০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবহাটায় চিংড়ির পাশাপাশি তরমুজ চাষে বেকার যুবকেরা এখন স্বাবলম্বী

####

সাতক্ষীরার দেবহাটায় অপসিজন তরমুজ চাষ করে বেকার যুবকেরা আমিরুল, এমাদুল ইসলাম, হবিবর কামরুল সহ আরো ৪০ জন কৃষক এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেবহাটা উপজেলায় দ্বিতীয় বারের মতো এই অপসিজন তরমুজের চাষ করে। একদিকে যেমন বেকার যুবক ও কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। অন্যদিকে নতুন এই কৃষি পন্য চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ঘেরের জমিতে ভেড়ির পাশে মাচান তৈরি করে এই তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। যার কারনে বাড়তি কোন জমিরও প্রয়োজন পড়ছেনা। দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রায় চল্লিশটা কৃষকের, ২টি প্রকল্পে গত ৩ মাস পূর্বে কৃষক ও বেকার যুবকদেরকে বিনামূল্যে অপসিজন তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়। দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের উপ- সহকারী মোস্তাক আহমেদ, কাজল হোসেন,ইউনূছ আলি, কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৫টি প্রদর্শনীসহ ৪০ টা কৃষকের মোট চারটি জাতের বীজ সেগুলো হলো তৃপ্তি, ব্লাক বেবি, সুগারকুইন ও বাংলালিংক নামের বীজ প্রদান করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ গ্রাম থেকে ১শত ২০ গ্রাম বীজ রোপন করা যায়। এই অপসিজন তরমুজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীরাও পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের ঘেরের নিজস্ব জমিতে এই তরমুজের চাষে ঝুকছে। গত বছর আশানুরুপ ফলন ও লাভজনক হওয়ায় এবার বেশি করে এই তরমুজ চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলার ঘলঘলিয়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রনি বলেন,সে বেকার থাকায় পড়াশুনার পাশাপাশি দেবহাটা কষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ তাকে এই অপসিজন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করে। তার পরামর্শে সে তার নিজস্ব ১ বিঘা জমিতে অপসিজন তরমুজের চাষ করেছে। পারুলিয়া শাকুনদারা আমিরুল জানায়, দ্বিতীয় বারের মতো তরমুজ চাষে তার ফলন খুবই ভাল হয়েছে। কুলিয়া থেকে কামরুল বলেন এবার দিয়ে তিনবার চাষ করেছি সে খুব খুশী এবং আগামী বছর আরো বড় করে সে এই চাষ করবে বলে জানিয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিনি সার্বক্ষনিক কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। এই অপসিজন তরমুজ চাষের পদ্ধতি ও বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে কৃষকদেরকে অবহিত করেছেন। দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান দেবহাটা উপজেলায় এই তরমুজের আশানুরুপ ফলন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আগামীতে আরো বৃহৎ আকারে এই তরমুজ চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, দেবহাটার ভূমি কৃষি বান্ধব। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারনে কৃষিরও পরিবর্তন হচ্ছে।নতুন নতুন এই ধরনের ফসল ফলানোর মাধ্যমেই আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
আগামীতে এই এলাকার কৃষকদেরকে এই তরমুজ চাষে আরো বড় আকারে করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

দেবহাটায় চিংড়ির পাশাপাশি তরমুজ চাষে বেকার যুবকেরা এখন স্বাবলম্বী

প্রকাশিত সময় : ১০:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

সাতক্ষীরার দেবহাটায় অপসিজন তরমুজ চাষ করে বেকার যুবকেরা আমিরুল, এমাদুল ইসলাম, হবিবর কামরুল সহ আরো ৪০ জন কৃষক এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেবহাটা উপজেলায় দ্বিতীয় বারের মতো এই অপসিজন তরমুজের চাষ করে। একদিকে যেমন বেকার যুবক ও কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। অন্যদিকে নতুন এই কৃষি পন্য চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ঘেরের জমিতে ভেড়ির পাশে মাচান তৈরি করে এই তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। যার কারনে বাড়তি কোন জমিরও প্রয়োজন পড়ছেনা। দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রায় চল্লিশটা কৃষকের, ২টি প্রকল্পে গত ৩ মাস পূর্বে কৃষক ও বেকার যুবকদেরকে বিনামূল্যে অপসিজন তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়। দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের উপ- সহকারী মোস্তাক আহমেদ, কাজল হোসেন,ইউনূছ আলি, কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৫টি প্রদর্শনীসহ ৪০ টা কৃষকের মোট চারটি জাতের বীজ সেগুলো হলো তৃপ্তি, ব্লাক বেবি, সুগারকুইন ও বাংলালিংক নামের বীজ প্রদান করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ গ্রাম থেকে ১শত ২০ গ্রাম বীজ রোপন করা যায়। এই অপসিজন তরমুজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীরাও পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের ঘেরের নিজস্ব জমিতে এই তরমুজের চাষে ঝুকছে। গত বছর আশানুরুপ ফলন ও লাভজনক হওয়ায় এবার বেশি করে এই তরমুজ চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলার ঘলঘলিয়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রনি বলেন,সে বেকার থাকায় পড়াশুনার পাশাপাশি দেবহাটা কষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ তাকে এই অপসিজন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করে। তার পরামর্শে সে তার নিজস্ব ১ বিঘা জমিতে অপসিজন তরমুজের চাষ করেছে। পারুলিয়া শাকুনদারা আমিরুল জানায়, দ্বিতীয় বারের মতো তরমুজ চাষে তার ফলন খুবই ভাল হয়েছে। কুলিয়া থেকে কামরুল বলেন এবার দিয়ে তিনবার চাষ করেছি সে খুব খুশী এবং আগামী বছর আরো বড় করে সে এই চাষ করবে বলে জানিয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিনি সার্বক্ষনিক কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। এই অপসিজন তরমুজ চাষের পদ্ধতি ও বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে কৃষকদেরকে অবহিত করেছেন। দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান দেবহাটা উপজেলায় এই তরমুজের আশানুরুপ ফলন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আগামীতে আরো বৃহৎ আকারে এই তরমুজ চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, দেবহাটার ভূমি কৃষি বান্ধব। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারনে কৃষিরও পরিবর্তন হচ্ছে।নতুন নতুন এই ধরনের ফসল ফলানোর মাধ্যমেই আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
আগামীতে এই এলাকার কৃষকদেরকে এই তরমুজ চাষে আরো বড় আকারে করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। ##