####
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান বলেছেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হলেও ইতিমধ্যেই তারা কাজে ফিরে এসেছেন। পুলিশ সুসংগঠিত হওয়ার পর বরাবরের ন্যায় একেবারেই স্বাভাবিক কাযক্রম শুর করলে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরত যাবে। সেনাবাহিনী দেশের র্সাবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দায়িত্ব পালনরত সেনা ক্যাম্প পরিদর্শণ ও সদস্যদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনা প্রধান বলেন, দেশে একটু অদ্ভুত ও অরাজকতা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে সেনা বাহিনী সারাদেশে নিয়োগ করা হয়। ৫আগষ্টের পরে আরও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি ও বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের উপর আক্রমন হয়েছে। একটা বড় সংখ্যক পুলিশ যখন ইনএ্যাক্টিটভ ছিল তখন আরও সংকট তৈরী হয়। সেনাবাহিনী কাজ করে সেটা অনেকটাই কবার করেছে।এখন আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন থানায় পুলিশকে কর্মক্ষম করে তোলার। সব ধরনের সহযোগীতা করছে সেনাবাহিনী। এখন পুলিশ বাহিনী তাদের কাজ শুরু করেছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আশাব্যাঞ্জক। দ্রুতই পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। পুলিশকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। খুব দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে যারা অপকর্ম করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। সবকিছুই স্বাভাবিক হলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীই সন্ত্রাস-নৈরাজ্য দমনে অভিযান পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, দেশের ২০জেলায় ৩০টি সংখ্যালঘু সংক্রান্ত (মাইনরিটি রিলেটেড) কিছু অপরাধ হয়েছে। যা অনাকাঙ্খিত। এ সময় তিনি সব ধরনের সহিংসতা ও নৈরাজ্য পরিহার করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
এরআগে ওয়াকার-উজ-জামান খুলনা বিভাগে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের খোঁজ খবর নেন ও মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়ে তিনি সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরে সেনা প্রধান খুলনার বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, রেঞ্জ ডিআইজি, কেএমপি কমিশমানার, বিজিবি কমান্ডারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাসহ র্সাবিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। ##