১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

####
বাগেরহাটের কচুয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসমির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই মামলার অন্য চার আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া থানার চরকাছারিয়া সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাসুদেব শাহসহ কয়েকজন অপহরণ করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন তারা। পরে এলাকায় এসে বসবাস করতে থাকেন এবং স্বর্ণের ব্যবসা শুরু করেন। তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং পিতার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা গ্রহণ করে। গত ৬ আগস্ট ২০০৬ সালে ৮ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ সৎকারের পর ৮ আগস্ট কচুয়া থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে একই বছর ২ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা সুবোধ কুমার আদালতে মামলা করেন। এতে ৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি পিবিআই তদন্ত শেষে ৪ মার্চ ২০২০ সালে ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য শেষে আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দেন। অন্য আসামিদের অব্যাহতি দেন। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহী আলম বাচ্চু এবং বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌশলী সিদ্দিকুর রহমান।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

বাগেরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত সময় : ০৬:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

####
বাগেরহাটের কচুয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসমির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই মামলার অন্য চার আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া থানার চরকাছারিয়া সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাসুদেব শাহসহ কয়েকজন অপহরণ করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন তারা। পরে এলাকায় এসে বসবাস করতে থাকেন এবং স্বর্ণের ব্যবসা শুরু করেন। তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং পিতার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা গ্রহণ করে। গত ৬ আগস্ট ২০০৬ সালে ৮ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ সৎকারের পর ৮ আগস্ট কচুয়া থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে একই বছর ২ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা সুবোধ কুমার আদালতে মামলা করেন। এতে ৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি পিবিআই তদন্ত শেষে ৪ মার্চ ২০২০ সালে ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য শেষে আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দেন। অন্য আসামিদের অব্যাহতি দেন। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহী আলম বাচ্চু এবং বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌশলী সিদ্দিকুর রহমান।