ভারত থেকে একেবারে শূন্য হাতে এসেছি বলা যাবে না। এটা আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সব বিষয়েই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সফরেও আমরা একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছি, এটা বলতে পারব না। সব বিচারে এই সফর সফল।
আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সফরে ভারতের যথেষ্ট আন্তরিকতা আমি পেয়েছি। তাদের আন্তরিকতা সবসময়ই ছিল, আছে। একটা বিষয় হলো, বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সব দল মত সবসময় এক থাকে। একাত্তরে যেমন সব দল সমর্থন দিয়েছিল। আমরা যখন ছিটমহল বাস্তবায়ন করি, তখন সব দল এক হয়ে পার্লামেন্টে আইন পাস করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি স্পষ্ট, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নেই। আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলেছি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গেছেন, কিন্তু এরপরও বন্ধুত্বের সম্পর্কে কোনো চিড় ধরেনি।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানিবণ্টন, সীমান্তে হত্যা ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহযোগিতার বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পায়।