০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারের সমর্থনে শ্লোগান দেয়াকে আমরা ধিক্কার জানাই : সিটি মেয়র

####

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা এটা উদ্বেগজনক। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনের কোন কোন পর্যায়ে কেউ কেউ এমন আচরণ করছেন যা’ মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিত্ব করার সামিল। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি এই আন্দোলনের মূল সুর নয়। কোন বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির পক্ষে এবং বাংলাদেশ বিরোধী বা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিরোধী পথে পরিচালনা করার অপচেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকরারীদের কর্মসূচীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সংবাদ মাধ্যম বিরোধী শ্লোগান এবং সংবাদকর্মীদের উপর আক্রমন এই ধারণাকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে। আমরা এমন সব আচরণের নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারের সমর্থনে শ্লোগান দেয়াকে আমরা ধিক্কার জানাই। এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি সাংবাদিকদের উপর হামলারও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার যুগে সত্য ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা এটা রাষ্ট্রের বিরোধীতা করার সামিল। সাংবাদিকদের উন্মুক্ত ভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সাংবাদিকরাই সমাজ এবং রাষ্ট্রের দর্পন হিসেবে কাজ করে থাকে। তাদের সেই কাজে যে বাধা দিবে তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্র ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সাংবাদিকরা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। আজকের কর্মসূচি তারই ধারাবাহিকার অংশ। ভবিষ্যতেও সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের জনগুরুত্বপূর্ণ স্বার্থে রাজপথে থেকে আন্দোলন ও লিখনীর মাধ্যমে এর জবাব দিবে বলে তিনি মনে করেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) আয়োজিত এবং খুলনা স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি ও খুলনা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন-এর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মান সমুন্নত রাখা, নিরাপদ সাংবাদিকতার দাবিতে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সভাপতি মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট। মানববন্ধন পরিচালনা করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেন এবং খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ পাল। এ সময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, খুলনা স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেছুর রহমান বাবলু, পেশাজীবী সাংবাদিক সুরক্ষা মঞ্চ খুলনার আহ্বায়ক ও খুলনা প্রেসক্লাব এবং কেইউজের সাবেক সভাপতি এস এম হাবিব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মোজাম্মেল হক হাওলদার ও মো. শাহ আলম, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে বাপী, টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সুনীল দাস ও রকিব উদ্দিন পান্নু, খুলনা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক নেয়ামুল হোসেন কচি। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, কেইউজের যুগ্ম সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ শেখ জাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিলন হোসেন, নির্বাহী সদস্য শেখ লিয়াকত হোসেন ও উত্তম কুমার সরকার, কেইউজের সদস্য দেবব্রত রায়, গাজী মো. মনিরুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ, হাসান আল মামুন, আব্দুস সাত্তার, রাজু সাহা বিপ্লব, বাপ্পী খান, সোহেল হোসেন, আবু নুরাইন খোন্দকার, আব্দুল হামিদ, তুফান গাইন ও আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক রিংটন মন্ডল, মুকুল রায়, মো. রুহুল আমিন, মাহফুজুল আলম সুমন, মো. জিলহাজ¦ হাওলাদার, মো. শহীদুল হাসান, আব্দুল আজিজ, রমজান আলী জুয়েল, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. জালাল হোসেন, শসাংক রায়, শাহরিয়ার মানিক, সোহেল রানা, পারভেজ খান, মো. শাহরিয়ার, ইবনুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রাসেল ভুলু, রুবেল রানা, আব্দুর রহমান ববি, সৈয়দ মকছেদ আলী রুবেল প্রমূখ।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারের সমর্থনে শ্লোগান দেয়াকে আমরা ধিক্কার জানাই : সিটি মেয়র

প্রকাশিত সময় : ১২:১৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

####

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা এটা উদ্বেগজনক। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনের কোন কোন পর্যায়ে কেউ কেউ এমন আচরণ করছেন যা’ মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিত্ব করার সামিল। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি এই আন্দোলনের মূল সুর নয়। কোন বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির পক্ষে এবং বাংলাদেশ বিরোধী বা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিরোধী পথে পরিচালনা করার অপচেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকরারীদের কর্মসূচীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সংবাদ মাধ্যম বিরোধী শ্লোগান এবং সংবাদকর্মীদের উপর আক্রমন এই ধারণাকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে। আমরা এমন সব আচরণের নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারের সমর্থনে শ্লোগান দেয়াকে আমরা ধিক্কার জানাই। এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি সাংবাদিকদের উপর হামলারও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার যুগে সত্য ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা এটা রাষ্ট্রের বিরোধীতা করার সামিল। সাংবাদিকদের উন্মুক্ত ভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সাংবাদিকরাই সমাজ এবং রাষ্ট্রের দর্পন হিসেবে কাজ করে থাকে। তাদের সেই কাজে যে বাধা দিবে তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্র ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সাংবাদিকরা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। আজকের কর্মসূচি তারই ধারাবাহিকার অংশ। ভবিষ্যতেও সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের জনগুরুত্বপূর্ণ স্বার্থে রাজপথে থেকে আন্দোলন ও লিখনীর মাধ্যমে এর জবাব দিবে বলে তিনি মনে করেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) আয়োজিত এবং খুলনা স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি ও খুলনা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন-এর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মান সমুন্নত রাখা, নিরাপদ সাংবাদিকতার দাবিতে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সভাপতি মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট। মানববন্ধন পরিচালনা করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেন এবং খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ পাল। এ সময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, খুলনা স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেছুর রহমান বাবলু, পেশাজীবী সাংবাদিক সুরক্ষা মঞ্চ খুলনার আহ্বায়ক ও খুলনা প্রেসক্লাব এবং কেইউজের সাবেক সভাপতি এস এম হাবিব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মোজাম্মেল হক হাওলদার ও মো. শাহ আলম, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে বাপী, টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সুনীল দাস ও রকিব উদ্দিন পান্নু, খুলনা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক নেয়ামুল হোসেন কচি। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, কেইউজের যুগ্ম সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ শেখ জাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিলন হোসেন, নির্বাহী সদস্য শেখ লিয়াকত হোসেন ও উত্তম কুমার সরকার, কেইউজের সদস্য দেবব্রত রায়, গাজী মো. মনিরুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ, হাসান আল মামুন, আব্দুস সাত্তার, রাজু সাহা বিপ্লব, বাপ্পী খান, সোহেল হোসেন, আবু নুরাইন খোন্দকার, আব্দুল হামিদ, তুফান গাইন ও আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক রিংটন মন্ডল, মুকুল রায়, মো. রুহুল আমিন, মাহফুজুল আলম সুমন, মো. জিলহাজ¦ হাওলাদার, মো. শহীদুল হাসান, আব্দুল আজিজ, রমজান আলী জুয়েল, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. জালাল হোসেন, শসাংক রায়, শাহরিয়ার মানিক, সোহেল রানা, পারভেজ খান, মো. শাহরিয়ার, ইবনুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রাসেল ভুলু, রুবেল রানা, আব্দুর রহমান ববি, সৈয়দ মকছেদ আলী রুবেল প্রমূখ।