####

খুলনায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা এবং শ্রেষ্ঠ সাত জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক দপ্তরের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ। এ সময় তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন ক্ষণজন্মা মহীয়সী নারী এবং নারী জাগরণের অগ্রদূত। নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নারীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যদিয়ে নারী সমাজকে আলোর পথ দেখান। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়ার মতো এদেশের নারীরা ঘর হতে বাইরে এসে সমাজ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই নারী। সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনীসহ সকল পেশাতেই আজ নারীর অবাধ পদচারণা। তারপরেও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে কোথাও নারীর সমযার্দা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে নারীদের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রুনু ইকবাল বিথার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার শ্রেষ্ঠ দুই জয়িতা নির্বাচিত অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নুরুন্নাহার লিলি এবং সফল জননী ফাতেমা আক্তার। এবং খুলনা জেলার পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতা অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ডুমরিয়ার শাপলা ইয়াসমিন, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী দাকোপের পূরবী বৈদ্য, সফল জননী ক্যাটাগরিতে দিঘলিয়ার জরিনা বেগম, নিযার্তনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন সংগ্রামে বিজয়ী দাকোপের সাথী বৈদ্য এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় দাকোপ উপজেলার জয়ন্তী রাণী সরদারকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়। ##