পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশে ভোট প্রদানের শতকরা হারের ব্যাপক পার্থক্যের কারণ জানতে ও পূনঃগণনার মাধ্যমে সঠিকভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিজিৎ রায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেন।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিজিৎ রায় জানান, গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট গ্রহণের শেষ সময় (বিকাল ৪টা) পর্যন্ত প্রিসাইর্ডিং অফিসারদের ভোট কাউন্টিংয়ের শতাংশের সাথে রাত ১১ টায়  ফলাফলের ঘোষিত শতাংশের ব্যাপক গড়মিল দেখা যায়। বিকাল ৪টায় ৩৯.৫০ শতাংশ দেখানোর পরে রাত ১১টায় চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সময় ৫০.৮৭ শতাংশ দেখানো হয়। যেখানে ১১ শতাংশ বেশি ভোট দেখানো হয়। যা কাস্টিং ভোটের প্রায় ৩০ হাজার। এ স্বাভাবিক ভোট বৃদ্ধির ফলাফল  প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ, ধুম্রজাল ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তাই ভোট গণনা পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশে ভোট প্রদানের শতকরা হারের ব্যাপক পার্থক্যের কারণ জানতে ও পূনঃগণনার মাধ্যমে সঠিকভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য আমি রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেছি। ঈদের ছুটি শেষ হলে বিষয়টি সূরাহার জন্য আমি মহামান্য হাইকোর্টের দারস্থ হবো।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, আমরা ভোটের দিন বিকাল ৪টায় নির্বাচন কমিশনে ভোটের যে ফলাফল পাঠিয়েছি সেটা কোন কোন কেন্দ্রের বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল ছিল। প্রিজাইডিং অফিসাররা চূড়ান্ত গণনার পরে যে ফলাফল শীট আমাদের দিয়েছেন সে অনুযায়ী মোট ভোটের হার দাঁড়িয়েছে ৫০.৮৭ শতাংশ। ভোটের ফলাফলের অস্বাভাবিকতার বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে প্রার্থী আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা বলেছি ফলাফল ঘোষণা পর আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। কোন প্রতিকার পেতে হলে তাকে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে।