০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাল্য বিবাহকে না ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে

####
খুলনায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ ঘন্টা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় অতিথিরা বলেছন, বাল্যবিবাহকে না বলতে হবে এবং সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। বাল্যবিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন প্রণয়ন করেছে। দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ী পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ বছর পূর্ণ এবং নারীর জন্য ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করা যাবে না। বাল্যবিবাহ এখন অনেকাংশে কমে গেছে। সোমবার দুপুরে খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে নগরীর বয়রা হাজী ফয়েজউদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা।
খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন হাজী ফয়েজউদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার বৈরাগী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মাসাসের নির্বাহী পরিচালক এ্যাড. শামীমা সুলতানা শীলু প্রমুখ। স্বাগত বক্তৃতা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার সাজিয়া আফরিন সিদ্দিকী।
অতিথিরা আরও বলেন, ১০৯৮, ১০৯ ও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিবাহ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এখন সময় হলো নিজেকে তৈরি করার। ভালোভাবে পড়াশুনা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে হবে। অনার্স-ডিগ্রি পাশ করা না পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইলফোন না দেওয়াই ভাল। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবকদের অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় তিনশত শিক্ষার্থী অংশ নেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

বাল্য বিবাহকে না ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে

প্রকাশিত সময় : ০১:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

####
খুলনায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ ঘন্টা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় অতিথিরা বলেছন, বাল্যবিবাহকে না বলতে হবে এবং সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। বাল্যবিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন প্রণয়ন করেছে। দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ী পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ বছর পূর্ণ এবং নারীর জন্য ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করা যাবে না। বাল্যবিবাহ এখন অনেকাংশে কমে গেছে। সোমবার দুপুরে খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে নগরীর বয়রা হাজী ফয়েজউদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা।
খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন হাজী ফয়েজউদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার বৈরাগী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মাসাসের নির্বাহী পরিচালক এ্যাড. শামীমা সুলতানা শীলু প্রমুখ। স্বাগত বক্তৃতা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার সাজিয়া আফরিন সিদ্দিকী।
অতিথিরা আরও বলেন, ১০৯৮, ১০৯ ও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিবাহ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এখন সময় হলো নিজেকে তৈরি করার। ভালোভাবে পড়াশুনা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে হবে। অনার্স-ডিগ্রি পাশ করা না পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইলফোন না দেওয়াই ভাল। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবকদের অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় তিনশত শিক্ষার্থী অংশ নেন।