ইউপি চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে ফেসবুক এ আপডেট দেওয়ার কারনে প্রথমে মোবাইলে কৈফিয়ত চেয়ে হুমকি,পরক্ষনে গত ১৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) - ২০২১ সময় বেলা ১১ টা থেকে ১২ টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনূর রশিদ মামুন গং কর্তৃক জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পএিকার বিশেষ প্রতিনিধি এম শাহীন আলমকে লাঞ্ছিত সহ জানের হুমকির ঘটনায় পুলিশ প্রধানের নিকট আবেদন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা'র বিশেষ প্রতিনিধি, মডার্ন ম্যানশন (১৫তলা) ৫৩, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।স্থায়ী ঠিকানা: পিতা মো: হারুন মিয়া গ্রাম-হরিপুর, ডাক-আনন্দপুর আদর্শ সদর কুমিল্লা-৩৫০০। সাংবাদিক এম শাহীন আলম আজ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সংবাদ কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছে, জানা যায়, তিনি বিভিন্ন সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সংযুক্ত রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। তিনি বর্তমানে অপরাধ বিচিত্রা ছাড়াও কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক শ্রমিক এবং (অনলাইন নিউজ পোর্টাল) দৈনিক বাংলা খবর নামে এই ২টি পত্রিকায় সম্পাদনা করে আসছে। গত ১১ নভেম্বর ২০২১ জানা যায়,এম শাহীন আলমের ফেস বুক পেইজ থেকে "কুমিল্লা সদর উপজেলার ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসলে নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন? সদরের এমপি মহোদয়ের মনোনীত মামুন ভাই নাকি নতুন চমক দেখার অধীর অপেক্ষায় ইউনিয়নবাসী” এই আপডেটটি দেয়ার পরদিন মামুন চেয়ারম্যান এর সাথে ঠিকাদারী ব্যাবসায় জরিত একেই ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের নাজমুল হাসান (৪৪) নামের এক লোক সাংবাদিক শাহীনের বাবাকে বলেন, তোমার ছেলে মামুন চেয়ারম্যানের নামে ফেসবুকে আজেবাজে কি লিখেছে, তোমার ছেলেকে না করো, না হয় তোমার ছেলে বিপদে পড়বে বলে হুমকি দেয়। তাৎক্ষনিক শাহীনের বাবা সাংবাদিক শাহীনকে ফোন দিয়ে শাহীনের সাথে চেঁচামেচি করে নাজমুলের বিষয়টা শাহীনকে অবগত করে সাবধান করেন। পরক্ষণে গত ২৮শে নভেম্বর রাতে কুমিল্লা সদর উপজেলার ৬নং জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনকে সাংবাদিক শাহীনের (অনলাইন নিউজ পোর্টাল)দৈনিক বাংলা খবর পত্রিকার বার্ষিক প্রোগ্রামে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য তাহার সম্মতি চেয়ে মোবাইলে কল দেন। তখন মামুন চেয়ারম্যান সাংবাদিক শাহীনের প্রোগ্রামে আসবেনা বলে জানিয়ে দেয় এবং ফেসবুকে উপরোক্ত আপডেট এর বিষয়ে বার বার কৈফিয়ত চায়,এবং সাংবাদিক শাহীনকে বলতে থাকে তুমি যে ফেসবুকে লিখেছো আমাকে জিজ্ঞেস করে লিখছো,তুমি কি চমক পেয়েছো আমাকে তোমার বলতে হবে। সাংবাদিক শাহীন এই আপডেট তাকে না জানিয়ে দিলো কেন? নতুন কি চমক আছে, তাকে সাংবাদিক শাহীনের জবাব দিহি করতে হবে বলে কঠোর ভাবে বলে এবং সাংবাদিক শাহীনকে ফাজিল বলে মোবাইলের কল কেটে দেয়। পরক্ষণে এই বিষয়গুলি সাংবাদিক শাহীন তার কুমিল্লা নিজ এলাকার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সহ তাহার সাংবাদিক সহযোগী সহ সাংবাদিক নেতাদের অবগত করেন। এরেই সূত্র ধরে গত ১৭ ডিসেম্বর-২০২১ সাংবাদিক শাহীন তার নিজ এলাকার দূর্লভপুর মডেল হাইস্কুল মাঠে মেম্বাপ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলার প্রোগ্রামের নিউজ সংগ্রহের কাজে উপস্থিত হয়। তখন সেই প্রোগ্রামে চেয়ারম্যান মামুন ও উপস্থিত হন। সে সময় শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২বাজে। জানা যায় অতীতে মামুন চেয়ারম্যানের সাথে সাংবাদিক শাহীনের বহুবার দেখা কথাসহ বিভিন্ন সময়ে এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রণে ও ইউপি ভূমি অফিসে দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকবার কথা ও সাক্ষাত হওয়ার পরও (সেদিন) গত শুক্রবার তিনি সাংবাদিক শাহীনের সাথে এমনই আচরন করা শুরু করলো যেন তার সাথে সাংবাদিক শাহীনের কখনো পূর্ব পরিচয় ছিলই না। আরো জানা যায় ঐ দিন দূর্লভপুর মডেল হাইস্কুলে খেলার প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার আগ-মূহুর্তে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রধান শিক্ষক সহ সাংবাদিক শাহীনের এলাকার আওয়ামী অঙ্গ-সংগঠনের লোকজন এবং এলাকার গণ্যমান্য প্রায় ২০/২৫ জন লোকের সামনে আবারও ঠিক মোবাইলের মতো ফেসবুক আপডেটের কৈফিয়ত চায় এবং সাংবাদিক শাহীনের মা-বাবা ধরে অকথ্য-ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আরো বলতে থাকে সাংবাদিক শাহীন এলাকাতে কিভাবে থাকে সে দেখবে বলে হুমকি দেয় এবং সাংবাদিক শাহীনের হাত-পা ভেঙ্গে দিবে, এলাকার তারই অনুসারী ছেলেদের দিয়ে ল্যাংটা করে পিটাবে বলে ধমক দেয়। মারমুখী হয়ে সাংবাদিক শাহীনকে বলতে থাকে তুই কিসের সাংবাদিক রে,চোদমারানির পুত,কথা বললেই এখন পারামু, মামুন চেয়ারম্যান আরো বলেন কুমিল্লাতে নাকি ২/৪ জন ছাড়া কোন সাংবাদিকই নেই। সব সাংবাদিক নামধারী নাকি খানকিরপুত। জানা যায় মামুন চেয়ারম্যান কুমিল্লার সকল সাংবাদিকদের কে ইঙ্গিত করে বলেন শালারপুতেরা ধান্ধাবাজ, চাঁদাবাজ বলে বার বার সাংবাদিক শাহীনকে হেনস্তা এবং লাঞ্চিত করতে থাকে এবং ঘটনার স্হলে বার বার সাংবাদিক শাহীনকে মারতে তেড়ে আসে। এও বলে হুমকি দেয় যে, তার (পোলাপাইন)ছেলেপেলেকে বললে সাংবাদিক শাহীনের অস্তিত্ব নাকি খুজে পাওয়া যাবে না। তখন ফেসবুক আপডেটের ব্যপারে কি চমক পেয়েছিস আমাকে বলে যেতে হবে বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকিসহ গালিগালাজ করতে থাকে। এভাবে সাংবাদিক শাহীনকে লাঞ্চিত করা অবস্থায় চেয়ারম্যান মামুন এর সাথে তার সহযোগী রবিউল আলম বিপ্লব নামে এক ব্যাক্তি বলতে থাকে মামুন ভাই, তার লেবাসে দেখেন না সে কোন দলের অনুসারী। ভাই সে তো জামায়াত শিবিরের লোক। জামায়াতের এজেন্ট বার বার বলতে থাকে। বিপ্লব সাংবাদিক শাহীনকে লেবাসধারী জামায়াত শিবিরের কর্মী বলে কটুক্তি করতে থাকে। পরক্ষণেই এলাকার কোন বিষয়ে লিখলে বা নাক গলালে তোর খবর আছে বলে হুমকি দেয়। সাংবাদিক শাহীন কোথায় থাকে মামুন চেয়ারম্যান বার বার তার কাছে কৈফিয়ত চায়, তখন মামুন চেয়ারম্যানের সাথে থাকা সুমন (২৮) নামের এক ব্যাক্তি সাংবাদিক শাহীনকে বলতে থাকে আপনার ভুল হয়েছে বলে হাতেপায়ে ধরে মামুন ভাইয়ের কাছে মাফ চান বলতে থাকে , তখন সাংবাদিক শাহীন মামুন চেয়ারম্যান গংদের মারমুখী ভাব ভঙ্গি উপলব্ধি করে নিরুপায় হয়ে সরি বলে ঐ ঘটনার স্হল থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়। সাংবাদিক এম শাহীন আলম গণ-মাধ্যমকে জানায় মামুন চেয়ারম্যানের ঐদিনের প্রত্যেকটি আচরণ ঠান্ডা মাথার একজন টেররের মতোই মনে হয়েছে। সাংবাদিক শাহীন অারো জানান আমাকে বার বার আকার ইঙ্গিতে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় মামুন চেয়ারম্যান নিজে এবং তার লোকজনেরা। ঘটনার দিন সাংবাদিক শাহীন তার নিজ এলাকায় আনন্দপুর নামক গ্রাম থেকে জুম্মা নামাজ শেষে কুমিল্লা শহরের দিকে রওনা হওয়ার পথে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ভূটুয়া শ্রীপুর বড়দিঘীর পাড় চৌমুহনীতে সাংবাদিক শাহীন মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করলে একটি মাইক্রোবাস থেকে আচমকা ২৫/৩০ বছরের দুইজন যুবক সাংবাদিক মোটর বাইকের গতিরোধ করতে সাংবাদিক শাহীনকে সাংবাদিক বলে দাড়া দাড়া বলে হুমকির সহিত বলতে থাকলে তখন তিনি তাৎক্ষণিক বুদ্ধি খাটিয়ে শহরমুখী রাস্তায় না ঢুকে কমলাপুর রোডে ঢুকে গাড়ি চালানো অবস্থায় লুকিং গ্লাসে দেখতে পায়, সাংবাদিক শাহীনকে গতিরোধকারী মাইক্রোবাসটি ঘুরিয়ে তিনি যে রোডে রওয়ানা হয়েছে, সে রোডে ঢুকা অবস্থায় বিপরীত দিক থেকে বিয়ের বরযাত্রীবাহী দুটি হাইএক্স গাড়ি আসায় রাস্তা সরু হওয়ার কারণে সাংবাদিক শাহীনকে গতিরোধ করতে তারা অক্ষম হয়। তখন সাংবাদিক শাহীন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ এরিয়ায় চলে যায়, সাংবাদিক শাহীন গণ-মাধ্যমকে আরো জানান এ বিষয়টি নিয়ে আমি কুমিল্লা সদর মডেল থানায় নিরাপত্তা জনিত কারণে অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছিনা আমাকে আমার পরিবারকে বিভিন্ন লোক-মারফত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ নানান ভয় ভীতি প্রদর্শন করেই যাচ্ছে। সাংবাদিক শাহীন জানান ঘটনার দিন বিকেলে আমি আমার কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়কে ২ বার কল করলে ও তিনি হয়তো ব্যস্ত থাকায় আমার কল রিসিভ করতে সক্ষম হননি। আমি নিরুপায় হয়ে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আমার কর্মস্থলে চলে আসি।এসে আমি আমার অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক মহোদয় সহ সিনিয়র সাংবাদিকদের কে গত ১৭ ডিসেম্বরের উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে অবগত করেন।জানা যায় ঘটনার পরদিন গত-১৮ ডিসেম্বর-২০২১ ইং তারিখে সাংবাদিক শাহীন জানান তার বাবা তাকে মোবাইল ফোনে জানান যে, বিভিন্ন লোক উনার কাছে এসে নানান কথাবার্তা বলে তুই মামুন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কি লিখেছিস এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক শাহীনের বাবা তাকে মোবাইল ফোনে গালি দিতে দিতে বলতে থাকে তোকে মেরে গুম করে ফেলবে হেরা, তুই কি করলি বলে আহাজারী করতে থাকে তুই বাঁচবি না, তোর কাছে কি টাকা বা ক্ষমতা আছে তাদের সাথে লড়বি যে ? সাংবাদিক শাহীন বলেন আমি আমার বাবার মোবাইল ফোনের কথাবার্তায় যতটুকু অবগত হলাম আমি এবং আমার পরিবার বর্তমানে ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি। অন্য দিকে সাংবাদিক শাহীনের মা এবং ক্লাস সিক্স এ পড়ুয়া মেয়ে প্রতিদিনই মোবাইলে ফোন করে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে আব্বু তুমি মামুন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কি লিখেছো এলাকার লোকজনেরা বলে মামুন চেয়ারম্যানের লোকেরা তোমাকে এলাকায় পেলে মেরে ফেলবে এবং মামুন চেয়ারম্যান যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন নাকি কুমিল্লায় আসলে তোমার সমস্যা হবে এই বলে সাংবাদিক শাহীনের মা এবং মেয়ে কাঁদতে থাকে। সাং বাদিক শাহীন জানান আমার মা ও মেয়ের মতো আমার স্ত্রী ও মামুন গংদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দমকির ব্যাপারে আমাকে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার অবগত করেন। সাংবাদিক শাহীন গণ-মাধ্যমকে জানান এমতাবস্থায় আমার এবং আমার পরিবারের জান এবং মালের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। তিনি বলেন আমি একজন সৃজনশীল সংবাদ কর্মী হিসেবে প্রশাসনিক জানের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা চেয়ে মাননীয় পুলিশ প্রধানের কাছে ঘটনাটির সুষ্ঠ ও নিরুপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে কঠিন বিচার সহ আমার নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছি, সাংবাদিক এম শাহীন আলম আরো জানান, সত্য লিখার পূর্ণ্য বাক স্বাধীনতা চাই আর ভবিষ্যতে এমন অাচরণ যেন বাংলাদেশে কোন সাংবাদিকের সাথে কেউ করতে সাহস না পায় এই আশা এবং প্রত্যাশা সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্টদের কাছে।
অফিস : ৬৯/৭০ কেসিসি সুপার মার্কেট ( ২য় তলা ) খুলনা সদর, খুলনা। প্রকাশক - সম্পাদক : সুনীল দাস বার্তা সম্পাদক : তরিকুল ইসলাম ডালিম চিফ রিপোর্টার : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । যোগাযোগ : dainikmadhumati@gmail.com, newsdainikmadhumoti@gmail.com Office No : Editor : 01712680702 / 01912067948
© All rights reserved by www.dainikmadhumati.com (Established in 2022)