১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই কারনে জয় পেয়েছেন তালুকদার খালেক

####

দায়িত্ব গ্রহন করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নগরীর উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলি সম্পন্ন করতে চান খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। দ্রুততার সাথেই চলমান কাজ শেষ হলে খুলনা মহানগরীতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা দৃশ্যমান হবে। একই সাথে নির্বাচনের সময় বিরোধীরা নগরবাসীর দূর্ভোগের কথা তুলে ধরে যে অপপ্রচার চালিয়েছে তারও যথাযথ জবাব দেয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর শঙ্খ মাকের্টস্থ আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, মূলত: দুটি প্রধান কারনে তার এ বিজয় সম্ভব হয়েছে। এরমধ্যে একটি কারন হলো খুলনা নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্তিতির উন্নয়ণ আর অন্যতম প্রধান কারন হলো দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা। বড় দল হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন রকম গ্রুপিং ও ভেদাভেদ থাকে। কিন্তু সিটি নির্বাচনে দলের মধ্যে কোন ধরনের মতভেদ বা গ্রুপিং ছিল না। নির্বাচনে বিজয়ের জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে। দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল সবস্তরের নেতার্শীদের মধ্যে একটি উদ্যোগ ও স্বত:স্ফূর্ততা ছিল। যার জন্য তিনি জয় পেয়েছেন। এছাড়াও আরও অনেকুগলো কারন রয়েছে যা তার বিজয় এনে দিয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। সেজন্য তিনি এবারের বিজয়কে নগরবাসী ও নেতার্মীদের জয় বলেও অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ২০১৮সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহনের আগেই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৪০০ কোটি টাকারও বেশী বরাদ্ধ দিয়েছিলেন। যে অর্থ দিয়ে নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়কের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু করোনার কারনে আড়াই বছর কাজ করতে না পারায় উন্নয়ন কাজ মুরু হয়েও পিছিয়ে গেছে। মেয়র থেকে পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত ১৪০০কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু দুই শতাধিক ড্রেন এবং আড়াই শতাধিক রাস্তার কাজ এবং খাল-নদী পুনখনন কাজ চলমান রয়েছে। আরও শতাধিক কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।এ সকল কাজ নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে দ্রুত শেষ করতে চায়। এছাড়াও আরও ১৫০০কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া রয়েছে। আশা করছি দায়িত্ব গ্রহনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সে প্রকল্পের অনুমোদ দেবেন। যা দিয়ে ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ কাজগুলি সম্পাদক করে খুলনাকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও তিরোত্তমা মহানগরীতে পরিনত করতে পারবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা ইভিএমে ভোট কারচুপির কথা বলছেন তারা না জেনে-বুঝেই বলছেন। তাদের শিক্ষার অভাব আছে। আড়াই লাকেরও বেশী ভোটার ভোট দির কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। তাদের মাত্র একজন কর্মীর সমস্যা হয়েছে এটা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক ছাড়া কিচুই নয়। তার কাং্খিত বোটার উপস্তিতির বিষয়ে বলেন, অনেক ভোটার খুলনার বাইরে আছেন। বিশেষ করে খুলনার শিল্প এরাকা খ্যাত খালিশপুর, দৌলতপুর ও আটরা শিল্পাঞ্চলের অনেক ভোটার বাঢ়ীতে চলে গেছে। তারা এখানের জুট মিলে কাজ করতো। মিল বন্ধের পরে সরকার তাদের পাওনা পরিশোধ করায় অনেকেই বাঢ়ীতে চলে গেছেন টাকাপয়সা নিয়ে। যারা নগরীতে বোটার ছিলেন। সেজন্য একটা অংমের ভোটার উপস্থিত হয়নি। তাছাড়া বিএনপি ভোট বর্জন করায় তাদেরও একটা অংশ বোট দিতে কেন্দ্রে না যাওয়ায় উপস্থিতি একটু কম হয়েছে। তবে ৪৮.১৭শতাংশ উপস্থিত অবশ্যই আশাব্যঞ্জ্যক বলে তিনি উল্লেক করেন।

গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে মেয়র হিসেবে জয়ী হওয়ায় এদিন দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে দলের ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং কয়েকটি সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। এ সময় নবনির্বাচিত মেয়র সবাইকে শান্ত থেকে খুলনার উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান। সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে এক লাখ ৫৪হাজার ৮২৫ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল আউয়াল পান ৬০হাজার ৬৪ভোট।  ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

দুই কারনে জয় পেয়েছেন তালুকদার খালেক

প্রকাশিত সময় : ০৮:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

####

দায়িত্ব গ্রহন করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নগরীর উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলি সম্পন্ন করতে চান খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। দ্রুততার সাথেই চলমান কাজ শেষ হলে খুলনা মহানগরীতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা দৃশ্যমান হবে। একই সাথে নির্বাচনের সময় বিরোধীরা নগরবাসীর দূর্ভোগের কথা তুলে ধরে যে অপপ্রচার চালিয়েছে তারও যথাযথ জবাব দেয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর শঙ্খ মাকের্টস্থ আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, মূলত: দুটি প্রধান কারনে তার এ বিজয় সম্ভব হয়েছে। এরমধ্যে একটি কারন হলো খুলনা নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্তিতির উন্নয়ণ আর অন্যতম প্রধান কারন হলো দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা। বড় দল হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন রকম গ্রুপিং ও ভেদাভেদ থাকে। কিন্তু সিটি নির্বাচনে দলের মধ্যে কোন ধরনের মতভেদ বা গ্রুপিং ছিল না। নির্বাচনে বিজয়ের জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে। দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল সবস্তরের নেতার্শীদের মধ্যে একটি উদ্যোগ ও স্বত:স্ফূর্ততা ছিল। যার জন্য তিনি জয় পেয়েছেন। এছাড়াও আরও অনেকুগলো কারন রয়েছে যা তার বিজয় এনে দিয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। সেজন্য তিনি এবারের বিজয়কে নগরবাসী ও নেতার্মীদের জয় বলেও অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ২০১৮সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহনের আগেই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৪০০ কোটি টাকারও বেশী বরাদ্ধ দিয়েছিলেন। যে অর্থ দিয়ে নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়কের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু করোনার কারনে আড়াই বছর কাজ করতে না পারায় উন্নয়ন কাজ মুরু হয়েও পিছিয়ে গেছে। মেয়র থেকে পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত ১৪০০কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু দুই শতাধিক ড্রেন এবং আড়াই শতাধিক রাস্তার কাজ এবং খাল-নদী পুনখনন কাজ চলমান রয়েছে। আরও শতাধিক কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।এ সকল কাজ নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে দ্রুত শেষ করতে চায়। এছাড়াও আরও ১৫০০কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া রয়েছে। আশা করছি দায়িত্ব গ্রহনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সে প্রকল্পের অনুমোদ দেবেন। যা দিয়ে ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ কাজগুলি সম্পাদক করে খুলনাকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও তিরোত্তমা মহানগরীতে পরিনত করতে পারবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা ইভিএমে ভোট কারচুপির কথা বলছেন তারা না জেনে-বুঝেই বলছেন। তাদের শিক্ষার অভাব আছে। আড়াই লাকেরও বেশী ভোটার ভোট দির কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। তাদের মাত্র একজন কর্মীর সমস্যা হয়েছে এটা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক ছাড়া কিচুই নয়। তার কাং্খিত বোটার উপস্তিতির বিষয়ে বলেন, অনেক ভোটার খুলনার বাইরে আছেন। বিশেষ করে খুলনার শিল্প এরাকা খ্যাত খালিশপুর, দৌলতপুর ও আটরা শিল্পাঞ্চলের অনেক ভোটার বাঢ়ীতে চলে গেছে। তারা এখানের জুট মিলে কাজ করতো। মিল বন্ধের পরে সরকার তাদের পাওনা পরিশোধ করায় অনেকেই বাঢ়ীতে চলে গেছেন টাকাপয়সা নিয়ে। যারা নগরীতে বোটার ছিলেন। সেজন্য একটা অংমের ভোটার উপস্থিত হয়নি। তাছাড়া বিএনপি ভোট বর্জন করায় তাদেরও একটা অংশ বোট দিতে কেন্দ্রে না যাওয়ায় উপস্থিতি একটু কম হয়েছে। তবে ৪৮.১৭শতাংশ উপস্থিত অবশ্যই আশাব্যঞ্জ্যক বলে তিনি উল্লেক করেন।

গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে মেয়র হিসেবে জয়ী হওয়ায় এদিন দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে দলের ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং কয়েকটি সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। এ সময় নবনির্বাচিত মেয়র সবাইকে শান্ত থেকে খুলনার উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান। সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে এক লাখ ৫৪হাজার ৮২৫ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল আউয়াল পান ৬০হাজার ৬৪ভোট।  ##