###    উপকূলীয় প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য বুঝে তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। উন্নয়ন বা প্রকল্প গ্রহণে সর্বোপরি সবক্ষেত্রে দেশ ও মানুষ বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশ ও কৃষিবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সুন্দরবন বিনাশী কর্মকাÐ প্রতিহত করতে সরকারকে দৃঢ় টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। নদী–খাল–বিল–জলাশয় দখলকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। “কৃষি জমি দখল করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না।” প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন যারা মানছেন না তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সুন্দরবন সুরক্ষা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, সুপেয় পানি সরবরাহ, খুলনা অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ এ অঞ্চলের নদনদী–জলাশয় দখল ও দূষণ প্রতিহত করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার খুলনা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় কৃষি ও পরিবেশ সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের বৈশ্বিক সমন্বয়ক যুক্তরাষ্ট্রের লক হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ নূর আলম শেখের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের খুলনা জেলা সমন্বয়কারী অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার। সংলাপে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপা মাগুরা জেলা সভাপতি এটিএম আনিসুর রহমান, যশোর জেলা সদস্য সচিব অধ্যাপক আবু সাঈদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা নেতা  মোঃ বেলাল হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা নেতা পরিতোষ বৈদ্য, মোঃ রিয়াদ হোসেন, নড়াইল জেলা নেতা অঞ্জন মÐল, বাগেরহাট জেলা নেতা খান আরিফুর রহমান, সাংবাদিক কৌশিক দে বাপি, কৃষকনেতা গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, বাপা নেতা এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সৈয়দ মিজানুর রহমান, ই¯্রাফিল বয়াত. বানিশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা ইউপি সদস্য পাপিয়া মিস্ত্রী, কৃষ্ণপদ মÐল, বাপা নেতা আফজাল হোসেন রাজু, খ ম শাহিন হোসেন, হাসিব সরদার, ছাত্রনেতা সৌমিত্র সৌরভ প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতা প্রফেসর মোঃ খালেকুজ্জামান আগামী ১৩ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পরিবেশ সমাবেশ সফল করার জন্য পরিবেশ স্বপক্ষ সংগঠন ও পরিবেশ দরদী মানুষের প্রতি আহŸান জানান। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ যোদ্ধারা এ যুগের মুক্তিযোদ্ধা। প্রকৃতির নিয়ম মেনে আমাদের জীবনাচার করতে হবে। সোনার বাংলা, রূপসী বাংলা ময়লার ভাগাড় হওয়ার কথা নয়। সভাপতির বক্তব্যে বাপা’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, পরিবেশ বান্ধব, টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে বাপা প্রস্তুত আছে। তবে ছদ্মবেশী, মুনাফালোভী আমলা–রাজনীতিবিদ–ব্যবসায়ীরা পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাÐ পরিচালনা করলে বাপা তার বিরোধিতা করবে।  ##