১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার জ্যেষ্ঠ সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকী আর নেই; রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

###    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঘনিষ্ঠ সহচর, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার জ্যেষ্ঠজন খ্যাত, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূর-ই আলম সিদ্দিকী আর নেই।  বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে  রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার প্রেস সচিব কবি ও বাচিক শিল্পী অনিকেত রাজেশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি  জানান, নূরে আলম সিদ্দিকীর মরদেহ সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে করে ঝিনাইদাহে তার গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। সেখানে জানজা শেষে নিয়ে আসা হবে ঢাকায়। বাদ আছর গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সাভারে নিজের তৈরি করা মসজিদের সর্বশেষ জানাজা শেষে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে  সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে কবরস্থ করা হবে বলে জানান তিনি।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, নূরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন এবং ৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (নূরে আলম সিদ্দিকী) মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ যে চার ছাত্র নেতাকে সে সময় ‘চার খলিফা’ হিসেবে অভিহিত করা হতো নূরে আলম সিদ্দিকী তাদের একজন। নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। সত্তরের দশকের তুখোড় এ ছাত্রনেতা ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপিও ছিলেন তিনি। এছাড়া মুজিববাহিনীর অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকী ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নূরে আলম সিদ্দিকী । ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন।  মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনা স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা। তার বড় ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে সবশেষ দুই নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনীতির মঞ্চ বা টেলিভিশনের পর্দায় সরব মুখ ছিলেন।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার জ্যেষ্ঠ সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকী আর নেই; রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত সময় : ১২:১৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

###    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঘনিষ্ঠ সহচর, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার জ্যেষ্ঠজন খ্যাত, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূর-ই আলম সিদ্দিকী আর নেই।  বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে  রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার প্রেস সচিব কবি ও বাচিক শিল্পী অনিকেত রাজেশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি  জানান, নূরে আলম সিদ্দিকীর মরদেহ সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে করে ঝিনাইদাহে তার গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। সেখানে জানজা শেষে নিয়ে আসা হবে ঢাকায়। বাদ আছর গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সাভারে নিজের তৈরি করা মসজিদের সর্বশেষ জানাজা শেষে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে  সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে কবরস্থ করা হবে বলে জানান তিনি।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, নূরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন এবং ৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (নূরে আলম সিদ্দিকী) মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ যে চার ছাত্র নেতাকে সে সময় ‘চার খলিফা’ হিসেবে অভিহিত করা হতো নূরে আলম সিদ্দিকী তাদের একজন। নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। সত্তরের দশকের তুখোড় এ ছাত্রনেতা ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপিও ছিলেন তিনি। এছাড়া মুজিববাহিনীর অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকী ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নূরে আলম সিদ্দিকী । ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন।  মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনা স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা। তার বড় ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে সবশেষ দুই নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনীতির মঞ্চ বা টেলিভিশনের পর্দায় সরব মুখ ছিলেন।##