১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নূর হোসেনের আত্মত্যাগ গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল : শেখ হারুনুর রশীদ

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০১:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • ৪২ পড়েছেন

অফিস ডেক্স।।

###   জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, ১৯৮৭ সালের এ দিনে নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ১৫ দল, সাত দল ও ৫ দলের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিলো। সেই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ লাভ করে। স্বৈরশাসকের সব বাধাকে উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল সমবেত হয়। তখন তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের সাহসী মিছিল। তার খালি গায়ে বুকে এবং পিঠে লিখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক-স্বৈরাচার নিপাত যাক’। তিনি আরও বলেন, সমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ। পল্টন তখন রণক্ষেত্র। এরই মধ্যে খবর আসে পুলিশের গুলির্বষণে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। নূর হোসেন আত্মদানের মাধ্যমে সেদিন গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের ধারায় ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী শাসক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। নূর হোসেনের এ আত্মত্যাগ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, কৃষকলীগ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ মানিকুজ্জামান অশোক, যুব মহিলা লীগ জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, স্বেচ্ছাসেবকলীগ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান রাসেল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সরদার জাকির হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজি বাদশা মিয়া, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বি এম এ ছালাম, রফিকুর রহমান রিপন, শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, হালিমা ইসলাম, মোজাফফর মোল্যা, খায়রুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, অধ্যক্ষ ফ ম সালাম, শিউলি সারোয়ার, অমিও অধিকারি, আজগর বিশ্বাস তারা, জামিল খান, নাজনীন নাহার কনা, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, অজিত বিশ্বাস, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, জলিল তালুকদার, শিউলি বিশ্বাস, তাহিরা নয়ন, শিলা রানি মন্ডল, আব্দুল মান্নান খান মনা, সারমিন সুলতানা রুনা, সাদী, তানভির রহমান আকাশ, আশিকুজ্জামান তানভির, চিশতি নাজমুল বাশার সম্রাট, রাসেল শেখ, জান্নাতুল হাওয়া শান্তা, দিপ পান্ডে, আব্দুর রহমান, মোফিজুর রহমান মুন্না, রানা, স্বাধিন প্রমূখ।

আলোচনা সভা শেষে শহীদ নুর হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

নূর হোসেনের আত্মত্যাগ গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল : শেখ হারুনুর রশীদ

প্রকাশিত সময় : ০১:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

অফিস ডেক্স।।

###   জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, ১৯৮৭ সালের এ দিনে নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ১৫ দল, সাত দল ও ৫ দলের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিলো। সেই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ লাভ করে। স্বৈরশাসকের সব বাধাকে উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল সমবেত হয়। তখন তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের সাহসী মিছিল। তার খালি গায়ে বুকে এবং পিঠে লিখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক-স্বৈরাচার নিপাত যাক’। তিনি আরও বলেন, সমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ। পল্টন তখন রণক্ষেত্র। এরই মধ্যে খবর আসে পুলিশের গুলির্বষণে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। নূর হোসেন আত্মদানের মাধ্যমে সেদিন গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের ধারায় ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী শাসক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। নূর হোসেনের এ আত্মত্যাগ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, কৃষকলীগ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ মানিকুজ্জামান অশোক, যুব মহিলা লীগ জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, স্বেচ্ছাসেবকলীগ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান রাসেল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সরদার জাকির হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজি বাদশা মিয়া, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বি এম এ ছালাম, রফিকুর রহমান রিপন, শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, হালিমা ইসলাম, মোজাফফর মোল্যা, খায়রুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, অধ্যক্ষ ফ ম সালাম, শিউলি সারোয়ার, অমিও অধিকারি, আজগর বিশ্বাস তারা, জামিল খান, নাজনীন নাহার কনা, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, অজিত বিশ্বাস, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, জলিল তালুকদার, শিউলি বিশ্বাস, তাহিরা নয়ন, শিলা রানি মন্ডল, আব্দুল মান্নান খান মনা, সারমিন সুলতানা রুনা, সাদী, তানভির রহমান আকাশ, আশিকুজ্জামান তানভির, চিশতি নাজমুল বাশার সম্রাট, রাসেল শেখ, জান্নাতুল হাওয়া শান্তা, দিপ পান্ডে, আব্দুর রহমান, মোফিজুর রহমান মুন্না, রানা, স্বাধিন প্রমূখ।

আলোচনা সভা শেষে শহীদ নুর হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।##