০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাকোপে সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

###    দাকোপ প্রেসক্লাবে সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দাকোপ প্রেসক্লাব সেমিনার কক্ষে লিখিত ভাবে সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন জি, এম আজিজুল হক। সংবাদ সম্মেলনে নলিয়ানের মৃতঃ মোঃ শামছুল হক গাজীর পুত্র জি, এম আজিজুল হক ত্রা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের বিবাহ তালাক রেজিষ্ট্রার বা কাজী না থাকায় আমার ছোট ভাই চালনা পৌরসভার একাংশের কাজী ইমদাদুল হক জেলা রেজিষ্ট্রার কর্তৃক ১২০ দিনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলে আমি তার সহযোগী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে থাকি। তারই মধ্যে আমি ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্ব স্থায়ী করতে মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের পক্ষ হতে ডিও লেটার প্রাপ্ত হই। ইউ,পি চেয়ারম্যানের কাছ থেকেও মনোনয়ন প্রাপ্ত হই। তবে ইমদাদুল এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ থাকার কারনে তার কাছে আমি ডিও লেটার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখি। কিন্তু ইমদাদুল আমাকে কাজী হওয়াতে সহযোগীতা করার জন্য এই শর্ত দেয় যে, সুতারখালী ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রির মোট লভ্যাংশের অর্ধেক তাকে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আমার কাছে যথেষ্ট প্রমানসহ কল রেকর্ড রয়েছে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় ইমদাদুল অর্থের লোভে আমার ডিও লেটারসহ যাবতীয় কাগজপত্র আটকে রেখেছে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত। যাতে আমি সুতারখালী ইউয়িনের স্থায়ী কাজী হতে না পারি। ইমদাদুল আমাকে স্থায়ী কাজী না বানিয়ে অর্থের লোভে সুতারখালী ইউনিয়নের মহসিন, রফিকুল এবং শাহীন এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদেরকে দিয়ে অবৈধভাবে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করাচ্ছে। আমার কাছ থেকেও ৩০/০৬/২০১৯ ইং তারিখে অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল। যার লিখিত প্রমান রয়েছে। বিষয়গুলো বিভিন্ন জায়াগায় আমি জানালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ফেসবুক ষ্ট্যাটাস সহ বিভিন্ন ভাবে কুৎসা রটনা এমনকি হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন কাজী এমদাদুল হক মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে বাল্যবিবাহ করায় যার প্রমাণ তার কাছে থাকা ১৫, ২৩ নং বই তদন্ত করলে প্রমানিত হবে। তাছাড়া এমদাদুল শুন্য হাতে চালনায় এসে কয়েক বছর কাজীগিরি করে কোটি টাকার বাড়ি, অফিস, ব্যাংক-ব্যালেন্স কিভাবে তৈরী করল সেটা তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তের দাবী জানান।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

দাকোপে সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ১২:০১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

###    দাকোপ প্রেসক্লাবে সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দাকোপ প্রেসক্লাব সেমিনার কক্ষে লিখিত ভাবে সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন জি, এম আজিজুল হক। সংবাদ সম্মেলনে নলিয়ানের মৃতঃ মোঃ শামছুল হক গাজীর পুত্র জি, এম আজিজুল হক ত্রা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের বিবাহ তালাক রেজিষ্ট্রার বা কাজী না থাকায় আমার ছোট ভাই চালনা পৌরসভার একাংশের কাজী ইমদাদুল হক জেলা রেজিষ্ট্রার কর্তৃক ১২০ দিনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলে আমি তার সহযোগী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে থাকি। তারই মধ্যে আমি ৫ নং সুতারখালী ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্ব স্থায়ী করতে মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের পক্ষ হতে ডিও লেটার প্রাপ্ত হই। ইউ,পি চেয়ারম্যানের কাছ থেকেও মনোনয়ন প্রাপ্ত হই। তবে ইমদাদুল এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ থাকার কারনে তার কাছে আমি ডিও লেটার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখি। কিন্তু ইমদাদুল আমাকে কাজী হওয়াতে সহযোগীতা করার জন্য এই শর্ত দেয় যে, সুতারখালী ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রির মোট লভ্যাংশের অর্ধেক তাকে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আমার কাছে যথেষ্ট প্রমানসহ কল রেকর্ড রয়েছে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় ইমদাদুল অর্থের লোভে আমার ডিও লেটারসহ যাবতীয় কাগজপত্র আটকে রেখেছে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত। যাতে আমি সুতারখালী ইউয়িনের স্থায়ী কাজী হতে না পারি। ইমদাদুল আমাকে স্থায়ী কাজী না বানিয়ে অর্থের লোভে সুতারখালী ইউনিয়নের মহসিন, রফিকুল এবং শাহীন এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদেরকে দিয়ে অবৈধভাবে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করাচ্ছে। আমার কাছ থেকেও ৩০/০৬/২০১৯ ইং তারিখে অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল। যার লিখিত প্রমান রয়েছে। বিষয়গুলো বিভিন্ন জায়াগায় আমি জানালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ফেসবুক ষ্ট্যাটাস সহ বিভিন্ন ভাবে কুৎসা রটনা এমনকি হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন কাজী এমদাদুল হক মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে বাল্যবিবাহ করায় যার প্রমাণ তার কাছে থাকা ১৫, ২৩ নং বই তদন্ত করলে প্রমানিত হবে। তাছাড়া এমদাদুল শুন্য হাতে চালনায় এসে কয়েক বছর কাজীগিরি করে কোটি টাকার বাড়ি, অফিস, ব্যাংক-ব্যালেন্স কিভাবে তৈরী করল সেটা তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তের দাবী জানান।##