০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য ও ধর্মাচার পালনের পরিবেশসহ সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন

###      বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করা ও ধর্মাচার পালনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুদীপ্ত সরকার সূর্যের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পাদিত্য বসু, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সজীব সরকার, অর্জুন ভৌমিক, সুজয় বালা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক রিকন কুমার দে, সদস্য সচিব নয়ন দাস হৃদয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক জয় শর্মা, সদস্য সচিব শুভ সাহা, ঢাকা কলেজ কমিটির আহ্বায়ক জয় রায়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক উত্তম কুমার রায় প্রমুখ। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে স্বাধীনতা অর্জন করা রাষ্ট্র বাংলাদেশে আজ স্বাধীনতার ৫২বছর পরে এসে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সাম্প্রদায়িকতার উত্থান দেখতে পাচ্ছি। জাতির চেতনার বাতিঘর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ থেকে মুক্ত নয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিনে ইদানিং গরুর মাংস পরিবেশন করা হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও রমজান মাসে বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা টানা এক মাস ধরে খাবারের সঙ্কটে ভুগছে। যদি রমজান মাসে ক্যান্টিন বন্ধ রাখতে হয় কিংবা ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা হয় তাহলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথায় সাধারণ কোন ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা চলবে না।  নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় কিংবা হলগুলোতে পৃথক মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা নেই। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ পেলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পায় না। সম্প্রতি কয়েকটি হলে পৃথক প্রার্থনা কক্ষ করা হলেও সেগুলোও কার্যত যথাযথ উপাসনালয় নয়।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও ডাইনিংয়ে সকল ধর্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করা এবং সকলের ধর্মাচার পালনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করে সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দাবিতে চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করা হয়। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য ও ধর্মাচার পালনের পরিবেশসহ সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত সময় : ০৮:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

###      বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করা ও ধর্মাচার পালনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুদীপ্ত সরকার সূর্যের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পাদিত্য বসু, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সজীব সরকার, অর্জুন ভৌমিক, সুজয় বালা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক রিকন কুমার দে, সদস্য সচিব নয়ন দাস হৃদয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক জয় শর্মা, সদস্য সচিব শুভ সাহা, ঢাকা কলেজ কমিটির আহ্বায়ক জয় রায়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক উত্তম কুমার রায় প্রমুখ। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে স্বাধীনতা অর্জন করা রাষ্ট্র বাংলাদেশে আজ স্বাধীনতার ৫২বছর পরে এসে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সাম্প্রদায়িকতার উত্থান দেখতে পাচ্ছি। জাতির চেতনার বাতিঘর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ থেকে মুক্ত নয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিনে ইদানিং গরুর মাংস পরিবেশন করা হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও রমজান মাসে বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা টানা এক মাস ধরে খাবারের সঙ্কটে ভুগছে। যদি রমজান মাসে ক্যান্টিন বন্ধ রাখতে হয় কিংবা ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা হয় তাহলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথায় সাধারণ কোন ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা চলবে না।  নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় কিংবা হলগুলোতে পৃথক মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা নেই। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ পেলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পায় না। সম্প্রতি কয়েকটি হলে পৃথক প্রার্থনা কক্ষ করা হলেও সেগুলোও কার্যত যথাযথ উপাসনালয় নয়।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও ডাইনিংয়ে সকল ধর্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করা এবং সকলের ধর্মাচার পালনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করে সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দাবিতে চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করা হয়। ##