০১:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দশমিনা উপজেলা খাদ্য গুদামের রাস্তা ধ্বসে খালে, দ্রæত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসির

####

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা খাদ্যগুদামের রাস্তা খালের গর্ভে ধ্বসে পড়ছে।ে চরম ঝুঁকি নিয়ে গুদামের চাল লোড-আনলোড করছে কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, গত ১৮ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে স্বাবাভিব জোয়ারের পানি থেকে ২-৩ ফুট পানি বেশি খালে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলা খাদ্যগুদাম সংলগ্ন রাস্তাটি খালের মধ্যে ঢলে যায়। দেখা যায় খাদ্যগুদামের সংলগ্ন চাল লোড- আনলোডের সিড়ির ঘাটের নিচ দিয়ে পানির ঢেউয়ে ঢেউয়ে রাস্তার তথা সিড়ির ঘাটের মাটিসরে যায় তাই চাল বোজাই টমটম, গাছ বোজাই টামটম আসা যাওয়ায় রাস্তাটি খালের মধ্যে চলে যায়। এতেকরে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে খাদ্যগুদামের চাল বিভিন্ন ইউনিয়নে সরবরাহ , সোয়ামিল ব্যবসায়ীদের গাছ নিতে আনতে ও কাট ব্যবসায়ীদেন কাট কেনা বেঁচায়। রাস্তা খালের গর্ভে রাস্তা চলে যাওয়ায় এলাকাবাসি, সোয়ামিল, কাট ব্যাবসায়ী মিলে রাস্তার উপরে অস্থায়ী কাট বিছিয়ে ঝুকি নিয়ে মালামাল সরবরাহ করতে দেখা যায়।

স্থানীয় কাট ব্যবসায়ী হান্নান, সোয়ামিল মালিক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, চরহোসনাবাদ সোয়ামিল ভায়া খাদ্যগুদাম থেকে চৌকিদার বাড়ি ৩ শত মিটার রাস্তাটি চরম ভোগান্তির স্বীকার এলাকাবাসি , কাট ও সোয়ামিল ব্যবসায়ায়ীদের। রাস্তাটি ৪-৫ বছর পূর্বে করা হলেও এখোন খাদ্যগুদামের সামনের রাস্তাটি খালের গর্ভে এবং বাকী রাস্তায় রড় রড় গর্ত হয়ে আছে। এই রাস্তা সংগলœ ১০-১২ টি সোয়ামিল, ১শত টির উপরে কাটের দোকান ও ১ টি খাদ্যগুদাম রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে খাদ্যগুদামের চাল, সোয়ামীল ও কাটাব্যবসায়ীদের মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে। রাস্তারটি খাদ্যগুদামের সামনের অংশ খালে চলে যায় এরং চাল নিয়ে আসা কারগু রাখার সিড়ির ঘাটের নিচদিয়ে প্রায় ২০ফুট সূরঙ্গ দেখা যায় যে কোন সময় খাদ্যগুদামের প্রাচির ভাউন্ডারি খালের মধ্যে চলে যতে পারে। প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করার জন্য অনুরোধ করছি। স্থানীয় বাসিন্দা এনায়েত হোসেন বলেন, রাস্তাটি অতি জনগুরুত্বপূর্ন। খাদ্যগুদামের মূল ফটকে রাস্তাটি প্রায় ৩০-৪০ ফুট খালের গর্ভে চলে যায়। যে কোন সময় খাদ্যগুদামের চাল বহনকারি টলি চালসহ খালে পড়ে প্রানহানীর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের দাবি জানাই।

উপজেলা খাদ্যগুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত (ভাপপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রাসেল হাওলাদার বলেন, খাদ্যগুদামের সমূক্ষ দিয়ে রাস্তাটি নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার পর লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উধর্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দ্রæত সংস্কারের কথা বলেছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ বলেন, আমি ঘটনা স্থল সরজমিনে দেখেছি। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন। বিষয়টি সমাধানের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা বলেন, খাদ্যগুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। রাস্তাটি সংস্কারের কাজ জন্য দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

দশমিনা উপজেলা খাদ্য গুদামের রাস্তা ধ্বসে খালে, দ্রæত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসির

প্রকাশিত সময় : ০৭:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

####

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা খাদ্যগুদামের রাস্তা খালের গর্ভে ধ্বসে পড়ছে।ে চরম ঝুঁকি নিয়ে গুদামের চাল লোড-আনলোড করছে কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, গত ১৮ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে স্বাবাভিব জোয়ারের পানি থেকে ২-৩ ফুট পানি বেশি খালে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলা খাদ্যগুদাম সংলগ্ন রাস্তাটি খালের মধ্যে ঢলে যায়। দেখা যায় খাদ্যগুদামের সংলগ্ন চাল লোড- আনলোডের সিড়ির ঘাটের নিচ দিয়ে পানির ঢেউয়ে ঢেউয়ে রাস্তার তথা সিড়ির ঘাটের মাটিসরে যায় তাই চাল বোজাই টমটম, গাছ বোজাই টামটম আসা যাওয়ায় রাস্তাটি খালের মধ্যে চলে যায়। এতেকরে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে খাদ্যগুদামের চাল বিভিন্ন ইউনিয়নে সরবরাহ , সোয়ামিল ব্যবসায়ীদের গাছ নিতে আনতে ও কাট ব্যবসায়ীদেন কাট কেনা বেঁচায়। রাস্তা খালের গর্ভে রাস্তা চলে যাওয়ায় এলাকাবাসি, সোয়ামিল, কাট ব্যাবসায়ী মিলে রাস্তার উপরে অস্থায়ী কাট বিছিয়ে ঝুকি নিয়ে মালামাল সরবরাহ করতে দেখা যায়।

স্থানীয় কাট ব্যবসায়ী হান্নান, সোয়ামিল মালিক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, চরহোসনাবাদ সোয়ামিল ভায়া খাদ্যগুদাম থেকে চৌকিদার বাড়ি ৩ শত মিটার রাস্তাটি চরম ভোগান্তির স্বীকার এলাকাবাসি , কাট ও সোয়ামিল ব্যবসায়ায়ীদের। রাস্তাটি ৪-৫ বছর পূর্বে করা হলেও এখোন খাদ্যগুদামের সামনের রাস্তাটি খালের গর্ভে এবং বাকী রাস্তায় রড় রড় গর্ত হয়ে আছে। এই রাস্তা সংগলœ ১০-১২ টি সোয়ামিল, ১শত টির উপরে কাটের দোকান ও ১ টি খাদ্যগুদাম রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে খাদ্যগুদামের চাল, সোয়ামীল ও কাটাব্যবসায়ীদের মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে। রাস্তারটি খাদ্যগুদামের সামনের অংশ খালে চলে যায় এরং চাল নিয়ে আসা কারগু রাখার সিড়ির ঘাটের নিচদিয়ে প্রায় ২০ফুট সূরঙ্গ দেখা যায় যে কোন সময় খাদ্যগুদামের প্রাচির ভাউন্ডারি খালের মধ্যে চলে যতে পারে। প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করার জন্য অনুরোধ করছি। স্থানীয় বাসিন্দা এনায়েত হোসেন বলেন, রাস্তাটি অতি জনগুরুত্বপূর্ন। খাদ্যগুদামের মূল ফটকে রাস্তাটি প্রায় ৩০-৪০ ফুট খালের গর্ভে চলে যায়। যে কোন সময় খাদ্যগুদামের চাল বহনকারি টলি চালসহ খালে পড়ে প্রানহানীর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি দ্রæত সংস্কারের দাবি জানাই।

উপজেলা খাদ্যগুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত (ভাপপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রাসেল হাওলাদার বলেন, খাদ্যগুদামের সমূক্ষ দিয়ে রাস্তাটি নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার পর লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উধর্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দ্রæত সংস্কারের কথা বলেছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ বলেন, আমি ঘটনা স্থল সরজমিনে দেখেছি। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন। বিষয়টি সমাধানের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা বলেন, খাদ্যগুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। রাস্তাটি সংস্কারের কাজ জন্য দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।