পটুয়াখালী দশমিনায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পুলিশ, সাংবাদিক ও দোকান মালিকের উপর হামলা, ভাংচুর ও দোকান লুটের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল(বিএনপির) ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে দশমিনা উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অংশ হিসাবে সকাল ১১ টায় উপজেলার সদর নলখোলা বন্দর থেকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফ্যাস্টুন ও ফ্লাকাট নিয়ে মিছিল সহ কারে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন কওে পূজাঁখোলা মোরে গিয়ে মূল সড়ক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মিছিল করে এত রাস্তায় জানযট ও লোক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। দশমিনা থানা পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরতে বললে বাকবিতন্ডা শুরু হয় এক পর্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে হাতাহাতি ও পরে ধাওয়া ও পালটা ধাওয়া শুরু হয় এবং এলোপাথারি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট মারতে শুরু করলে ঘটনা স্থলে তিনজন পুলিশ সদস্য জাকির (৪৫), সিফাদ (৩৫) ও নাজমুল(৩২) এবং দুইজন সংবাদকর্মী শাহজাদা তোহামিন(আমাদের সময়), আমিনুল ইসলাম(সকালের সময়) ও দোকান মালিক চাঁনমিয়া (৬৫) আহত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা চারটি দোকান ভাংচুর করে মালামাল লুট করে এবং থানার উপপুলিশ পরিদর্শক রহিম ও নুরহোসেন এর গাড়ি ভাংচুর করে। আহতরা দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ বিএিনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন হচ্ছে থানা পুলিশ তাদের নিজনিজ অবস্থানে ছিলো বিএনপির মিছিল পুজাঁখোলা নামক স্থানে গেলে রাস্তাবন্ধ করে মিছিল করলে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ইট মারে ঘটনাস্থলে তিনজন পুলিশ সদস্য, দুইজন সাংবাদিক ও একজন দোকান মালিক আহত হয় এবং পুলিশের দুটি মটর বাইক ভাংচুর করে ও চারটি দাকোন ভাংচুর করে লুট করে। ঘটনা স্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তি প্রক্রিয়া চলোমান।

বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু মুঠো ফোনে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ন ভাবে বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শান্তিপূর্ন ভাবে মিছিল করি। পুলিশ শুরু থেকে দফায় দফায় বাঁধা দেয়। এসআই মেহেদী আমাদের মিছিলের মধ্যদিয়ে তার নিজেস্ব মটর বাইক নিয়ে যায় এবং মহিলা নেতৃদের গায়ে লাগে এবং মেহেদী গায়ে পরে আমাদের মিছিল বাধাঁদেয় এবং লাঠিচার্জ করে এতে করে আমাদের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের লোক জন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ভাংচুর করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশের পরিকল্পিত হামলার তিব্র নিন্দা জানই।