০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএফইউজে’র নেতৃবৃন্দের প্রতি খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)’র সাধারণ সদস্যদের খোলা চিঠি

####
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সদস্যদের পক্ষ থেকে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দের আগমনে শুভেচ্ছা জানিয়ে কেইউজের অনিয়ম-দূর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলা চিঠি দিয়েছে। সদস্যবৃন্দ খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করায় তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। খোলা চিঠিতে সাধারণ সদস্যবৃন্দ উল্লেখ করেন, আপনারা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, গত ২০ মার্চ ২০২২ খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের মাধ্যমে ফারুক আহমেদ সভাপতি ও আসাদুজ্জামান রিয়াজ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। নতুন নেতৃত্বের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল সংগঠনের সকল প্রকার অনিয়ম দূর করে সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সদস্যদের হতাশ করে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নানা অনিয়মের জাল তৈরী করে। বিএফইউজে নেতৃবৃন্দের জ্ঞাতার্থে কিছু অনিয়মের কথা তুলে ধরছেন খোরা চিঠিতে-
১। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বটিয়াঘাটায় আনন্দ মেলা করা। যেখানে অশ্লিল নৃত্য,জুয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে এলাকায় মিছিল করেছে। পরে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন যদি সংগঠণের অর্থ যোগাতে এই মেলা করার সিদ্ধান্ত হয় তবে এই অর্থ কোথায়? এবং এটি করে সংগঠনের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হলো তার জন্য দায়ীদের কি হবে ?
২। সংগঠনের নতুন সদস্য হলো আমাদের সংগঠনের প্রাণ। আমরাও চেয়েছিলাম আমাদের সংগঠনে নতুন সদস্য দেওয়া হোক। যারা হবে সংগঠনের চালিকা শক্তি। নতুন সদস্য নেওয়া হলো সত্য। কিন্তু সেই সদস্য নেওয়াকে কেন্দ্র করে জন্ম হলো নানা অনিয়ম-দূর্নীতির। সদস্য হিসাবে নেওয়া হলো অষ্টেলিয়া প্রবাসী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, বিউটি পার্লার কর্মী, এনজিও কর্মচারী, শিপিং ব্যবসায়ী, ক্লিনিকের স্যাম্পেল কালেকক্টর, হোটেল ম্যানেজার, মোবাইল ব্যবসায়ী, সাংবাদিক নেতাদের ছেলে-মেয়ে। এই সদস্য পদ দিতে নতুন সদস্যদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৬০/৭০ হাজার টাকা। আমাদের প্রশ্ন এই অর্থ কে নিলো কোথায় গেলো ?
৩। নতুন সদস্যদের পরিচয় পত্র হিসাবে সনদ দেওয়া হয়েছে। যা হোটেলের অভ্যর্থনা রুমে বাধিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা যতটুকু যানতে পেরেছি পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এই সনদপত্রটি বেশ উপকারে এসেছে। যার সুফল হিসাবে অনেক হোটেল ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন এই সনদপত্র পেতে আগ্রহী।
৪। আমরা জানতে চেয়েছিলাম এই অনিয়ম করে কেন সদস্য বাড়ানো হচ্ছে ? তার উত্তর হিসাবে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনী বৈতরনী পার করতে ফেডারেলের কোন নেতা এই কু-পরামর্শ দিয়েছে। যা আমরা বিশ^াস করতে চাই না। এমনটি হলে তার বিচার চাই।
৫। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের অর্থ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অনেক অনিয়ম করা হয়েছে। একই সদস্য বারবার পাওয়ায় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উদ্দেশ্য বিঘœ ঘটছে। প্রতি চেক থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই অর্থ কোথায় গেলো সাধারন সদস্যরা জানতে চায়।
৬। খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে অনিয়ম করে খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের লাইসেন্স করা, চাকুরি দেওয়ার নাম করে অর্থ নেওয়া, সংগঠনের কার্যালয়ে সংগঠনের বাইরের লোকের বিচার করাসহ অনেক অনিয়ম করা হয়েছে।
৭। বিশেষ সাধারণ সভায় পত্রিকার মালিকে অতিথি করে শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ সাধারণ সভায় পত্রিকার মালিকদ্বয় প্রকাশ্যে সাংবাদিককে হুমকি প্রদর্শন করেছে। যা দেখে সকল সদস্য হতবাক হয়েছে।
৮। এই দুই বছরে সংগঠনের কোন আয়-ব্যায়ের হিসাব সাধারণ সদস্যদের সম্মুখে প্রকাশ করে নাই। আইন বহিরভূত বিশেষ সাধারণ সভা করে গঠণতন্ত্র সংশোধন করার চেষ্টা করলেও আয়-ব্যায়ের হিসাব দিতে চেষ্টা করেনি।
৯। সংগঠনের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রæপ খোলা হয়েছে সংগঠনের সদস্যদের মতামত পেশ করা ও সংবাদ আদান প্রদানের জন্য। সেখানে স্বার্থের বিঘœ ঘটলে তাকে ফেসবুক গ্রæপ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যায় করে।
১০। সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজ সংগঠনের কার্যালয় থেকে সরকারের খাদ্য কর্মসূচি ওমমএস-এর কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
১১। যারা পূর্বে এই পেশার ছিল কিন্তু এখন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলেজের অধ্যক্ষ, ক্লিনিকের মালিক এবং ওএমএস ডিলার তাদেরকের এই সংগঠণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
এমতাবস্থায় আমাদের মনে হয় ফারুক আহমেদ এবং আসাদুজ্জামান রিয়াজ সংগঠণ বিরোধী নানা কাজে লিপ্ত হওয়ায় তাদেরকে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সকল কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখা হোক। এখানে উল্লেখ করা একান্ত প্রয়োজন আসাদুজ্জামান রিয়াজ সার্টিফিকেট জাল জালিয়াতি করে খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ লাভ করলে পরে তাকে বহিস্কার করা হয়েছিল। কিন্তুনিয়ম অমান্য করে তাকে আবারও সদস্য পদ দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি আপনাদের এই আগমনের মধ্য দিয়ে এই অনিয়ম ,দূর্নীতি বন্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কেইউজে ও আমরা অবিচল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যবৃন্দ।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

বিএফইউজে’র নেতৃবৃন্দের প্রতি খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)’র সাধারণ সদস্যদের খোলা চিঠি

প্রকাশিত সময় : ০৮:৫২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

####
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সদস্যদের পক্ষ থেকে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দের আগমনে শুভেচ্ছা জানিয়ে কেইউজের অনিয়ম-দূর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলা চিঠি দিয়েছে। সদস্যবৃন্দ খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করায় তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। খোলা চিঠিতে সাধারণ সদস্যবৃন্দ উল্লেখ করেন, আপনারা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, গত ২০ মার্চ ২০২২ খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের মাধ্যমে ফারুক আহমেদ সভাপতি ও আসাদুজ্জামান রিয়াজ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। নতুন নেতৃত্বের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল সংগঠনের সকল প্রকার অনিয়ম দূর করে সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সদস্যদের হতাশ করে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নানা অনিয়মের জাল তৈরী করে। বিএফইউজে নেতৃবৃন্দের জ্ঞাতার্থে কিছু অনিয়মের কথা তুলে ধরছেন খোরা চিঠিতে-
১। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বটিয়াঘাটায় আনন্দ মেলা করা। যেখানে অশ্লিল নৃত্য,জুয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে এলাকায় মিছিল করেছে। পরে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন যদি সংগঠণের অর্থ যোগাতে এই মেলা করার সিদ্ধান্ত হয় তবে এই অর্থ কোথায়? এবং এটি করে সংগঠনের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হলো তার জন্য দায়ীদের কি হবে ?
২। সংগঠনের নতুন সদস্য হলো আমাদের সংগঠনের প্রাণ। আমরাও চেয়েছিলাম আমাদের সংগঠনে নতুন সদস্য দেওয়া হোক। যারা হবে সংগঠনের চালিকা শক্তি। নতুন সদস্য নেওয়া হলো সত্য। কিন্তু সেই সদস্য নেওয়াকে কেন্দ্র করে জন্ম হলো নানা অনিয়ম-দূর্নীতির। সদস্য হিসাবে নেওয়া হলো অষ্টেলিয়া প্রবাসী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, বিউটি পার্লার কর্মী, এনজিও কর্মচারী, শিপিং ব্যবসায়ী, ক্লিনিকের স্যাম্পেল কালেকক্টর, হোটেল ম্যানেজার, মোবাইল ব্যবসায়ী, সাংবাদিক নেতাদের ছেলে-মেয়ে। এই সদস্য পদ দিতে নতুন সদস্যদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৬০/৭০ হাজার টাকা। আমাদের প্রশ্ন এই অর্থ কে নিলো কোথায় গেলো ?
৩। নতুন সদস্যদের পরিচয় পত্র হিসাবে সনদ দেওয়া হয়েছে। যা হোটেলের অভ্যর্থনা রুমে বাধিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা যতটুকু যানতে পেরেছি পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এই সনদপত্রটি বেশ উপকারে এসেছে। যার সুফল হিসাবে অনেক হোটেল ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন এই সনদপত্র পেতে আগ্রহী।
৪। আমরা জানতে চেয়েছিলাম এই অনিয়ম করে কেন সদস্য বাড়ানো হচ্ছে ? তার উত্তর হিসাবে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনী বৈতরনী পার করতে ফেডারেলের কোন নেতা এই কু-পরামর্শ দিয়েছে। যা আমরা বিশ^াস করতে চাই না। এমনটি হলে তার বিচার চাই।
৫। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের অর্থ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অনেক অনিয়ম করা হয়েছে। একই সদস্য বারবার পাওয়ায় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উদ্দেশ্য বিঘœ ঘটছে। প্রতি চেক থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই অর্থ কোথায় গেলো সাধারন সদস্যরা জানতে চায়।
৬। খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে অনিয়ম করে খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের লাইসেন্স করা, চাকুরি দেওয়ার নাম করে অর্থ নেওয়া, সংগঠনের কার্যালয়ে সংগঠনের বাইরের লোকের বিচার করাসহ অনেক অনিয়ম করা হয়েছে।
৭। বিশেষ সাধারণ সভায় পত্রিকার মালিকে অতিথি করে শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ সাধারণ সভায় পত্রিকার মালিকদ্বয় প্রকাশ্যে সাংবাদিককে হুমকি প্রদর্শন করেছে। যা দেখে সকল সদস্য হতবাক হয়েছে।
৮। এই দুই বছরে সংগঠনের কোন আয়-ব্যায়ের হিসাব সাধারণ সদস্যদের সম্মুখে প্রকাশ করে নাই। আইন বহিরভূত বিশেষ সাধারণ সভা করে গঠণতন্ত্র সংশোধন করার চেষ্টা করলেও আয়-ব্যায়ের হিসাব দিতে চেষ্টা করেনি।
৯। সংগঠনের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রæপ খোলা হয়েছে সংগঠনের সদস্যদের মতামত পেশ করা ও সংবাদ আদান প্রদানের জন্য। সেখানে স্বার্থের বিঘœ ঘটলে তাকে ফেসবুক গ্রæপ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যায় করে।
১০। সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজ সংগঠনের কার্যালয় থেকে সরকারের খাদ্য কর্মসূচি ওমমএস-এর কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
১১। যারা পূর্বে এই পেশার ছিল কিন্তু এখন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলেজের অধ্যক্ষ, ক্লিনিকের মালিক এবং ওএমএস ডিলার তাদেরকের এই সংগঠণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
এমতাবস্থায় আমাদের মনে হয় ফারুক আহমেদ এবং আসাদুজ্জামান রিয়াজ সংগঠণ বিরোধী নানা কাজে লিপ্ত হওয়ায় তাদেরকে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সকল কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখা হোক। এখানে উল্লেখ করা একান্ত প্রয়োজন আসাদুজ্জামান রিয়াজ সার্টিফিকেট জাল জালিয়াতি করে খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ লাভ করলে পরে তাকে বহিস্কার করা হয়েছিল। কিন্তুনিয়ম অমান্য করে তাকে আবারও সদস্য পদ দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি আপনাদের এই আগমনের মধ্য দিয়ে এই অনিয়ম ,দূর্নীতি বন্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কেইউজে ও আমরা অবিচল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যবৃন্দ।