০২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুমুরিয়া-ফুলতলা-অভয়নগর-কেশবপুর-মনিরামপুর উপজেলা জলাবদ্ধতা নিরসনে ভাসমান স্কেভেটরে পলি অপসারণ শুরু

####

সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় শোলমারী ¯øুইচ গেটের সামনের পলি অপসারণের জন্য ভাসমান স্কেভেটর দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।
খুলনা-যশোরের ডুমুরিয়া-ফুলতলা-অভয়নগর-কেশবপুর-মনিরামপুর উপজেলা জুড়ে বিশাল বিল ডাকাতিয়া-সহ সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার সিমাহীন জলাবদ্ধতা নিরসনের অন্যতম পথই হলো ডুমুরিয়া উপজেলার কৈয়া এলাকার শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটর। ৯০ এর দশকে বিল ডাকাতিয়া-সহ এতদা লের পানি নিষ্কাশনের জন্য কেজেডিআরপি’র আওতায় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ওই ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের সামনে তথা শোলমারী নদীতে পলি জমে যাওয়ায় ভেতরের পানি ঠিকমতো রেব হতে পারছে না। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা নরিসনের লক্ষ্যে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও আশানুরুপ ফল মেলেনি।
তাছাড়া সাম্প্রতিক অতি বর্ষণে সমগ্র বিল-ডাকাতিয়া-সহ ডুমুরিয়া উপজেলার অসংখ্য চিংড়ি ঘের ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় অগণিত মানুষ চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দাবির প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সকালে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড’র পক্ষ থেকে ২টি বড় আকারের ‘ভাসমান স্কেভেটর’ দিয়ে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের সামনের পলি অপসারণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
বহুল প্রত্যাশিত এক কাজ শুরু উপলক্ষে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভ‚মি) আরাফাত হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সমরেশ মন্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম-সহ কয়েক’শ পানিবন্দি মানুষ সেখানে উপস্থিত হন।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরলস চেষ্টারত ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এতোদিন আশা করতে পারছিলাম না। আজ আশা করছি, ২-৩ দিনের মধ্যে সুফল পাবো। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহমান তাজকিয়া বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এলাকার পানি না কমা পর্যন্ত এই কাজ অব্যাহত থাকবে। তবে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সামনের মৌসুমে বড় প্রকল্প নেওয়া হবে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গলাচিপায় বিভিন্ন দাবীতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন

ডুমুরিয়া-ফুলতলা-অভয়নগর-কেশবপুর-মনিরামপুর উপজেলা জলাবদ্ধতা নিরসনে ভাসমান স্কেভেটরে পলি অপসারণ শুরু

প্রকাশিত সময় : ১০:২৩:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় শোলমারী ¯øুইচ গেটের সামনের পলি অপসারণের জন্য ভাসমান স্কেভেটর দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।
খুলনা-যশোরের ডুমুরিয়া-ফুলতলা-অভয়নগর-কেশবপুর-মনিরামপুর উপজেলা জুড়ে বিশাল বিল ডাকাতিয়া-সহ সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার সিমাহীন জলাবদ্ধতা নিরসনের অন্যতম পথই হলো ডুমুরিয়া উপজেলার কৈয়া এলাকার শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটর। ৯০ এর দশকে বিল ডাকাতিয়া-সহ এতদা লের পানি নিষ্কাশনের জন্য কেজেডিআরপি’র আওতায় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ওই ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের সামনে তথা শোলমারী নদীতে পলি জমে যাওয়ায় ভেতরের পানি ঠিকমতো রেব হতে পারছে না। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা নরিসনের লক্ষ্যে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও আশানুরুপ ফল মেলেনি।
তাছাড়া সাম্প্রতিক অতি বর্ষণে সমগ্র বিল-ডাকাতিয়া-সহ ডুমুরিয়া উপজেলার অসংখ্য চিংড়ি ঘের ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় অগণিত মানুষ চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দাবির প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সকালে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড’র পক্ষ থেকে ২টি বড় আকারের ‘ভাসমান স্কেভেটর’ দিয়ে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের সামনের পলি অপসারণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
বহুল প্রত্যাশিত এক কাজ শুরু উপলক্ষে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভ‚মি) আরাফাত হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সমরেশ মন্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম-সহ কয়েক’শ পানিবন্দি মানুষ সেখানে উপস্থিত হন।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরলস চেষ্টারত ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এতোদিন আশা করতে পারছিলাম না। আজ আশা করছি, ২-৩ দিনের মধ্যে সুফল পাবো। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহমান তাজকিয়া বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এলাকার পানি না কমা পর্যন্ত এই কাজ অব্যাহত থাকবে। তবে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সামনের মৌসুমে বড় প্রকল্প নেওয়া হবে।