০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খুলনা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পথসভায় হুমকি :

দুটো গুলি ফুটুলি তো তুই পলাবি, নারান বাবু কেন-তোর বাপও তোকে বাঁচাতে পারবে না

####

খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আকরাম হোসেনের নির্বাচনী পথসভায় দেয়া একটি বক্তৃতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায় তিনি(শেখ আকরাম হোসেন) ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নে পথসভায় নেতাকর্মীর উদ্দেশে বলছেন, ‘কেউ পার পাবে না। আজকে বলে আসছি ওই সালাম ও কালাম দু’জনকেই। সময় দিয়ে গেলাম মাত্র তিন দিন। তোর নারান বাবু কেন- তোর বাপও তোকে বাঁচাতে পারবে না। তুই যদি আমার কোনো নেতাকর্মীর গায় হাত দিস, তুই আমাকে চিনিস না। আজকে যেহেতু নির্বাচন করতে আইছি, নির্বাচন করছি। সকলে মিলেই করছি। জনগণ যাকে চায় সে-ই নির্বাচিত হবে। বাধা সৃষ্টি করে, ভয় দিয়ে, আরে কারে ভয় দিচ্ছিস? দুটো গুলি ফুটুলি তো তুই পলাবি।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আকরাম হোসেনের পথসভায় দেয়া ৩৫ সেকেন্ডের বক্তব্যটি বৃহষ্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের মিকশিমিল বালিকা বিদ্যালয় মাঠে গত মঙ্গলবার রাতে একটি নির্বাচনী সভা করেন ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ ও তার ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানের দুই চাচা গাজী আব্দুস সালাম ও গাজী আবুল কালামকে উদ্দেশ করে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতিমূলক গুলি ফুটানোর কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন। সে বক্তব্যে স্থানীয়রা হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা আরও জানান, পারিবারিকভাবে গাজী আব্দুস সালাম ও গাজী আবুল কালাম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করছেন। এ কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন এসব কথা বলেছেন। যা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম বলেন, মঙ্গলবার আমি রুদাঘরা ইউনিয়নে নির্বাচনী একটি সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলাম। সভায় আমি বলেছি, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় শত শত গুলি ও বোমার সম্মুখীন হয়েছি। তাই গুলির ভয় আমাকে দেখিয়ে লাভ নেই। কিন্তু ওই সভায় দেওয়া আমার বিভিন্ন বক্তব্য কাটছাঁট করে বিকৃত আকারে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থীর লোকজন প্রচার করছে। ভোটের ফলাফল কী হবে, তা বুঝতে পেরে তারা এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন রুদাঘরার একটি সভায় আমাকে ও আমার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে ভয়ভীতি দিতে ও শাসাতেই আমার চাচাদের নাম ধরে হুমকি দিয়েছেন। এ ভয়ভীতি দেয়া ও গুলি ফুটানোর হুমকি-ধামকিতে আমরা আতঙ্কে আছি। এ ব্যাপারে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।

খুলনা- ৫ আসনের আওযামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ভয়ভীতি ও গুলি ফুটানোর হুমকির নিন্দা জানিয়ে বলেন, তৃণমুলের নেতা-কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে ভয় দেখিযে দমিয়ে রাখা যাবে না। কোন রকম হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতিতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পিছপা হবে না। যে বা যারা হুমকি ও গুলি ফুটানোর কথা বলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও পুলিশ কর্মর্তাদের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, কোন রকম অপপ্রচার করে নৌকার বিজয় থামানো যাবে না। ভয় দিয়ে হুমকি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের দমানো যাবে না। শেখ হাসিনার পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে জেগে উঠেছে। আগামী ৭জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে হুমকি দাতাদের কঠোর জবাব দিতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পথসভায় হুমকি :

দুটো গুলি ফুটুলি তো তুই পলাবি, নারান বাবু কেন-তোর বাপও তোকে বাঁচাতে পারবে না

প্রকাশিত সময় : ০৭:৪০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

####

খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আকরাম হোসেনের নির্বাচনী পথসভায় দেয়া একটি বক্তৃতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায় তিনি(শেখ আকরাম হোসেন) ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নে পথসভায় নেতাকর্মীর উদ্দেশে বলছেন, ‘কেউ পার পাবে না। আজকে বলে আসছি ওই সালাম ও কালাম দু’জনকেই। সময় দিয়ে গেলাম মাত্র তিন দিন। তোর নারান বাবু কেন- তোর বাপও তোকে বাঁচাতে পারবে না। তুই যদি আমার কোনো নেতাকর্মীর গায় হাত দিস, তুই আমাকে চিনিস না। আজকে যেহেতু নির্বাচন করতে আইছি, নির্বাচন করছি। সকলে মিলেই করছি। জনগণ যাকে চায় সে-ই নির্বাচিত হবে। বাধা সৃষ্টি করে, ভয় দিয়ে, আরে কারে ভয় দিচ্ছিস? দুটো গুলি ফুটুলি তো তুই পলাবি।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আকরাম হোসেনের পথসভায় দেয়া ৩৫ সেকেন্ডের বক্তব্যটি বৃহষ্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের মিকশিমিল বালিকা বিদ্যালয় মাঠে গত মঙ্গলবার রাতে একটি নির্বাচনী সভা করেন ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ ও তার ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানের দুই চাচা গাজী আব্দুস সালাম ও গাজী আবুল কালামকে উদ্দেশ করে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতিমূলক গুলি ফুটানোর কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন। সে বক্তব্যে স্থানীয়রা হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা আরও জানান, পারিবারিকভাবে গাজী আব্দুস সালাম ও গাজী আবুল কালাম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করছেন। এ কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন এসব কথা বলেছেন। যা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম বলেন, মঙ্গলবার আমি রুদাঘরা ইউনিয়নে নির্বাচনী একটি সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলাম। সভায় আমি বলেছি, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় শত শত গুলি ও বোমার সম্মুখীন হয়েছি। তাই গুলির ভয় আমাকে দেখিয়ে লাভ নেই। কিন্তু ওই সভায় দেওয়া আমার বিভিন্ন বক্তব্য কাটছাঁট করে বিকৃত আকারে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থীর লোকজন প্রচার করছে। ভোটের ফলাফল কী হবে, তা বুঝতে পেরে তারা এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন রুদাঘরার একটি সভায় আমাকে ও আমার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে ভয়ভীতি দিতে ও শাসাতেই আমার চাচাদের নাম ধরে হুমকি দিয়েছেন। এ ভয়ভীতি দেয়া ও গুলি ফুটানোর হুমকি-ধামকিতে আমরা আতঙ্কে আছি। এ ব্যাপারে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।

খুলনা- ৫ আসনের আওযামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ভয়ভীতি ও গুলি ফুটানোর হুমকির নিন্দা জানিয়ে বলেন, তৃণমুলের নেতা-কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে ভয় দেখিযে দমিয়ে রাখা যাবে না। কোন রকম হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতিতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পিছপা হবে না। যে বা যারা হুমকি ও গুলি ফুটানোর কথা বলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও পুলিশ কর্মর্তাদের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, কোন রকম অপপ্রচার করে নৌকার বিজয় থামানো যাবে না। ভয় দিয়ে হুমকি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের দমানো যাবে না। শেখ হাসিনার পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে জেগে উঠেছে। আগামী ৭জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে হুমকি দাতাদের কঠোর জবাব দিতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি। ##