০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বটিয়াঘাটায় শৈলমারী নদী খনন, ইজারা বন্ধ এবং নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণের দাবী

####

খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার আমতলা ও খড়িয়াসহ সকল নদী-খাল ইজারা বন্ধ এবং নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণ করে কৃষির জন্য উন্মুক্ত জলমহল ঘোষণার দাবী জানিয়েছে স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন লোকজ ও মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন। ০৮ জুন কাতিয়ানাংলা লোকজ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ ম-ল লিখিত বক্তব্যে এ দাবী জানান। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে বক্তব্য রাখেন লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকার, মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বরীন্দ্রনাথ ম-ল, সহসভাপতি দীপ্তি মল্লিক, মো: মনসুর আলী শেখ, মো: ফজলুর রহমান লাভলু, তিমির বরণ সরকার, বন্দনা রায়, অরুন বিশ্বাস, আরনী সরকার, বাসুদেব ম-ল, খুকু রাণী অধিকারী, প্রসেন বিশ্বাস, আশিষ ম-ল, মোস্তাফিজুর রহমান, লোকজ-এর সমন্বয়কারী পলাশ দাশ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বটিয়াঘাটার অন্যতম প্রধান নদী শৈলমারি মৃতপ্রায়। শৈলমারী নদী এখন নালায় পরিণত হয়েছে। উজানের পানির চাপ না থাকায় পলি জমে এক সময়ের খর¯্রােতা এ নদী বর্তমানে এ অবস্থায় পৌঁছেছে। মানুষ হেঁটে পার হয় এ নদী। গত ৮-১০ বছর ধরে আস্তে আস্তে এই নদীর মৃত্যু ঘটেছে। অপরদিকে একের পর এক নদীর চর দখলের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়ছে নদীর প্রসস্থতা। ফলে বর্ষায় পানির চাপে প্লাবিত হচ্ছে দুই পারের লোকালয়। দুর্ভোগ বাড়ছে দুই কূলের লক্ষ লক্ষ মানুষের। এ অবস্থায় শৈলমারী নদী খনন করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে এবং জেগে উঠা ‘চর দখলদার’দের উচ্ছেদ করতে হবে।  অন্যদিকে, বটিয়াঘাটা উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত আমতলা, খড়িয়া, বটবুনিয়া, বরাখালী, ছোটখড়িয়া, মরাখড়িয়া, গোন্ধামারী ও গোগের খাল। উল্লেখিত নদী ও খালসমূহ পরস্পর সংযুক্ত, কিন্তু ভিন্ন নামে পরিচিত জলমহল। যা ওয়াপদা বেঁড়িবাধ-এর ভিতরে অবস্থিত এবং স্লুইস গেইট সংযুক্ত। উক্ত নদী-খালগুলির মাধ্যমে এলাকার ২৯টি গ্রামের প্রায় ৩৯ হাজার একর ফসলী জমির আবাদ হয় এবং এই জমির পানি নিষ্কাষিতও হয়। এই এলাকার ৪০ হাজার অধিবাসীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ কৃষিজীবি ও মৎস্যজীবি। এই নদী ও খালের পানি ব্যবহার করে আমন, আউশ ও ব্যাপক বোরো ধান, তরমুজ, কুমড়া, তিল, মুগডালসহ সকল ফসল চাষ হয়। গত বছর বৈশাখ মাস থেকে উল্লেখিত নদী-খালগুলো উন্মুক্ত জলাশয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে লিজ দেওয়া হয়েছে। ইতমধ্যে স্থানীয় কৃষকরা ইজরার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও সচিবালয় পর্যন্ত আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন নেট-পাটা উঠিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিলেও, লিজ বন্ধের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে আমরা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে শৈলমারী নদী খনন করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা এবং জেগে উঠা ‘চর দখলদার’দের উচ্ছেদ করার দাবীসহ আমতলা, খড়িয়া, গোগের খালসহ বটবুনিয়া, বরাখালী, ছোটখড়িয়া, মরাখড়িয়া ও গোন্ধামারী খালের ইজারা বন্ধ এবং নদী-খালের নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণ করে উন্মুক্ত জলাশয় ঘোষণা দাবী করা জানানো হয়েছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

বটিয়াঘাটায় শৈলমারী নদী খনন, ইজারা বন্ধ এবং নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণের দাবী

প্রকাশিত সময় : ০৩:০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

####

খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার আমতলা ও খড়িয়াসহ সকল নদী-খাল ইজারা বন্ধ এবং নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণ করে কৃষির জন্য উন্মুক্ত জলমহল ঘোষণার দাবী জানিয়েছে স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন লোকজ ও মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন। ০৮ জুন কাতিয়ানাংলা লোকজ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ ম-ল লিখিত বক্তব্যে এ দাবী জানান। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে বক্তব্য রাখেন লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকার, মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বরীন্দ্রনাথ ম-ল, সহসভাপতি দীপ্তি মল্লিক, মো: মনসুর আলী শেখ, মো: ফজলুর রহমান লাভলু, তিমির বরণ সরকার, বন্দনা রায়, অরুন বিশ্বাস, আরনী সরকার, বাসুদেব ম-ল, খুকু রাণী অধিকারী, প্রসেন বিশ্বাস, আশিষ ম-ল, মোস্তাফিজুর রহমান, লোকজ-এর সমন্বয়কারী পলাশ দাশ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বটিয়াঘাটার অন্যতম প্রধান নদী শৈলমারি মৃতপ্রায়। শৈলমারী নদী এখন নালায় পরিণত হয়েছে। উজানের পানির চাপ না থাকায় পলি জমে এক সময়ের খর¯্রােতা এ নদী বর্তমানে এ অবস্থায় পৌঁছেছে। মানুষ হেঁটে পার হয় এ নদী। গত ৮-১০ বছর ধরে আস্তে আস্তে এই নদীর মৃত্যু ঘটেছে। অপরদিকে একের পর এক নদীর চর দখলের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়ছে নদীর প্রসস্থতা। ফলে বর্ষায় পানির চাপে প্লাবিত হচ্ছে দুই পারের লোকালয়। দুর্ভোগ বাড়ছে দুই কূলের লক্ষ লক্ষ মানুষের। এ অবস্থায় শৈলমারী নদী খনন করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে এবং জেগে উঠা ‘চর দখলদার’দের উচ্ছেদ করতে হবে।  অন্যদিকে, বটিয়াঘাটা উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত আমতলা, খড়িয়া, বটবুনিয়া, বরাখালী, ছোটখড়িয়া, মরাখড়িয়া, গোন্ধামারী ও গোগের খাল। উল্লেখিত নদী ও খালসমূহ পরস্পর সংযুক্ত, কিন্তু ভিন্ন নামে পরিচিত জলমহল। যা ওয়াপদা বেঁড়িবাধ-এর ভিতরে অবস্থিত এবং স্লুইস গেইট সংযুক্ত। উক্ত নদী-খালগুলির মাধ্যমে এলাকার ২৯টি গ্রামের প্রায় ৩৯ হাজার একর ফসলী জমির আবাদ হয় এবং এই জমির পানি নিষ্কাষিতও হয়। এই এলাকার ৪০ হাজার অধিবাসীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ কৃষিজীবি ও মৎস্যজীবি। এই নদী ও খালের পানি ব্যবহার করে আমন, আউশ ও ব্যাপক বোরো ধান, তরমুজ, কুমড়া, তিল, মুগডালসহ সকল ফসল চাষ হয়। গত বছর বৈশাখ মাস থেকে উল্লেখিত নদী-খালগুলো উন্মুক্ত জলাশয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে লিজ দেওয়া হয়েছে। ইতমধ্যে স্থানীয় কৃষকরা ইজরার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও সচিবালয় পর্যন্ত আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন নেট-পাটা উঠিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিলেও, লিজ বন্ধের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে আমরা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে শৈলমারী নদী খনন করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা এবং জেগে উঠা ‘চর দখলদার’দের উচ্ছেদ করার দাবীসহ আমতলা, খড়িয়া, গোগের খালসহ বটবুনিয়া, বরাখালী, ছোটখড়িয়া, মরাখড়িয়া ও গোন্ধামারী খালের ইজারা বন্ধ এবং নদী-খালের নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণ করে উন্মুক্ত জলাশয় ঘোষণা দাবী করা জানানো হয়েছে।