১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালী সরকারি কলেজে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৪৫ পড়েছেন
সারাদেশে একযোগে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্ত:ক্যাডার৷ বৈষম্য নিরসনসহ শিক্ষা ক্যাডারের নায্য দাবিসমূহ আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
অদ্য ২৬শে সেপ্টেম্বর  সকাল ১১ টার সময়  পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রফেসর লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোদাসসের বিল্লাহ, উপাধক্ষ্য আবদুল মালেকসহ সমিতির অনান্য  সদস্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সকল ক্যাডারে সুপারনিউমারি পদে পদোন্নতি বৈষম্য নিরসন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ১২৪৪৪টি পদ সৃজন প্রস্তাবের অগ্রগতি, অধ্যাপক পদমর্যাদাসম্পন্ন ৪২৯টি পদ ৩য় গ্রেডে উন্নীত, কর্মকর্তাদের পূর্ণগড় বেতনে অর্জিত ছুটি ভোগ, উচ্চ শিক্ষা দেখভালের জেলা উপজেলায় শিক্ষা ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ গঠন দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান,  শিক্ষা ক্যাডারকে অন্ধকারে রেখে এই বিধি করার এখতিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা শিক্ষা ক্যাডার বিরোধী এসকল কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এবিধি বাতিলের দাবী করছি। শিক্ষার রুপান্তরের অন্যতম কারিগর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণ। তাঁরাই প্রণয়ন করেছেন নতুন শিক্ষাক্রম এর বাস্তবায়নে ও তাঁরাই অন্যতম শক্তি ও ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও  শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের ভিশন- ২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে মুক্ষিত হচ্ছেন। কোন কারণ ছাড়াই পদোন্নতি বন্ধ আছে দুই বছর যাবৎ। এই মুহূর্তে শিক্ষা ক্যাডারে পদোমতি যোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে পদোৱতি যোগ্য ১২০০ জন। সহযোগী অধ্যাপক পদোছর্তি যোগ্য ৩০০০ জন, সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৩০০ জন। এই কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সরকারের কোন অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন নেই। সবাই পদোজতি যোগ্য পদের বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছেন। ক্যাডার সার্ভিসে শূন্য পদ না থাকলে পদোন্নতি দেয়া যাবে না এমন কোন বিধান নেই। অথচ, শিক্ষা ক্যাডারকে শূন্য পদের অজুহাতে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল ক্যাডারের জন্য সুপারনিউমারারি পদে পদোজতি দিয়ে ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা নিলেও তা পালিত হয়নি বলে জানান তারা।
চলতি মাসের মধ্যে যুক্তি সঙ্গত দাবী মেনে না নিলে আগামী ২শরা অক্টোবর একদিনের কর্মবিরতি পালন করবে সংগঠনটির সদস্যরা। এরপরও যদি দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয়, তাহলে ১০,১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মসূচীর ঘোষনা দেন এসময় তারা।
Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

পটুয়াখালী সরকারি কলেজে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সারাদেশে একযোগে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্ত:ক্যাডার৷ বৈষম্য নিরসনসহ শিক্ষা ক্যাডারের নায্য দাবিসমূহ আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
অদ্য ২৬শে সেপ্টেম্বর  সকাল ১১ টার সময়  পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রফেসর লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোদাসসের বিল্লাহ, উপাধক্ষ্য আবদুল মালেকসহ সমিতির অনান্য  সদস্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সকল ক্যাডারে সুপারনিউমারি পদে পদোন্নতি বৈষম্য নিরসন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ১২৪৪৪টি পদ সৃজন প্রস্তাবের অগ্রগতি, অধ্যাপক পদমর্যাদাসম্পন্ন ৪২৯টি পদ ৩য় গ্রেডে উন্নীত, কর্মকর্তাদের পূর্ণগড় বেতনে অর্জিত ছুটি ভোগ, উচ্চ শিক্ষা দেখভালের জেলা উপজেলায় শিক্ষা ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ গঠন দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান,  শিক্ষা ক্যাডারকে অন্ধকারে রেখে এই বিধি করার এখতিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা শিক্ষা ক্যাডার বিরোধী এসকল কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এবিধি বাতিলের দাবী করছি। শিক্ষার রুপান্তরের অন্যতম কারিগর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণ। তাঁরাই প্রণয়ন করেছেন নতুন শিক্ষাক্রম এর বাস্তবায়নে ও তাঁরাই অন্যতম শক্তি ও ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও  শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের ভিশন- ২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ সুবিধা থেকে মুক্ষিত হচ্ছেন। কোন কারণ ছাড়াই পদোন্নতি বন্ধ আছে দুই বছর যাবৎ। এই মুহূর্তে শিক্ষা ক্যাডারে পদোমতি যোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে পদোৱতি যোগ্য ১২০০ জন। সহযোগী অধ্যাপক পদোছর্তি যোগ্য ৩০০০ জন, সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৩০০ জন। এই কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সরকারের কোন অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন নেই। সবাই পদোজতি যোগ্য পদের বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছেন। ক্যাডার সার্ভিসে শূন্য পদ না থাকলে পদোন্নতি দেয়া যাবে না এমন কোন বিধান নেই। অথচ, শিক্ষা ক্যাডারকে শূন্য পদের অজুহাতে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল ক্যাডারের জন্য সুপারনিউমারারি পদে পদোজতি দিয়ে ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা নিলেও তা পালিত হয়নি বলে জানান তারা।
চলতি মাসের মধ্যে যুক্তি সঙ্গত দাবী মেনে না নিলে আগামী ২শরা অক্টোবর একদিনের কর্মবিরতি পালন করবে সংগঠনটির সদস্যরা। এরপরও যদি দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয়, তাহলে ১০,১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মসূচীর ঘোষনা দেন এসময় তারা।