০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণ মুক্তি পাবে না : এ্যানী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণ মুক্তি পাবে না। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে দেশের বুকের ওপর দিয়ে রেললাইনের অবৈধ চুক্তি হতো না। দেশে দুর্নীতি-দুঃশাসন হতো না। স্বৈরশাসন হতো না। সরকার উপর্যুপরি মামলা ও সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রীর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে আওয়ামীলীগ নেত্রী ক্ষমতা দখল করে আছে। খালেদা জিয়াকে স্লো পয়েজোনিংয়ে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার দায়ভার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ আমাদের সামনে নেই। সোমবার (০১জুলাই) বিকালে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে কেডি ঘোষ রোডস্থ কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আন্দোলনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি মুক্ত থাকলে সার্বজনীন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকতো। তিনি আরো বলেন, গত ২২ জুন ভারতের সাথে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করা হলো তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে। এর ফলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব চুক্তি-স্মারকের মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার অংশে পরিণত করা হয়েছে, যা খুবই বিপজ্জনক এবং দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি। এটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জোটনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী। এসব সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নিরাপত্তা কৌশলগত ‘বাফার স্টেট’ হিসেবে ভারতকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে চান। এর ফলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জটিলতার মধ্যে জড়িয়ে পড়বে।


খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিশেষ বক্তা ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, বেগম রেহানা ঈসা, কে এম হুমায়ুন করীর, ডাঃ আব্দুল মজিদ, যুবদলের নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শামীম কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, মহিলা দলের এলিজা খানম এলিজা, তসলিমা খাতুন ছন্দা, শ্রমিকদলের শফিকুল ইসলাম শফি, খান ইসমাইল হোসেন, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, মোল্লা কবির হোসেন, ছাত্রদলের ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি প্রমূখ। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণ মুক্তি পাবে না : এ্যানী

প্রকাশিত সময় : ০১:৪৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণ মুক্তি পাবে না। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে দেশের বুকের ওপর দিয়ে রেললাইনের অবৈধ চুক্তি হতো না। দেশে দুর্নীতি-দুঃশাসন হতো না। স্বৈরশাসন হতো না। সরকার উপর্যুপরি মামলা ও সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রীর প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে আওয়ামীলীগ নেত্রী ক্ষমতা দখল করে আছে। খালেদা জিয়াকে স্লো পয়েজোনিংয়ে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার দায়ভার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ আমাদের সামনে নেই। সোমবার (০১জুলাই) বিকালে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে কেডি ঘোষ রোডস্থ কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আন্দোলনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি মুক্ত থাকলে সার্বজনীন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকতো। তিনি আরো বলেন, গত ২২ জুন ভারতের সাথে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করা হলো তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে। এর ফলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব চুক্তি-স্মারকের মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার অংশে পরিণত করা হয়েছে, যা খুবই বিপজ্জনক এবং দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি। এটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জোটনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী। এসব সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নিরাপত্তা কৌশলগত ‘বাফার স্টেট’ হিসেবে ভারতকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে চান। এর ফলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জটিলতার মধ্যে জড়িয়ে পড়বে।


খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিশেষ বক্তা ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, বেগম রেহানা ঈসা, কে এম হুমায়ুন করীর, ডাঃ আব্দুল মজিদ, যুবদলের নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শামীম কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, মহিলা দলের এলিজা খানম এলিজা, তসলিমা খাতুন ছন্দা, শ্রমিকদলের শফিকুল ইসলাম শফি, খান ইসমাইল হোসেন, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, মোল্লা কবির হোসেন, ছাত্রদলের ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি প্রমূখ। ##