১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেরখাদায় বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলো দুই কিশোরী

তেরখাদায় বাল্য বিবাহ দেওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পৃথক পৃথক অভিযানে দুই অভিভাবককে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান। গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নের খড়বড়িয়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী আর্ণিকা খাতুন (১৪) এর বাল্য বিবাহ হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবা মোঃ আলমগীর পেয়াদা কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর বিকাল ৫ টায় উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের ইছামতি মধ্যপাড়া এলাকায় মাদরাসা ছাত্রী রোকসানা (১৪) এর পিতা গফফার মোল্যা কে একই অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খড়বড়িয়া এলাকার মোঃ আলমগীর পেয়াদার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে এবং কোদলা এলাকার গফফার মোল্যার মাদরাসা পড়–য়া মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর ৮ ধারার অপরাধে দুই কনের পিতার নিকট থেকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বর ওই কিশোরীকে বিবাহ করবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, যেখানে বাল্য বিয়ে, সেখানেই প্রশাসন। বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা, আজগড়া ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ মেনন রায়, সহ তেরখাদা থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

তেরখাদায় বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলো দুই কিশোরী

প্রকাশিত সময় : ০৪:২৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

তেরখাদায় বাল্য বিবাহ দেওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পৃথক পৃথক অভিযানে দুই অভিভাবককে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান। গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নের খড়বড়িয়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী আর্ণিকা খাতুন (১৪) এর বাল্য বিবাহ হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবা মোঃ আলমগীর পেয়াদা কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর বিকাল ৫ টায় উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের ইছামতি মধ্যপাড়া এলাকায় মাদরাসা ছাত্রী রোকসানা (১৪) এর পিতা গফফার মোল্যা কে একই অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খড়বড়িয়া এলাকার মোঃ আলমগীর পেয়াদার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে এবং কোদলা এলাকার গফফার মোল্যার মাদরাসা পড়–য়া মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর ৮ ধারার অপরাধে দুই কনের পিতার নিকট থেকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বর ওই কিশোরীকে বিবাহ করবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, যেখানে বাল্য বিয়ে, সেখানেই প্রশাসন। বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা, আজগড়া ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ মেনন রায়, সহ তেরখাদা থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।