০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুয়া কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জালের অভিযোগে কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত

####

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৩৭ জন কর্মচারীকে ভুয়া কাগজপত্র ও জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে হাইকোর্টে মামলা করার দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা সবাই মাস্টার রোলে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। সোমবার (১ এপ্রিল) কেসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ চাকুরী চ্যুতির আদেশ দেওয়া হয়।  কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের এসব কর্মচারীরা কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্প্রে-ম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়ির চালকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশনের স্বপক্ষে সেখানে তারা বেশ কিছু কাগজপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে কয়েকটি আবেদনের কাগজ সিটি কর্পোরেশনের রিসিভ করা কপি তারা জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই কাগজপত্র কখনও সিটি কর্পোরেশন রিসিভ করেনি। দাখিলকৃত কাগজপত্রে সিটি কর্পোরেশনের অফিসারদের যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে তা ভুয়া। এই কাজের মূল হোতা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্প্রে-ম্যান বাচ্চু শেখ। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ভুয়া কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জালের বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাচ্চু শেখসহ ৩৭ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

চাকুরীচ্যুতরা হরো-স্প্রে-ম্যান মোঃ বাচ্চু শেখ, স্প্রে-ম্যান মোহাম্মদ, স্প্রে-ম্যান মোঃ নিকমল মল্লিক, স্প্রে-ম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান, স্প্রে-ম্যান মোঃ কুদ্দুস শেখ, স্প্রে-ম্যান মোঃ লিয়াকত শেখ, স্প্রে-ম্যান মোঃ আক্কাস, স্প্রে-ম্যান মোঃ মুজিবর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোঃ বেল্লাল শেখ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রলাদ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী রুস্তম খা, কঞ্জারভেন্সি মোঃ বাবুল হাওলাদার, স্প্রে-ম্যান মমতাজ বেগম, কঞ্জারভেন্সি কালাম ফকির, মোঃ জাকারিয়া হোসেন, মোঃ কোরবান আলী, খান মনিরুল ইসলাম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আজিজুল শিকদার, মনিরুল শেখ, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোঃ ইউসুফ হাওলাদার, পূর্ত বিভাগের ক্লিনার মোঃ শাহজাহান, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার আশরাফুল ইসলাম, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোঃ জাফর, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার খান ইসমাইল হোসেন, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোঃ নজরুল ইসলাম, পূর্ত বিভাগের হেলপার মোঃ আইয়ুব আলী, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোঃ নাসির, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোজাম গাজী, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোতাবেল আলী, বিদ্যুৎ মিস্ত্রী সোনা দাস, নিরাপত্তা প্রহরী রাসেল বিশ্বাস, নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ শহীদুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ, নিরাপত্তা প্রহরী নাসির উদ্দিন ও নিরাপত্তা প্রহরী শেখ আবু জাফর।

কেসিসির সচিব সানজিদা বেগম জানান, ভূয়া কাগজপত্র এবং কেসিসি’র অফিসিয়াল প্যাড ও দলিলাদি ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে ১৪৩৪৮/২৩নং রীট মামলা দায়ের করা এবং সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর সিটি মেয়রের নির্দেশে ৩৭ কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাস্টার রোলে চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে কেসিসিতে কর্মরত ছিলেন।  ০১‘এপ্রিল থেকে তাদের চাকুরীচ্যুতির বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

ভুয়া কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জালের অভিযোগে কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত

প্রকাশিত সময় : ০১:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

####

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৩৭ জন কর্মচারীকে ভুয়া কাগজপত্র ও জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে হাইকোর্টে মামলা করার দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা সবাই মাস্টার রোলে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। সোমবার (১ এপ্রিল) কেসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ চাকুরী চ্যুতির আদেশ দেওয়া হয়।  কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের এসব কর্মচারীরা কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্প্রে-ম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়ির চালকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশনের স্বপক্ষে সেখানে তারা বেশ কিছু কাগজপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে কয়েকটি আবেদনের কাগজ সিটি কর্পোরেশনের রিসিভ করা কপি তারা জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই কাগজপত্র কখনও সিটি কর্পোরেশন রিসিভ করেনি। দাখিলকৃত কাগজপত্রে সিটি কর্পোরেশনের অফিসারদের যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে তা ভুয়া। এই কাজের মূল হোতা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্প্রে-ম্যান বাচ্চু শেখ। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ভুয়া কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জালের বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাচ্চু শেখসহ ৩৭ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

চাকুরীচ্যুতরা হরো-স্প্রে-ম্যান মোঃ বাচ্চু শেখ, স্প্রে-ম্যান মোহাম্মদ, স্প্রে-ম্যান মোঃ নিকমল মল্লিক, স্প্রে-ম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান, স্প্রে-ম্যান মোঃ কুদ্দুস শেখ, স্প্রে-ম্যান মোঃ লিয়াকত শেখ, স্প্রে-ম্যান মোঃ আক্কাস, স্প্রে-ম্যান মোঃ মুজিবর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোঃ বেল্লাল শেখ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রলাদ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী রুস্তম খা, কঞ্জারভেন্সি মোঃ বাবুল হাওলাদার, স্প্রে-ম্যান মমতাজ বেগম, কঞ্জারভেন্সি কালাম ফকির, মোঃ জাকারিয়া হোসেন, মোঃ কোরবান আলী, খান মনিরুল ইসলাম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আজিজুল শিকদার, মনিরুল শেখ, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোঃ ইউসুফ হাওলাদার, পূর্ত বিভাগের ক্লিনার মোঃ শাহজাহান, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার আশরাফুল ইসলাম, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোঃ জাফর, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার খান ইসমাইল হোসেন, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোঃ নজরুল ইসলাম, পূর্ত বিভাগের হেলপার মোঃ আইয়ুব আলী, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোঃ নাসির, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোজাম গাজী, পূর্ত বিভাগের ড্রাইভার মোতাবেল আলী, বিদ্যুৎ মিস্ত্রী সোনা দাস, নিরাপত্তা প্রহরী রাসেল বিশ্বাস, নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ শহীদুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ, নিরাপত্তা প্রহরী নাসির উদ্দিন ও নিরাপত্তা প্রহরী শেখ আবু জাফর।

কেসিসির সচিব সানজিদা বেগম জানান, ভূয়া কাগজপত্র এবং কেসিসি’র অফিসিয়াল প্যাড ও দলিলাদি ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে ১৪৩৪৮/২৩নং রীট মামলা দায়ের করা এবং সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর সিটি মেয়রের নির্দেশে ৩৭ কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাস্টার রোলে চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে কেসিসিতে কর্মরত ছিলেন।  ০১‘এপ্রিল থেকে তাদের চাকুরীচ্যুতির বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে।