####

খুলনায় ১৫ দিনব্যাপী বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা সাকির্ট হাউজ মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ। এ সময় তিনি বলেন, জীবন ও পরিবেশ রক্ষায় গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাছ থেকে আমরা জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছু পাই। তাই গাছের প্রতি আমাদেরও উদার হতে হবে। গাছ আমাদের অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে, গাছের থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় রয়েছে। গাছ কাউকে আঘাত করে না। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, অফিস-আদালত, বাড়ির আঙ্গিনাসহ বিভিন্ন খালি জায়গায় বৃক্ষরোপণ করতে হবে, এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা রাখা যাবে না। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত তৃণমূলের মানুষকেও বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে একটি গাছ কাটলে যেন কমপক্ষে তিনটি গাছ লাগায় সে বিষয়েও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী, খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, খুলনা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি এসএম বদরুল আলম রয়েল প্রমুখ। খুলনা জেলা প্রশাসন ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ২০২৩সালের বৃক্ষমেলায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭০ হাজার আটশত ৬০টি গাছের চারা বিক্রি হয়েছে। এ বছরও গাছ কেনা ও রোপনের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সবাই।

এর আগে বৃক্ষ মেলা উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজ মাঠে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিভাগীয় এ বৃক্ষ মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল আটটা হতে রাত নয়টা পর্যন্ত। মেলায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগসহ মেলায় মোট ৫৫টি স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি হবে। ##