১০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবা- মার কোলে শুয়ে সংবাদ সম্মেলন  পাঠ করেন মুজাহিদ মোড়ল

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৫:৪১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩১ পড়েছেন

 

সাব্বির খান ডালিম ডুমুরিয়া :

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনদের অমানবিক অত্যাচারে পঙ্গুত্ব বরণ করতে চলেছেন ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের হতদরিদ্র মুজাহিদ হোসেন মোড়ল (৪০)। এছাড়া একাধিক হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে মুজাহিদ ও তার পরিবারকে সর্বশান্ত করা হয়েছে। ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে সোমবার বেলা ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মৃত্যুপথযাত্রী  গুরুতর অসুস্থ  মুজাহিদ আসেন বাবা ও মায়ের কোলে উঠে।

প্রেসক্লাবের টেবিলে শুয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য আধো আধো কন্ঠে পাঠ করেণ মুজাহিদ মোড়ল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় গোগ রোস্তমপুর গ্রামের আব্দুল হালিম মোল্লার মেয়ে মারিয়াকে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও শশুর-শাশুড়ি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে চাপ প্রয়োগ করে। তালাক না দেয়ায় ২০২১ সালের ২৪ মে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শশুর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে জোর করে তালাক নেয়া হয়। ওই রাতে ডিবি পরিচয় দিয়ে প্রাইভেট কারে চোখ বেধেঁ তাকে তালা উপজেলার ইসলামকাঠী গ্রামে কথিত মামা শশুর আলতাফ সরদারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই স্থানে নিয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নেয়া হয় ১’শ টাকার ১০৭ টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর। দেয়া হয় ইনজেকশন। পরের দিন সকাল ১১ টায় তালা থানায় সোপর্দ করা হয়। দেয়া হয় হয়রানীমূলক মামলা। তাতে আসামী করা হয় মুজাহিদ ও তার পিতা, আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান লিটনকে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। সাতক্ষীয়া জেল হাজতে থাকা অবস্থায় তার শশুর, মামা শশুর, চাচা শশুর, ভায়রা ভাই বাদি হয়ে একাধিক জেলার  বিভিন্ন আদালতে মোট ৬ টি হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে। তদন্তের নামে তার বাড়ি থেকে পাসপোর্টও নিয়ে যাওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এ অমানবিক নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হয়রানীমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, মুজাহিদের পিতা আশরাফ আলী মোড়ল, মা জুলেখা বেগম, ভাই সাহেদ মোড়ল, প্রতিবেশী হাফিজুর রহমান ও ইকরামুল হোসেন প্রমুখ।

 

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

বাবা- মার কোলে শুয়ে সংবাদ সম্মেলন  পাঠ করেন মুজাহিদ মোড়ল

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

 

সাব্বির খান ডালিম ডুমুরিয়া :

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনদের অমানবিক অত্যাচারে পঙ্গুত্ব বরণ করতে চলেছেন ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের হতদরিদ্র মুজাহিদ হোসেন মোড়ল (৪০)। এছাড়া একাধিক হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে মুজাহিদ ও তার পরিবারকে সর্বশান্ত করা হয়েছে। ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে সোমবার বেলা ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মৃত্যুপথযাত্রী  গুরুতর অসুস্থ  মুজাহিদ আসেন বাবা ও মায়ের কোলে উঠে।

প্রেসক্লাবের টেবিলে শুয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য আধো আধো কন্ঠে পাঠ করেণ মুজাহিদ মোড়ল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় গোগ রোস্তমপুর গ্রামের আব্দুল হালিম মোল্লার মেয়ে মারিয়াকে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও শশুর-শাশুড়ি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে চাপ প্রয়োগ করে। তালাক না দেয়ায় ২০২১ সালের ২৪ মে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শশুর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে জোর করে তালাক নেয়া হয়। ওই রাতে ডিবি পরিচয় দিয়ে প্রাইভেট কারে চোখ বেধেঁ তাকে তালা উপজেলার ইসলামকাঠী গ্রামে কথিত মামা শশুর আলতাফ সরদারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই স্থানে নিয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নেয়া হয় ১’শ টাকার ১০৭ টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর। দেয়া হয় ইনজেকশন। পরের দিন সকাল ১১ টায় তালা থানায় সোপর্দ করা হয়। দেয়া হয় হয়রানীমূলক মামলা। তাতে আসামী করা হয় মুজাহিদ ও তার পিতা, আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান লিটনকে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। সাতক্ষীয়া জেল হাজতে থাকা অবস্থায় তার শশুর, মামা শশুর, চাচা শশুর, ভায়রা ভাই বাদি হয়ে একাধিক জেলার  বিভিন্ন আদালতে মোট ৬ টি হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে। তদন্তের নামে তার বাড়ি থেকে পাসপোর্টও নিয়ে যাওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এ অমানবিক নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হয়রানীমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, মুজাহিদের পিতা আশরাফ আলী মোড়ল, মা জুলেখা বেগম, ভাই সাহেদ মোড়ল, প্রতিবেশী হাফিজুর রহমান ও ইকরামুল হোসেন প্রমুখ।