০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশর মধ্যে সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছে  : সিটি মেয়র

  • অফিস ডেক্স।।
  • প্রকাশিত সময় : ১২:১৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৬৫ পড়েছেন

####
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্বপূর্নই নয়-এটি রক্তের বন্ধনের সম্পর্ক। ১৯৭১সালে বাংলাদেমের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত এক কোটিরও বেশী বাঙালীকে আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগীতা করেছে। একই সাথে বাঙ্গালীদের আত্নাহুতির পাশাপাশি ১৮হাজারেরও বেশী ভারতীয় সৈন্য আমাদের মুক্তিদুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। ভারতীয় এসব সৈন্যদের আত্নবলিদানের কথা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। যা বাংলাদেশ কোনদিনও ভুলে যাবে না। শুক্রবার রাতে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সিটি মেয়র আরও বলেন, ভারত শুধুই আমাদের প্রতিবেশীই নয়-তারা বাংলাদেশের অকৃত্রিম সহযোগীও। ভারত সব সময় বাংলাদেশের যে কোন সংকটময় সময়ে পাশে সহযোগীতা করেছেন। শুধু তাই নয় ভারত বাংলাদেশের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, স্বাস্থ্য, উন্নয়ণ ও অগ্রগতিতে আর্থিক সহযোগীতা করেও বন্ধুত্বেও বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করছে। ইতিমধ্যেই মোংলা বন্দরের সাড়ে ৬হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা-খুলনা রেল লাইন নির্মান, রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র, খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে নারী শিক্ষার উন্নয়নে চারতলা স্কুল ভবন নির্মানসহ সারা দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে। যা দেশের উন্নয়ণ ও সমৃদ্ধি এবং মানুষের কল্যানে ব্যবহৃত হচ্ছে।  তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও গভীর ও উন্নয়ন ঘটবে বলে প্রত্যাশা করেন। অনুষ্টানের শুরুতে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্কেও উল্লেখ করে ভারত সরকার বাংলাদেশের নাগরীকদের  শিক্ষা বৃত্তি ও সাংষ্কৃতিক উন্নয়নে ভুমিকার কতা তুলে ধরে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধদের চিকিৎসা সুবিধা, সন্তানদেও বৃত্তি প্রদান এবং ৫বছর মেয়াদী ভিসা প্রদানের ব্যবস্থার কথা জানান। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন, কেএমপির কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।  পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।  ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

ভারত-বাংলাদেশর মধ্যে সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছে  : সিটি মেয়র

প্রকাশিত সময় : ১২:১৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

####
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্বপূর্নই নয়-এটি রক্তের বন্ধনের সম্পর্ক। ১৯৭১সালে বাংলাদেমের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত এক কোটিরও বেশী বাঙালীকে আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগীতা করেছে। একই সাথে বাঙ্গালীদের আত্নাহুতির পাশাপাশি ১৮হাজারেরও বেশী ভারতীয় সৈন্য আমাদের মুক্তিদুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। ভারতীয় এসব সৈন্যদের আত্নবলিদানের কথা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। যা বাংলাদেশ কোনদিনও ভুলে যাবে না। শুক্রবার রাতে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সিটি মেয়র আরও বলেন, ভারত শুধুই আমাদের প্রতিবেশীই নয়-তারা বাংলাদেশের অকৃত্রিম সহযোগীও। ভারত সব সময় বাংলাদেশের যে কোন সংকটময় সময়ে পাশে সহযোগীতা করেছেন। শুধু তাই নয় ভারত বাংলাদেশের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, স্বাস্থ্য, উন্নয়ণ ও অগ্রগতিতে আর্থিক সহযোগীতা করেও বন্ধুত্বেও বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করছে। ইতিমধ্যেই মোংলা বন্দরের সাড়ে ৬হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা-খুলনা রেল লাইন নির্মান, রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র, খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে নারী শিক্ষার উন্নয়নে চারতলা স্কুল ভবন নির্মানসহ সারা দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে। যা দেশের উন্নয়ণ ও সমৃদ্ধি এবং মানুষের কল্যানে ব্যবহৃত হচ্ছে।  তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও গভীর ও উন্নয়ন ঘটবে বলে প্রত্যাশা করেন। অনুষ্টানের শুরুতে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্কেও উল্লেখ করে ভারত সরকার বাংলাদেশের নাগরীকদের  শিক্ষা বৃত্তি ও সাংষ্কৃতিক উন্নয়নে ভুমিকার কতা তুলে ধরে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধদের চিকিৎসা সুবিধা, সন্তানদেও বৃত্তি প্রদান এবং ৫বছর মেয়াদী ভিসা প্রদানের ব্যবস্থার কথা জানান। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন, কেএমপির কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।  পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।  ##