### বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে আদালতের আদেশ অমান্য করে গাছ কেটে নেয়া ও বাদীকে মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত মোসলেম হাওলাদারের পুত্র খলিল হাওলাদার বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মৃত ইস্কান্দার আলী মাঝির পুত্র সাইদুল মাঝিকে বিবাদী করে মামলা করেন। মামলা নং ৩৫১/২২ ।
মামলা সূত্রে জানা যায় , খলিল হাওলাদারের সাথে বিবাদী সাইদুল মাঝি , শাওন মাঝি গংদের সাথে দীর্ঘ বিশ থেকে পঁচিশ বছর ধরে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে। বাকেরগঞ্জ অধীনস্থ জে, এল ৪৬নং ভরপাশা মৌজার এস,এ খতিয়ানের১১৭, ৩৮১,৩৮৪, ও বিএস১৩৮৬,৮৯৪ নং খতিয়ানের উপর আদালতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাদী খলিল হাওলাদার গনমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জোর পূর্বক এগারোটি গাছ কর্তন করে । যাহার মূল্য পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার টাকা। আমি পৈত্রিক সূত্রে এ জমির মালিক, কিন্তু বিবাদীরা আমাকে আমার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে উৎখাত ও বাড়ি ঘর দখলের উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অজুহাত ধরে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি করে। এমনকি মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে থাকেন। তিনি আরো বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ থাকা সত্ত্বেও তারা সন্ত্রসী কায়দায় গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা বাঁধা দিলে আমাদের দেখে নেবে বলে হুমকি দেয় সাইদুল গং। শুধু তাই নয় সাংবাদিক ভাইদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাঁদার দাবিতে গাছ কাটায় বাঁধা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন । উক্ত সংবাদ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট । প্রকৃত অর্থে চাঁদার জন্য নয় যেহেতু জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং আদালতে মামলা চলমান আছে, তাই বাঁধা দিয়েছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আদালত যে রায়ে দিবে আমার তা মেনে নেবো। কিন্তু সাইদুল গং পরলোভী, দাঙ্গাবাজ, অসৎ-প্রকৃতির, মানে না কোনো আইন কানুন, সালিস- বিচার। তাদের অত্যাচারে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন আতঙ্কে জীবন যাপন করছি । এই সাইদুল গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।##