০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বাইরে থাকা শিক্ষকের বেতন তুলতে সহযোগিতাকারী পুঠিয়ার সেই অধ্যক্ষ পদত্যাগ

####

দেশের বাইরে থেকেও বেতন তুলছেন পুঠিয়ার মাদ্রাসা শিক্ষক শিরোনামে “দৈনিকি সানশাইন”, রুপালী বাংলাশে, “দি বাংলাদেশ টুডে” পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন, পুঠিয়া উপজেলার বিরালদহ সৈয়দ করম আলী দারুছ-ছুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার(২০আগষ্ট) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে মাদ্রাসার প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক ঘন্টার মাথায় বাধ্য হয়ে লিখিত দিয়ে পদত্যাগ করেন অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষ।
শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকার সাথে অসদাচরণ করেন অধ্যক্ষ। এছাড়া গতবছর ছুটির জন্য আবেদন করেন প্রভাষক সেলিম হোসেন কিন্তু তার ছুটি না মঞ্জুর করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তারপরেও কোন তোয়াক্কা না করে চলে যান দেশের বাইরে। পরে অধ্যক্ষ অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তার বেতন বিল ব্যাংক একাউন্টে পাঠাচ্ছেন এবং যথারীতি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত না আসা সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে সেলিম স্যারের অনুপস্থিতিতে আমাদের পড়ালেখার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের না পড়ে বাধ্য হয়ে পরিক্ষা দিতে হচ্ছে কিন্তু তিনি বিদেশ থেকেও অধ্যক্ষ সারের সহযোগিতায় প্রতিমাসে বেতন ভাতা উত্তলন করছেন যা পুরোপুরি অবৈধ।
আরবি বিভাগের প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকেই দেখছি আমাদের সহকর্মী সেলিম স্যার ও অধ্যক্ষের দুর্নীতির অনেক অভিযোগ । শিক্ষকদের সঙ্গে অসৎ আচরণ বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ নিয়মিত মাদ্রাসায় না আসা। স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে আমরা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে সেসব সত্য না। আমি প্রভাষক সেলিম হোসেনের বেতন উঠায়নি শুধু আমি সেখানে সই করেছি মাত্র।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা জাহান বলেন, অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি দ্রæত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

দেশের বাইরে থাকা শিক্ষকের বেতন তুলতে সহযোগিতাকারী পুঠিয়ার সেই অধ্যক্ষ পদত্যাগ

প্রকাশিত সময় : ১১:০৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

####

দেশের বাইরে থেকেও বেতন তুলছেন পুঠিয়ার মাদ্রাসা শিক্ষক শিরোনামে “দৈনিকি সানশাইন”, রুপালী বাংলাশে, “দি বাংলাদেশ টুডে” পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন, পুঠিয়া উপজেলার বিরালদহ সৈয়দ করম আলী দারুছ-ছুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার(২০আগষ্ট) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে মাদ্রাসার প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক ঘন্টার মাথায় বাধ্য হয়ে লিখিত দিয়ে পদত্যাগ করেন অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষ।
শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকার সাথে অসদাচরণ করেন অধ্যক্ষ। এছাড়া গতবছর ছুটির জন্য আবেদন করেন প্রভাষক সেলিম হোসেন কিন্তু তার ছুটি না মঞ্জুর করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তারপরেও কোন তোয়াক্কা না করে চলে যান দেশের বাইরে। পরে অধ্যক্ষ অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তার বেতন বিল ব্যাংক একাউন্টে পাঠাচ্ছেন এবং যথারীতি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত না আসা সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে সেলিম স্যারের অনুপস্থিতিতে আমাদের পড়ালেখার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের না পড়ে বাধ্য হয়ে পরিক্ষা দিতে হচ্ছে কিন্তু তিনি বিদেশ থেকেও অধ্যক্ষ সারের সহযোগিতায় প্রতিমাসে বেতন ভাতা উত্তলন করছেন যা পুরোপুরি অবৈধ।
আরবি বিভাগের প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকেই দেখছি আমাদের সহকর্মী সেলিম স্যার ও অধ্যক্ষের দুর্নীতির অনেক অভিযোগ । শিক্ষকদের সঙ্গে অসৎ আচরণ বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ নিয়মিত মাদ্রাসায় না আসা। স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে আমরা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে সেসব সত্য না। আমি প্রভাষক সেলিম হোসেনের বেতন উঠায়নি শুধু আমি সেখানে সই করেছি মাত্র।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা জাহান বলেন, অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি দ্রæত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #