০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেরখাদায় যাচাই-বাছাইয়ের নামে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করার প্রতিবাদ

###   খুলনার তেরখাদায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের নামে অর্থের বিনিময়ে স্বাধীনতা বিরোধী ও ভুয়া মৃক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করার প্রচেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। গত কয়েক বছর ধরে এই চক্রটি অর্থের বিনিময়ে সাড়ে চার শতাধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করে দেমের জনগনের ও সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একই সাথে দেমের বীল মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও অসম্মানিত করছে। এ কারনে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তকরন বন্ধ, তালিকা থেকে বাতিল এবং যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের রেখে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাইয় করার দাবীও জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে উত্তর খুলনা মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো: আব্দুল জলিল শেখ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবী জানান।লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল জলিল শেখ বলেন, ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিমান বাহিনীর সাবেক অফিসার হিসেবে কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার পর তেরখাদায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৯১জন। তাদের মধ্যে গত ৫০বছরে ৬৫জন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরন করেছেন এবং ২৬জন বেচে আছেন। খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এ্যাড. এম.এম. মুজিবর রহমান তেরখাদার ৯১জন মুক্তিযোদ্ধাকেই তালিকাভুক্ত করেন। কিন্তু তারপরে গত কয়েক বছর ধরে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তুলিকাভুক্ত করা হয়েছে। সবশেষ তেরখাদা উপজেলায় খান মোহাম্মদ ও চৌধুরী আবুল খায়ের মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর কারখানায় পরিনত করেছে।  তেরখাদা উপজেলায় টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা তুলিকাভুক্ত বর্তমানে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৬২জনে। এছাড়া বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরী চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে তদ্বির করে চৌধুরী আবুল খায়েল ও খান মোহাম্মদ যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য হয়ে এসে ৭লাখ করে নিয়ে আরও ৯৫০জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করার অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। এই ৯৫০জনের মধ্যে ১৯৭১সালে যাদের বয়স ছিল মাত্র ৪-৫৪বছর এমন ভুয়াদের সংখ্যা ২০০জন। রাজাকার পরিবারের সদস্য আছে ৭৫জনের মত। এদেরকে ১০-১২লাখ টাকা করে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে বিবেকের তাড়নায় ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার চেতনায় উজ্জ্বিবিত হয়ে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে এ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সচেতন ও বিবেকবান মানুষের প্রতি আহবান জানান তিনি। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রীষহ সংশ্লিষ্ঠদের কাছে স্বাধীনতার ৫০বছর পরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর এ অপচেষ্টা বন্ধে যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানান।  সংবাদ সম্মেলনে তেরখাদা উপজেলার বারাসাতের মুক্তিযোদ্ধা এম.এ. ওয়াদুদ, কোদলা গ্রামের মুন্সী হেকমত আলী, আজোগড়ার শেখ গাউসুল হক ও জেড.এম. ওছিকুর রহমান, আদমপুরের আ: রাজ্জাকসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

তেরখাদায় যাচাই-বাছাইয়ের নামে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করার প্রতিবাদ

প্রকাশিত সময় : ০৭:২৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

###   খুলনার তেরখাদায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের নামে অর্থের বিনিময়ে স্বাধীনতা বিরোধী ও ভুয়া মৃক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করার প্রচেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। গত কয়েক বছর ধরে এই চক্রটি অর্থের বিনিময়ে সাড়ে চার শতাধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করে দেমের জনগনের ও সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একই সাথে দেমের বীল মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও অসম্মানিত করছে। এ কারনে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তকরন বন্ধ, তালিকা থেকে বাতিল এবং যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের রেখে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাইয় করার দাবীও জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে উত্তর খুলনা মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো: আব্দুল জলিল শেখ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবী জানান।লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল জলিল শেখ বলেন, ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিমান বাহিনীর সাবেক অফিসার হিসেবে কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার পর তেরখাদায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৯১জন। তাদের মধ্যে গত ৫০বছরে ৬৫জন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরন করেছেন এবং ২৬জন বেচে আছেন। খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এ্যাড. এম.এম. মুজিবর রহমান তেরখাদার ৯১জন মুক্তিযোদ্ধাকেই তালিকাভুক্ত করেন। কিন্তু তারপরে গত কয়েক বছর ধরে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তুলিকাভুক্ত করা হয়েছে। সবশেষ তেরখাদা উপজেলায় খান মোহাম্মদ ও চৌধুরী আবুল খায়ের মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর কারখানায় পরিনত করেছে।  তেরখাদা উপজেলায় টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা তুলিকাভুক্ত বর্তমানে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৬২জনে। এছাড়া বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরী চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে তদ্বির করে চৌধুরী আবুল খায়েল ও খান মোহাম্মদ যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য হয়ে এসে ৭লাখ করে নিয়ে আরও ৯৫০জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করার অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। এই ৯৫০জনের মধ্যে ১৯৭১সালে যাদের বয়স ছিল মাত্র ৪-৫৪বছর এমন ভুয়াদের সংখ্যা ২০০জন। রাজাকার পরিবারের সদস্য আছে ৭৫জনের মত। এদেরকে ১০-১২লাখ টাকা করে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে বিবেকের তাড়নায় ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার চেতনায় উজ্জ্বিবিত হয়ে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে এ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সচেতন ও বিবেকবান মানুষের প্রতি আহবান জানান তিনি। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রীষহ সংশ্লিষ্ঠদের কাছে স্বাধীনতার ৫০বছর পরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর এ অপচেষ্টা বন্ধে যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানান।  সংবাদ সম্মেলনে তেরখাদা উপজেলার বারাসাতের মুক্তিযোদ্ধা এম.এ. ওয়াদুদ, কোদলা গ্রামের মুন্সী হেকমত আলী, আজোগড়ার শেখ গাউসুল হক ও জেড.এম. ওছিকুর রহমান, আদমপুরের আ: রাজ্জাকসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। ##