১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাকেরগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার রাজ্জাকের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৭:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২৩৬ পড়েছেন

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার পক্ষ থেকে সুলভ মূল্যে খাদ্য সহায়তার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সহ তদারকি অফিসার ও ডিলার রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এতে ঠকছে উপকার ভোগীরা, ফুলে উঠছে ডিলার রাজ্জাক হাওলাদার। কেজি প্রতি ১৫ টাকায় ৩০ কেজি চাউলের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ২৭ থেকে ২৮ কেজি, এর বিপরীতে ৩০ কেজির টাকাই গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তবে, এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ খাদ্য কর্মকর্তা সহ তদারকি অফিসার ও ডিলার রাজ্জাকের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। তারা একে অপরকে দুষছেন। বছরে পাঁচ মাস এই সুবিধা পেয়ে থাকেন ভোক্তারা। এর মধ্যে বছরের ‘মার্চ, এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর’ মাসে খোলাবাজারে এ কর্মসূচির চাউল বিক্রয় করা হয়। এর আগে এ কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল পাওয়া যেত। গত বাজেটে এর দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা কেজি করা হয়, যা গতবছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এ কর্মসূচির পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের কয়েকজন ভোক্তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গেলে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র উঠে আসে। রাজ্জাক ডিলারকে দেখা যায় প্রত্যেক কার্ডধারীদের ৩০ কেজি চাউল বাবদ ১৫ টাকা করে ৪৫০ টাকা রাখা হচ্ছে। অথচ তাদের ২৭ থেকে ২৮ কেজি করে চাউল দেয়া হচ্ছে। কয়েকজন কার্ডধারী ভুক্তভোগী গনমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বিষয়টি জানান। এ সময় প্যাকেট করা ৩০ কেজি ওজনের কয়েকটি বস্তা ভেঙ্গে ২৭ থেকে ২৮ কেজি চাউল বিতরণ করেন ডিলার রাজ্জাক। এ বিষয়ে ডিলার রাজ্জাক বলেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে, আমি কার্ডধারীদের ২৮ কেজি করে চাউল দিচ্ছি তদারকি অফিসারের সামনে। এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলেন ৫১ জন ডিলারের মধ্যে তার একার কথা গ্রাহ্য করবো না। খাদ্য বান্ধব ডিলার রাজ্জাক হাওলাদারের চাল বিতরণের অনিয়মের বিষয়ে তদারকি অফিসার ( ট্যাগ) উপ- সহ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কিছু জানি না, তারা অফিস মেনেজ করে চাল দিতেছেন অফিসের নাকি অর্ডার আছে । অফিস অর্ডারের কোন লিখিত আছে কিনা জানে চাইলে তিনি বলেন ডিলারের কাছ থেকে শুনেছি। এছাড়াও তিনি বলেন রাজ্জাক ভাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত আছেন। গনমাধ্যম তার কাছে জানতে চান তিনি কোন দলের রাজনীতি করেন ও কোনো পতপদবী আছে কিনা তিনি বলেন অবশ্যই আওয়ামী লীগের সাথে আছেন,তবে কোনো পদপদবিতে আছেন কিনা তার উত্তর দিতে পারেন নাই। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রুবিনা পারভিন গনমাধ্যমকে বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অধিকার আছে- শতভাগ মাল বুঝে নেয়ার এবং স্পটেই তাদের বুঝে নিতে হবে। ডিলাররা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ১ কেজি কম দেয়ার কথা বলেন আন অফিসিয়াল ভাবে তবে অফিসিয়াল ভাবে ৩০ কেজি। আগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবি রায় তিনি নাকি ২৯ কেজি দিতে বলেছেন , এর চেয়ে কম এবং আমরা যদি অভিযোগ পাই তাহলে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব । এসব অভিযোগের বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, বিষয়টি আমি খাদ্য কর্মকর্তাকে বলবো এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিলারদের ডিলারশীপ বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

বাকেরগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার রাজ্জাকের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার পক্ষ থেকে সুলভ মূল্যে খাদ্য সহায়তার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সহ তদারকি অফিসার ও ডিলার রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এতে ঠকছে উপকার ভোগীরা, ফুলে উঠছে ডিলার রাজ্জাক হাওলাদার। কেজি প্রতি ১৫ টাকায় ৩০ কেজি চাউলের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ২৭ থেকে ২৮ কেজি, এর বিপরীতে ৩০ কেজির টাকাই গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তবে, এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ খাদ্য কর্মকর্তা সহ তদারকি অফিসার ও ডিলার রাজ্জাকের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। তারা একে অপরকে দুষছেন। বছরে পাঁচ মাস এই সুবিধা পেয়ে থাকেন ভোক্তারা। এর মধ্যে বছরের ‘মার্চ, এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর’ মাসে খোলাবাজারে এ কর্মসূচির চাউল বিক্রয় করা হয়। এর আগে এ কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল পাওয়া যেত। গত বাজেটে এর দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা কেজি করা হয়, যা গতবছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এ কর্মসূচির পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের কয়েকজন ভোক্তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গেলে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র উঠে আসে। রাজ্জাক ডিলারকে দেখা যায় প্রত্যেক কার্ডধারীদের ৩০ কেজি চাউল বাবদ ১৫ টাকা করে ৪৫০ টাকা রাখা হচ্ছে। অথচ তাদের ২৭ থেকে ২৮ কেজি করে চাউল দেয়া হচ্ছে। কয়েকজন কার্ডধারী ভুক্তভোগী গনমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বিষয়টি জানান। এ সময় প্যাকেট করা ৩০ কেজি ওজনের কয়েকটি বস্তা ভেঙ্গে ২৭ থেকে ২৮ কেজি চাউল বিতরণ করেন ডিলার রাজ্জাক। এ বিষয়ে ডিলার রাজ্জাক বলেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে, আমি কার্ডধারীদের ২৮ কেজি করে চাউল দিচ্ছি তদারকি অফিসারের সামনে। এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলেন ৫১ জন ডিলারের মধ্যে তার একার কথা গ্রাহ্য করবো না। খাদ্য বান্ধব ডিলার রাজ্জাক হাওলাদারের চাল বিতরণের অনিয়মের বিষয়ে তদারকি অফিসার ( ট্যাগ) উপ- সহ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কিছু জানি না, তারা অফিস মেনেজ করে চাল দিতেছেন অফিসের নাকি অর্ডার আছে । অফিস অর্ডারের কোন লিখিত আছে কিনা জানে চাইলে তিনি বলেন ডিলারের কাছ থেকে শুনেছি। এছাড়াও তিনি বলেন রাজ্জাক ভাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত আছেন। গনমাধ্যম তার কাছে জানতে চান তিনি কোন দলের রাজনীতি করেন ও কোনো পতপদবী আছে কিনা তিনি বলেন অবশ্যই আওয়ামী লীগের সাথে আছেন,তবে কোনো পদপদবিতে আছেন কিনা তার উত্তর দিতে পারেন নাই। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রুবিনা পারভিন গনমাধ্যমকে বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অধিকার আছে- শতভাগ মাল বুঝে নেয়ার এবং স্পটেই তাদের বুঝে নিতে হবে। ডিলাররা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ১ কেজি কম দেয়ার কথা বলেন আন অফিসিয়াল ভাবে তবে অফিসিয়াল ভাবে ৩০ কেজি। আগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবি রায় তিনি নাকি ২৯ কেজি দিতে বলেছেন , এর চেয়ে কম এবং আমরা যদি অভিযোগ পাই তাহলে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব । এসব অভিযোগের বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, বিষয়টি আমি খাদ্য কর্মকর্তাকে বলবো এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিলারদের ডিলারশীপ বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।