০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মেয়রের মা থেকে হলেন মেয়র

দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র জায়েদা খাতুন

###         আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৪৮০টি কেন্দ্রের সব কয়টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে জায়েদা খাতুন (ঘড়ি) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছেন জায়েদা। স্বশিক্ষিত জায়েদা খাতুন নির্বাচনী হলফনামায় পেশা ‘ব্যবসা’ লেখা হলেও মূলত তিনি গৃহিণী। ২০১১ সালে দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ওই নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী- জায়েদা খাতুনের জন্ম ১৯৬২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। পিতার নাম সামছুল ইসলাম, মা আফাতুন। স্থায়ী ঠিকানা কানাইয়া, গাজীপুর সদর, গাজীপুর। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বশিক্ষিত’। তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মার গেছেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য নেই। ঘোষিত ফলাফলে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত জায়েদা খাতুনের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। জাহাঙ্গীর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকও। তিনি সিটি মেয়র হিসেবে পুরো মেয়াদকাল দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরো ছয় প্রার্থী। এদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা প্রতীকে ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, সরকার শাহনূর ইসলাম হাতি প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট, গণফ্রন্ট থেকে মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, জাকের পার্টি থেকে মো. রাজু আহাম্মেদ গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন-অর-রশীদ ঘোড়া প্রতীকে ২ হাজার ৪২৬ ভোট পেয়েছেন। এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪৮০টি, আর ভোটকক্ষ তিন হাজার ৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছিল ১০ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার তিন হাজার ৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ছয় হাজার ৯৯৪ জন।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মেয়রের মা থেকে হলেন মেয়র

দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র জায়েদা খাতুন

প্রকাশিত সময় : ১০:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

###         আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৪৮০টি কেন্দ্রের সব কয়টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে জায়েদা খাতুন (ঘড়ি) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছেন জায়েদা। স্বশিক্ষিত জায়েদা খাতুন নির্বাচনী হলফনামায় পেশা ‘ব্যবসা’ লেখা হলেও মূলত তিনি গৃহিণী। ২০১১ সালে দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ওই নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী- জায়েদা খাতুনের জন্ম ১৯৬২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। পিতার নাম সামছুল ইসলাম, মা আফাতুন। স্থায়ী ঠিকানা কানাইয়া, গাজীপুর সদর, গাজীপুর। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বশিক্ষিত’। তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মার গেছেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য নেই। ঘোষিত ফলাফলে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত জায়েদা খাতুনের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। জাহাঙ্গীর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকও। তিনি সিটি মেয়র হিসেবে পুরো মেয়াদকাল দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরো ছয় প্রার্থী। এদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা প্রতীকে ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, সরকার শাহনূর ইসলাম হাতি প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট, গণফ্রন্ট থেকে মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, জাকের পার্টি থেকে মো. রাজু আহাম্মেদ গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন-অর-রশীদ ঘোড়া প্রতীকে ২ হাজার ৪২৬ ভোট পেয়েছেন। এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪৮০টি, আর ভোটকক্ষ তিন হাজার ৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছিল ১০ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার তিন হাজার ৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ছয় হাজার ৯৯৪ জন।##