০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা : পানিতে তলিয়েছে রাস্তা-আবাসিক হল, শির্ক্ষাথীদের দুর্ভোগ চরমে

####

গত দুইদিনের বৃষ্টিপাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। দিন-রাত ধরে চলতে থাকা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাঘাট ও আবাসিক হলগুলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হলগুলোতে থাকা শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ময়ূর নদীর সাথে সংযোগ খাল অবৈধভাবে দখল করে দোকান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ডুবছে বলে অভিযোগ শির্ক্ষাথীদের। দ্রুত পানি নিষ্কাশন খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার দাবীও জানিয়েছেন তারা।

সোমবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গেখো গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের সামনে ও চলাচলের রাস্তায় প্রায় হাঁটুপানি জমেছে। পানিতে তলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ পুরো ক্যাম্পাসে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। শির্ক্ষাথীদের আবাসিক হলুগলোর নীচতলাও প্লাবিত হয়েছে পানিতে। খানজাহান আলী আবাসিক হলের নিচ তলা পুরোটাই পানিতে প্লাবিত। পানি ঢুকেছে শির্ক্ষাথীদের রুমগুলোতে। রুমের ভিতর পানি ঢুকে ভিজে গেছে বিভিন্ন মালামাল, বই খাতা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। অকেজো হয়ে পড়েছে নিচ তলার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। একই অবস্থা খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ হল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেরও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান, শান্ত ইসলাম ও রকিবুল বলেন, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি পানিতে চারদিক থৈ থৈ করছে। বই খাতা গুলো ভাসছে পানির উপর। এছাড়াও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার সম্ভবনা। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য হল কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ও খানজাহান আলী হলের আবাসিক ছাত্র হায়দার আলী, আবুল কাশে ও মশিয়ার রহমানসহ অনেকেই জানান, বিশ্ববিধ্যারয় সংলগ্ন ময়ূর নদীর সাথে সংযোগ খালগুলো অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ীভাবে দোকান ও ঘরবাড়িসহ অবকাঠামো নির্মাণ করার ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১৫-২০ বছর আগে এই সংযোগ খাল দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সব পানি নিষ্কাশিত হত। কিন্তু এখন সামান্য বৃষ্টিতেই পানির নিচে চলে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এ অবস্থার নিরসনে দ্রুত পানি নিষ্কাশন খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার দাবীও জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক প্রধান ড.রেজাউল করিম জানান, তিনি দ্রুত শিক্ষার্থীদের সাথে এসব সমস্যার বিষয়ে কথা বলবেন। খানজাহান আলী হল, খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ হল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভিতর আটকে থাকা পানি আপাতত মোটর দিয়ে হলের নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

বৃষ্টিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা : পানিতে তলিয়েছে রাস্তা-আবাসিক হল, শির্ক্ষাথীদের দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত সময় : ১২:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

গত দুইদিনের বৃষ্টিপাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। দিন-রাত ধরে চলতে থাকা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাঘাট ও আবাসিক হলগুলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হলগুলোতে থাকা শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ময়ূর নদীর সাথে সংযোগ খাল অবৈধভাবে দখল করে দোকান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ডুবছে বলে অভিযোগ শির্ক্ষাথীদের। দ্রুত পানি নিষ্কাশন খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার দাবীও জানিয়েছেন তারা।

সোমবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গেখো গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের সামনে ও চলাচলের রাস্তায় প্রায় হাঁটুপানি জমেছে। পানিতে তলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ পুরো ক্যাম্পাসে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। শির্ক্ষাথীদের আবাসিক হলুগলোর নীচতলাও প্লাবিত হয়েছে পানিতে। খানজাহান আলী আবাসিক হলের নিচ তলা পুরোটাই পানিতে প্লাবিত। পানি ঢুকেছে শির্ক্ষাথীদের রুমগুলোতে। রুমের ভিতর পানি ঢুকে ভিজে গেছে বিভিন্ন মালামাল, বই খাতা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। অকেজো হয়ে পড়েছে নিচ তলার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। একই অবস্থা খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ হল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেরও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান, শান্ত ইসলাম ও রকিবুল বলেন, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি পানিতে চারদিক থৈ থৈ করছে। বই খাতা গুলো ভাসছে পানির উপর। এছাড়াও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার সম্ভবনা। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য হল কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ও খানজাহান আলী হলের আবাসিক ছাত্র হায়দার আলী, আবুল কাশে ও মশিয়ার রহমানসহ অনেকেই জানান, বিশ্ববিধ্যারয় সংলগ্ন ময়ূর নদীর সাথে সংযোগ খালগুলো অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ীভাবে দোকান ও ঘরবাড়িসহ অবকাঠামো নির্মাণ করার ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১৫-২০ বছর আগে এই সংযোগ খাল দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সব পানি নিষ্কাশিত হত। কিন্তু এখন সামান্য বৃষ্টিতেই পানির নিচে চলে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এ অবস্থার নিরসনে দ্রুত পানি নিষ্কাশন খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার দাবীও জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক প্রধান ড.রেজাউল করিম জানান, তিনি দ্রুত শিক্ষার্থীদের সাথে এসব সমস্যার বিষয়ে কথা বলবেন। খানজাহান আলী হল, খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ হল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভিতর আটকে থাকা পানি আপাতত মোটর দিয়ে হলের নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি। ##