###   ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা বলেছেন, নারীদের প্রতিনিধি বাড়াতে হলে অবশ্যই তৃণমূল থেকেই তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তৃণমূলে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে ইএএলজি প্রকল্পভুক্ত পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নের মডেল হবে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পর্যায়ে নারীরা ভূমিকা রাখতেও সক্ষম হবে।এতে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বেশি বেশি বাড়াতে হবে। নারী জনপ্রতিনিধিদের পরিষদের আইন সম্পর্কে জানতে হবে। উন্নয়ন কার্যক্রমসহ প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারীর কার্যকরী অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন আরও বেশী প্রয়োজন। পাশাপাশি নারী যদি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয় তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে সে অবদান রাখতে পারবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার (ইএএলজি) প্রকল্পের সহযোগিতায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারীর অংশগ্রহণে বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যত করনীয় বিষয়ক সম্মেলনের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নারী প্রতিনিধিদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যথাযথ সুযোগ না পাওয়া। নারীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তিই পারে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ যতদিন শক্তিশালী না হবে ততদিন সুশাসন নিশ্চিত হবে না। সুশাসন নিশ্চিত না হলে দুর্নীতিও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না বলে জানান। এসময় সম্মেলন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ তাসলিমা আলী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাশউদা হোসেন, ইউএনডিপি ইএএলজি’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর মোঃ মনির হোসেন মজুমদার। দিনব্যাপী সম্মেলনে জেলার ইএএলজি প্রকল্পভুক্ত ২টা পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর, ৯’উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন। ##