০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

প্রযুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য কতটা নিশ্চিত হয়েছে

###     আজ ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে এ দিনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে জাতিসংঘ। এরপর থেকে নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পূনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে সারা বিশে^ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে ।
‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ এ প্রতিপাদ্যে আজ বুধবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে দিনটি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি পালন করবে বিভিন্ন সংগঠন।
নারীর জন্য সমমজুরি, কাজের ঘণ্টা কমানো, উন্নত কর্মপরিবেশ ও ভোটাধিকারের দাবির দুর্বার আন্দোলনের পটভূমিকায় জন্ম হয়েছিল দিবসটির। নারীমুক্তি, নারী–স্বাধীনতা, নারী অধিকারের বিষয়গুলো দেশ-কাল ভেদে ভিন্নতা থাকলেও এদের মধ্যে রয়েছে সর্বজনীন সম্পর্ক। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়ে সারা বিশে^ প্রযুক্তিগত রূপান্তর ও ডিজিটাল শিক্ষার ক্ষেত্রে যেসব নারী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁদের অবদানের কথা স্বীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। সারা বিশে^ প্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ কম। বাংলাদেশে এ হার আরও কম। ২০২১ সালের ১ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘জেনারেশন ইকুইটি ফোরাম’-এ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ‘টেক স্টার্টআপ ও ই-কমার্সসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর অঙ্গীকার করা হয়। কিন্তু সরকারি হিসাবমতে দেখা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ২৯ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী বর্তমানে আইসিটি সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনা করছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে মাত্র ১২ শতাংশ নারী কাজ করছেন, যাঁদের অধিকাংশই প্রাথমিক বা মধ্যম পর্যায়ের কাজ করেন। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীর অবস্থান শতকরা ১ শতাংশের চেয়েও কম। এছাড়া আইসিটিতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ শতাংশেরও কম। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স ২০২২ অনুযায়ী, নারী অধিকার ও নারী-পুরুষের মধ্যকার বৈষম্য নিরসন, পেশাগত ও কারিগরি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে নারীর দক্ষতাবৃদ্ধির আশানুরূপ উদ্যোগ না থাকায় নারীরা পিছিয়ে পড়ছেন। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করতে পারলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, যা নারীর প্রয়োজন ও লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণের জন্য এর প্রতিবন্ধকতাগুলোও দূর করতে হবে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়নসহ সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সব ক্ষেত্রে নারীর সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম-অংশগ্রহণ এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারীর প্রতিবন্ধকতা এবং সীমাবদ্ধতাগুলো প্রতিনিয়ত চিহ্নিত করা অপরিহার্য।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত ও পেশাগত ক্ষেত্রে নারীরা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ব্যবহার করছেন এবং দিন দিন এর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। কিন্তু অনেকেরই সাইবার জগতে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা না থাকার কারণে কারণ কিছু দুর্বৃত্ত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে নারী নির্যাতন করছে। ইউএন উইমেনের ২০২২ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, সারা বিশ্বের ৫১টি দেশের ৩৪ শতাংশ নারী অনলাইন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশে একশনএইডের ২০২২ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ নারী অনলাইনে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাইবার প্লাটফর্মগুলোতে নারীর সুরক্ষাব্যবস্থা থাকলেও সেখানে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। বেশির ভাগই ভুক্তভোগী নারীর পুনরায় হয়রানির আশঙ্কায় অভিযোগ দিতে চান না। নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১-তে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর স্বার্থের বিভিন্ন নীতি, কৌশলপত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা সুনির্দিষ্টভাবে থাকলেও সেটি অনেক সময় কাগজেই থেকে যায়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ নারী-পুরুষের সমান অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার জন্য এখনই গ্রাম ও শহরকে সমান গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটালকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। এ জন্য নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির জ্ঞান ও ব্যবহারের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে সমতা আনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি নারীর ব্যবহার উপযোগী প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়নসহ সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সব ক্ষেত্রে নারীর সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

প্রযুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য কতটা নিশ্চিত হয়েছে

প্রকাশিত সময় : ০১:০৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

###     আজ ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে এ দিনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে জাতিসংঘ। এরপর থেকে নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পূনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে সারা বিশে^ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে ।
‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ এ প্রতিপাদ্যে আজ বুধবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে দিনটি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি পালন করবে বিভিন্ন সংগঠন।
নারীর জন্য সমমজুরি, কাজের ঘণ্টা কমানো, উন্নত কর্মপরিবেশ ও ভোটাধিকারের দাবির দুর্বার আন্দোলনের পটভূমিকায় জন্ম হয়েছিল দিবসটির। নারীমুক্তি, নারী–স্বাধীনতা, নারী অধিকারের বিষয়গুলো দেশ-কাল ভেদে ভিন্নতা থাকলেও এদের মধ্যে রয়েছে সর্বজনীন সম্পর্ক। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়ে সারা বিশে^ প্রযুক্তিগত রূপান্তর ও ডিজিটাল শিক্ষার ক্ষেত্রে যেসব নারী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁদের অবদানের কথা স্বীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। সারা বিশে^ প্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ কম। বাংলাদেশে এ হার আরও কম। ২০২১ সালের ১ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘জেনারেশন ইকুইটি ফোরাম’-এ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ‘টেক স্টার্টআপ ও ই-কমার্সসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর অঙ্গীকার করা হয়। কিন্তু সরকারি হিসাবমতে দেখা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ২৯ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী বর্তমানে আইসিটি সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনা করছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে মাত্র ১২ শতাংশ নারী কাজ করছেন, যাঁদের অধিকাংশই প্রাথমিক বা মধ্যম পর্যায়ের কাজ করেন। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীর অবস্থান শতকরা ১ শতাংশের চেয়েও কম। এছাড়া আইসিটিতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ শতাংশেরও কম। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স ২০২২ অনুযায়ী, নারী অধিকার ও নারী-পুরুষের মধ্যকার বৈষম্য নিরসন, পেশাগত ও কারিগরি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে নারীর দক্ষতাবৃদ্ধির আশানুরূপ উদ্যোগ না থাকায় নারীরা পিছিয়ে পড়ছেন। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করতে পারলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, যা নারীর প্রয়োজন ও লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণের জন্য এর প্রতিবন্ধকতাগুলোও দূর করতে হবে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়নসহ সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সব ক্ষেত্রে নারীর সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম-অংশগ্রহণ এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারীর প্রতিবন্ধকতা এবং সীমাবদ্ধতাগুলো প্রতিনিয়ত চিহ্নিত করা অপরিহার্য।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত ও পেশাগত ক্ষেত্রে নারীরা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ব্যবহার করছেন এবং দিন দিন এর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। কিন্তু অনেকেরই সাইবার জগতে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা না থাকার কারণে কারণ কিছু দুর্বৃত্ত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে নারী নির্যাতন করছে। ইউএন উইমেনের ২০২২ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, সারা বিশ্বের ৫১টি দেশের ৩৪ শতাংশ নারী অনলাইন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশে একশনএইডের ২০২২ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ নারী অনলাইনে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাইবার প্লাটফর্মগুলোতে নারীর সুরক্ষাব্যবস্থা থাকলেও সেখানে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। বেশির ভাগই ভুক্তভোগী নারীর পুনরায় হয়রানির আশঙ্কায় অভিযোগ দিতে চান না। নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১-তে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর স্বার্থের বিভিন্ন নীতি, কৌশলপত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা সুনির্দিষ্টভাবে থাকলেও সেটি অনেক সময় কাগজেই থেকে যায়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ নারী-পুরুষের সমান অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার জন্য এখনই গ্রাম ও শহরকে সমান গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটালকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। এ জন্য নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির জ্ঞান ও ব্যবহারের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে সমতা আনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি নারীর ব্যবহার উপযোগী প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়নসহ সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সব ক্ষেত্রে নারীর সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ##