০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্মার্ট কয়রা-পাইকগাছা গড়তে 'উন্নয়ন স্বপ্ন' সংকলনের মোড়ক উন্মোচন :

ভুল-ত্রুটি না ধরে আগামী নিবার্চনে আবারও মনোনয়ন পেতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাইলেন আকতারুজ্জামান বাবু

####

স্মার্ট কয়রা-পাইকগাছা গড়তে ‘উন্নয়ন স্বপ্ন’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ূন কবির বালু মিলনায়তনে ‘উন্নয়ন স্বপ্ন’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু।  মোড়ক উন্মোচন সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু।

মতবিনিময় সভায় খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো: আকতারুজ্জামান বাবু খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের উন্নয়নে অনুদানের প্রতিশ্রুত দিলেও গত ৫বছরে তা দিনে না পারার কথা স্বীখার করেন। তিনি মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের জানান, ব্যক্তিগত ও সংষদ সদষ্যের বরাদ্ধ থেকে না দিতে পারলেও খুলনা জেলা পরিষদের মাধ্যমে বরাদ্ধকৃত দুই লাখ টাকা খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের উন্নয়নে তার প্রতিশ্রুত অনুদান নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দেন। তিনি বিগত ৫বছরে এলাকার ও জনগনের উন্নয়ন করতে গিয়ে কোন ভুলত্রুটি হলে সেগুলোকে মার্জনা করে উন্নয়নের কথা তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেতে একজন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, ভাই ও বন্ধু হিসেবে সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে সহযোগীতা চান। বিগত ৫বছরে খুলনা-৬ আসনে যে সকল কাজ হয়েছে সেখানে অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে এরআগে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হলেও সে বিষয়ে মতবিনিময় সভায় উত্থাপন না করতে অনুরোধও করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিগত দিনের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, বিগত ৫বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নে সব সময় সার্বিকভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আমাকেসহ কয়রা-পাইকগাছাবাসীকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন। একই সাথে আমার রাজনৈতিক অভিভাবক শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। গত ৫বছরে এলাকার মানুষের ও অবহেলিত কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নে কাজ করেছি। এরমধ্যে আম্ফানে, ইয়াস, বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধ ১১৭৬ কোটি টাকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান। ইতিমধ্যে ১৬০ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান এবং কাজ চলমান রয়েছে। জাইকার অর্থায়নে ৩২৭ কোটি টাকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের লক্ষ্যে উত্তরবেদকাশির বাঁধ ও বাইনতলা সুইচ গেট, গড়ইখালী, খুদখালী বাঁধ, আলমতলায় ব্লক দ্বারা বাঁধ নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ওয়াপদা কর্তৃক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ২১০ কোটি টাকা ব্যায়ে রাডুলির শালিখা থেকে আমাদীর ভাটি পর্যন্ত ৩৬ কি.মি. কপোতক্ষ নদ খনন কাজ চলমান। প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিবসা, হাড়িয়া, কাটাখালী কয়রা নদী খননের জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।নাসিরপুর খাল, পোদাখাল ১১ কোটি টাকা ব্যায়ে খনন, দেলুটি ডিহি বোড়া খাল ৫ কি.মি. সহ অনেক খাল ও কয়রার আমাদী ও বাগলী ইউনিয়নে একাধিক খাল খনন সমাপ্ত ও দেলুটির গাছুয়া নদী সহ বিভিন্ন খাল খনন প্রক্রিয়াধীন ও আরো ৩০টি খাল খননের জন্য ডিপিপি অনুমোদন হয়েছে। পাইকগাছা-কয়রা এল.জি.ই.ডি এর অধীনে আনুমানিক ২০০ টাকার অধিক ব্যয়ে অনেক রাস্তার কাজ সমাপ্ত ও চলমান এবং অনেক রাস্তার টেন্ডার সম্পন্ন ও প্রক্রিয়াধীন।সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ৩৩৯ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৮ মাইল থেকে কয়রা সদর পর্যন্ত রাস্তার কাজ ৭৫% সমাপ্ত ও বাকি ২৫% কাজ ও রাস্তা সরলীকরণে ভূমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। এই রাস্তা প্রসস্থকরণের জন্য গত ১৮/০৫/২০২৩ তারিখে ১৮ মাইল থেকে কয়রা সদর পর্যন্ত সড়কের ২ পাশে ৩ ফিট+৩ ফিট মোট ৬ফিট প্রসস্থকরণের টেন্ডার আহ্বান ও কার্যাদেশ প্রদানের কাজ চলমান।পাইকগাছা-কয়রা সল্প সময়ে পৌঁছানোর জন্য রূপসা ব্রীজ পার হয়ে বটিয়াঘাটা-ছাচিয়াবুনিয়া রোড থেকে সুরখালী ইউনিয়ন থেকে দারুনমল্লিক হয়ে পাইকগাছা পর্যন্ত ৪০ কি.মি রাস্তা ভূমি অধিগ্রহন সহ ৭৪৭ কোটি টাকার ডিপিপি গ্রহণ। কয়রা- পাইকগাছাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার দাবি সংসদে উত্থাপন। ১৮ মাইল থেকে কয়রা পর্যন্ত রাস্তা চার লেন করার প্রস্থাব সংসদে উত্থাপন ।

এল.জি.ই.ডি এর অধীনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ সমাপ্ত, চলমান ও অনেকগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, হাইস্কুল ভবন, মাদ্রাসা ভবন ও বিভিন্ন গেট ও প্রাচীর নির্মাণ। পাইকগাছা কৃষি কলেজের বিগত সময়ের ধারাবাহিক উন্নয়নে চলমান কাজের সাথে বাকি উন্নয়ন কাজ চলমান। একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কয়রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে টিটিসি একনেকে অনুমোদন ও জমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। ১৫টি মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা এম,পি,ও করণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ব্যাপারে সংসদে উত্থাপন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবহনকারী মুর্যাল ও ট্যারাকোটা নির্মাণ এর কাজ চলমান। ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন এবং আরো ৩১টি প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কাজ দ্রুত সমাপ্ত হবে।

একই সাথে কয়রা সদর পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য পাইকগাছার সোলদানা ইউনিয়নের ভিলেজ পাইকগাছা-লস্কর ইউনিয়নের কড়লিয়া নদীর ওপর ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৪৮.৯০ মিটার ব্রীজ এর টেন্ডার ১২/০২/২০২৩ আহ্বান হয়ে কার্যাদেশ প্রদান করা হবে অচিরেই। ভোমরা বন্দরের সাথে কয়রা পাইকগাছার দূরত্ব কমানোর জন্য কয়রার দশালিয়া নামক স্থানে ব্রীজ নির্মাণ সংসদে উত্থাপন।  শিববাটি সেতু ও চাঁদআলী সেতু’র টোল মওকুফের জন্য সংসদে একাধিকবার উত্থাপন এবং নোটিশ প্রদান। দারুনমল্লিক- দেলুটি ব্রিজ, দেলুটি-লতা ব্রীজ, লতা-সোলদানা ব্রীজ নির্মাণের লক্ষ্যে সেতু বিভাগের সমীক্ষার কাজ চলমান। ইতিমধ্যে সেতু মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা সহ আমি উক্ত জায়গা পরিদর্শন করি। ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কয়রা সদর থেকে কাশির হাট পর্যন্ত রাস্তা একনেকে অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন এবং স্মরণখালী থেকে বড়দল ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা ১৮ ফুট প্রসস্থকরণ সহ ৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০ টি ত্রাণের ব্রীজের কাজ সমাপ্ত ও কয়েকটি কাজ চলমান ও ১৭টির ত্রাণের ব্রীজের কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। ত্রাণের এইচবিবি রাস্তা ১৫ কিমি সমাপ্ত ত্রাণের বিসি রাস্তা ৯ কি.মি.র কাজ চলমান। লতা ইউনিয়নে কাঠামারীতে কাঠামারী ব্রীজ ও দেলুটি ইউনিয়নে নড়া নদীর ব্রীজ দুটোর জন্য ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রইং ডিজাইনের কাজ চলছে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে কাজের উদ্বোধন সম্ভব হবে। রাডুলিতে খেসড়া ব্রীজ, শালিখা ব্রীজ, কপিলমুনি শংকর দানা ব্রীজ, গড়ইখালী বাইনতলা ব্রীজের কাজ চলমান ৬০% সমাপ্তির পথে। গড়ইখালি শীলপাড়া ব্রীজের টেন্ডার সমাপ্ত। কয়রায় ৩৬ মিটার কায়েমখালী ব্রীজ টেন্ডার সমাপ্ত। মহারাজপুর, বাগালীতে একটি করে ব্রীজ অনুমোদন, আরো ১০০ মিটারের ৮টি ব্রীজ এর অনুমোদন।

কয়রা ও পাইকগাছায় ২টি মুজিব কিল্লার কাজ সমাপ্তির পথে আরো ৩টি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। • কয়রা গোলখালীতে সুন্দরবনের পাদদেশে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটনকেন্দ্রের জন্য অর্থ বরাদ্দ এবং ইতিমধ্যে ৪ কোটি টাকার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। • ঐতিহ্যবাহী মসজিদ কুড় মসজিদ, পিসি রায়ের বাড়ি সংস্কার এবং বেদকাশী দীঘি, আমাদী দীঘি রক্ষণাবেক্ষণ সহ পর্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ। পাইকগাছা জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি নন্দন ম্যুরাল ও কয়রার আমাদীতে এবং বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল ও চাঁদআলী ব্রীজে উঠার জন্য দৃষ্টি নন্দন সিঁড়ি, বঙ্গবন্ধু, সুন্দরবন, সাত বীরশ্রেষ্ঠ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এম.এ.গফুরের দৃষ্টি নন্দন ম্যুরাল নির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন। পাইকগাছায় বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, ফজলুল হক মনি, শেখ রাসেল ও শেখ হেলাল ভাইয়ের দৃষ্টি নন্দন ম্যুরাল স্থাপন সহ আধুনিক মুজিব কর্ণার নির্মাণ। ২টি উপজেলায় দুটি দৃষ্টি নন্দন প্রবেশ দ্বার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ। ১৯৭২ এর ২২ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান লস্কর ইউনিয়নের আলমতলায় যেখানে মাটি কেটে ভেড়ী-বাধ উদ্বোধন করেছিলেন, সেখানে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ। পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় বাংলাদেশের ৪৬০ টি উপজেলার মধ্যে ১০০টি উপজেলায় সামাজিক সুরক্ষাবলয় (যেমন- ভিডিজি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা) ১০০% জনগন আওতাভুক্ত হয়েছে। লক্ষ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা চেক প্রদান। এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের থেকে দুইশতাধিক।দরিদ্র, ও অসচ্ছল সাধারণ মানুষ (দলমত নির্বিশেষে) ১২০০ জন মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৭লাখ ও সর্বনিন্ম ৫০,০০০টাকা পর্যন্ত সহায়তা প্রদান । করোনাকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক এলাকায় অবস্থান করে মানুষকে সেবা প্রদান এবং ১২০০০ লোককে জননেতা শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও নিজস্ব অর্থায়নে এবং ব্যক্তিদের সহায়তায় খাদ্য সমগ্রী বিতরন। অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। পানি আমাদী, কয়রা সদর ও কপিলমুনিতে আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ ভবন অনুমোদন, বাকি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন প্রায় প্রত্যেকটি যার জন্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। • দুই উপজেলায় ২টি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নিমার্ণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক জমি অধিগ্রহণের নিমিত্তে জমি নির্বাচনের কাজ প্রক্রিয়াধীন ও উল্লেখ্য সাংস্কৃতিক মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ইতিমধ্যে নির্দেশনাসহ জায়গা পরিদর্শন করেছেন। নিজ ও দলীয় শুভাকাঙ্খিদের অর্থায়নে পাইকগাছায় দ্বিতল দলীয় কার্যালয় ও কয়রায় জমি ক্রয় করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের কাজ চলমান। দীর্ঘ ১৯৬০ সাল পর থেকে কয়রা সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ছিল এটাকে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে আনা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৩৬ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দে ৫০০০রেইন ওয়াটার হার্বেষ্টিং ও (পানির ট্যাংকি), গভীর নলকুপ ও প্রতিটি ৪০-৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৮টি আরও স্থাপন, ওয়াস ব্লক সেনেটারী ল্যাট্রিন স্থাপন। রাজস্ব খাত থেকে প্রায় ৫০০০ পানির ট্যাংকি এবং ইউএনডিপির সহায়তায় ১৭টি ইউনিয়নে ৭০০০ পানির ট্যাংকি প্রদান। সুপেয় পানির জন্য জেলা পরিষদের অধীনে পাইকগাছা ও কয়রায় প্রায় ১৫টি পুকুর খনন ও সংরক্ষণের কাজ সমাপ্ত।

পাইকগাছা পৌরসভার উন্নয়ন কাজের জন্য ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ। উল্লেখ্য এই বরাদ্দের মধ্যে পাইকগাছার বাসস্ট্যান্ডের জন্য ১২ কোটি এবং বর্জ ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে আধুনিক মার্কেট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও ওয়াক ওয়েসহ আধুনিক পার্ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দ আছে। পৌরসভাকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য টেকসই টাউন প্রোটেকশন বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ১ কোটি টাকার ষ্ট্রীট লাইট স্থাপনে পৌরসভাকে সর্বাত্তক সহায়তা প্রদান। কপিলমুনিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মানের জন্য কার্যাদেশ প্রদান, জমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। মুক্তিযোদ্ধা শ্রদ্ধেয় শেখ বেলালউদ্দিন বিলু, রেজাউল শেখ, নওশের মাস্টার, স.ম. ইউসুফ আলী, জালাল ঢালীর কবরস্থান সংরক্ষন ও আধুনিকায়ন। আমাদী বাজার, হোগলা বাজারের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত । কপিলমুনিতে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আধুনিক বাজারের কাজ ৯০% সমাপ্ত । ২টি উপজেলায় ১০০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রত্যেকটি প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ফুড সাইলো অনুমোদন। কপিলমুনি ও পাইকগাছায় ২টি ফায়ার স্টেশন অনুমোদন এখন জমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। পাইকগাছা ও কয়রায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাওয়ার গ্রিড ষ্টেশন অনুমোদন। পাইকগাছায় শিববাটীতে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সঞ্চালন লাইনের কাজ চলছে।ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পাইকগাছায় ২০০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি টিম গঠন। পাইকগাছা পৌরসভা ভবন ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ চলমান এবং পাইকগাছায় যুব ভবন অনুমোদন। পাইকগাছা ও কয়রায় বিভিন্ন ইউনিয়নে আধুনিক ভূমি অফিস নির্মাণ। পাইকগাছা ও কায়রায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম একনেকে অনুমোদন ও জমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। আমাদীতে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের কাজ চলমান। এবং প্রত্যেক ইউনিয়নে জমি ক্রয় করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ। • কয়রায় কালনায় আমার মায়ের নামে (মোছাঃ ফাতেমা খানম) ৪ তলা বিশিষ্ট ৭ তলা সাদৃশ্য গুম্বুজ সহ মসজিদ ও গড়ইখালীতে মায়ের কবরের পাশে হাফেজিয়া মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলমান।জননেত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়নের অংশ হিসাবে পাইকগাছায় নতুন উপজেলা পরিষদ,টিটিসি, টিএসসি ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট অডিটরিয়াম নির্মাণ কাজ চলমান এবং উপজেলা দুটি ১০০% বিদ্যুৎ সংযোগ এর আওতায়। কাঠকাটায় পর্যটন কেন্দ্র করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি ভাবে উদ্যোক্তাদের যুক্ত করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন। কাঠকাটায় আধুনিক পুলিশ ফাড়ি প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজ চলমান। পাইকগাছা উপজেলায় এসিল্যান্ড অফিস ও জনস্বাস্থ্য নির্মাণ কাজ সম্পন্ন। দৃষ্টিনন্দন পরিদর্শন বাংলো নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে কয়রা শিববাটীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শতাধিক মানুষকে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা। কয়রা সদর ইউনিয়নকে পৌরসভা করার দাবী সংসদে উপস্থাপন ও কপিলমুনি পৌরসভা অনুমোদন। অসচ্ছল জনগোষ্টিকে সচ্ছল করার লক্ষ্যে সেলাই মেশিন, ভ্যান, হুইলচেয়ার প্রদান । আদালত ভবন নির্মানে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। পাইকগাছা ও কয়রায় আধুনিক কয়রার হরিহরপুর ও পাথরখালী লঞ্চঘাটে যাত্রী সুবিধার্থে পল্টুন স্থাপন। ভরতচন্দ্র হাসপাতাল (কপিলমুনি হাসপাতাল)কে ২০ শয্যায় উন্নিতকরে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে ও জায়গীরমহল হাসপাতাল ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চলমান। সোলাদানা ও লতা ইউনিয়নে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ বিভিন্নস্থানে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কয়রা সদরে ৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ প্রক্রিয়াধীন।• পাইকগাছা হাসপাতালে ১টি নতুন এ্যাম্বুলেন্স ও কয়রা হাসপাতালে এডিপির অর্থায়নে ১টি, ভারত সরকারের উপহারের ১টি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান সাথে ২ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার জন্য ২টি গাড়ি প্রদান ।

পাইকগাছা উপজেলায় মডেল মসজিদের নিমার্ণের কাজ ৬০% সমাপ্ত ও কয়রা মডেল মসজিদের কাজ জমি অধিগ্রহণ শেষে শুরুর অপেক্ষায়। ৭টি মন্দির ও নামযজ্ঞ স্থানে ১০ লক্ষ টাকা, পাইকগাছা পুজা উৎযাপন পরিষদ অফিস, কেন্দ্রীয় মন্দির, কেন্দ্রীয় শশ্মানঘাট নির্মান, কয়রা রামকৃষ্ণ মিশন সহ প্রায় সকল মন্দিরে শশ্মানে অনুদান প্রদান। টিআর, কাবিখা, কাবিটা দ্বারা ছোট ছোট রাস্তা নির্মাণসহ সকল মসজিদ, কবরস্থান, মন্দির, শশ্মানে ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান প্রদান। স্কুল, কলেজ, মন্দির নামজজ্ঞ স্থানে ও গীর্জার মাঠে মাটি ভরাট। এলজিইডির প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক মসজিদ, মন্দির, শশ্মানের টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ সমাপ্তির পথে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি আগামীতে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ করার মধ্য দিয়ে পাইকগাছা-কয়রার নবযাত্রার সূচনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির ববির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীরণ সাধু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন ফিরোজ বুলু, কপোতাক্ষ কলেজের অধ্যক্ষ আদ্রিশ আদিত্য মন্ডল, খান সাহেব কোমর উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়, পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরণ বিশ^াস, পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার, হরিঢালী-কপিলমুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেজবাহ উদ্দিন, পাইকগাছা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান রঞ্জু, পাইকগাছার হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দার, গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু, সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী, লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস, গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম, কয়রার আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল, বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, দক্ষিণ বেদকাশী ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা জাফরুল ইসলাম পাড়, হারুন অর রশীদ, মাঈনুল ইসলাম, নির্মল চন্দ মঙ্গল রায়, শংকর দেবনাথ, নির্মল চন্দ রায়, আঃ সাত্তার গাজী, নির্মল চন্দ্র দাশ, সমরেশ সরকার, মাস্টার খায়রুল ইসলাম, গনেশ চন্দ্র মন্ডল, বিমল পাল, জেলা যুবলীগ নেতা হারুন আর রশীদ, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবু সাঈদ খান, উপজেলা যুবলীগ নেতা  আব্দুর রাজ্জাক রাজু, স্বপন কুমার রায়, কুমারেশ মন্ডল, সাইফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান, আলমগীর হোসেন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সুমাইয়া আমিন লতা, সুলতানা মিলি, ফাতেমাতুজ্জোহারা রূপা, ছাত্রলীগ নেতা শেখ মোঃ শাকিল,  রায়হান পারেভেজ রনি, রমজান সরদার, মীর ছদরুল আমিন, কাজী মাহবুব, শাহেনশাহ বাদশা, রাজিব সরকার রাহুল সহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীসহ অনুষ্ঠানে জাতীয় ও খুলনার আঞ্চলিক পত্রিকার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

স্মার্ট কয়রা-পাইকগাছা গড়তে 'উন্নয়ন স্বপ্ন' সংকলনের মোড়ক উন্মোচন :

ভুল-ত্রুটি না ধরে আগামী নিবার্চনে আবারও মনোনয়ন পেতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাইলেন আকতারুজ্জামান বাবু

প্রকাশিত সময় : ১২:৫৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

####

স্মার্ট কয়রা-পাইকগাছা গড়তে ‘উন্নয়ন স্বপ্ন’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ূন কবির বালু মিলনায়তনে ‘উন্নয়ন স্বপ্ন’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু।  মোড়ক উন্মোচন সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু।

মতবিনিময় সভায় খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো: আকতারুজ্জামান বাবু খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের উন্নয়নে অনুদানের প্রতিশ্রুত দিলেও গত ৫বছরে তা দিনে না পারার কথা স্বীখার করেন। তিনি মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের জানান, ব্যক্তিগত ও সংষদ সদষ্যের বরাদ্ধ থেকে না দিতে পারলেও খুলনা জেলা পরিষদের মাধ্যমে বরাদ্ধকৃত দুই লাখ টাকা খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের উন্নয়নে তার প্রতিশ্রুত অনুদান নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দেন। তিনি বিগত ৫বছরে এলাকার ও জনগনের উন্নয়ন করতে গিয়ে কোন ভুলত্রুটি হলে সেগুলোকে মার্জনা করে উন্নয়নের কথা তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। একই সাথে চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেতে একজন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, ভাই ও বন্ধু হিসেবে সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে সহযোগীতা চান। বিগত ৫বছরে খুলনা-৬ আসনে যে সকল কাজ হয়েছে সেখানে অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে এরআগে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হলেও সে বিষয়ে মতবিনিময় সভায় উত্থাপন না করতে অনুরোধও করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিগত দিনের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, বিগত ৫বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নে সব সময় সার্বিকভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আমাকেসহ কয়রা-পাইকগাছাবাসীকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন। একই সাথে আমার রাজনৈতিক অভিভাবক শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। গত ৫বছরে এলাকার মানুষের ও অবহেলিত কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নে কাজ করেছি। এরমধ্যে আম্ফানে, ইয়াস, বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধ ১১৭৬ কোটি টাকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান। ইতিমধ্যে ১৬০ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান এবং কাজ চলমান রয়েছে। জাইকার অর্থায়নে ৩২৭ কোটি টাকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের লক্ষ্যে উত্তরবেদকাশির বাঁধ ও বাইনতলা সুইচ গেট, গড়ইখালী, খুদখালী বাঁধ, আলমতলায় ব্লক দ্বারা বাঁধ নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ওয়াপদা কর্তৃক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ২১০ কোটি টাকা ব্যায়ে রাডুলির শালিখা থেকে আমাদীর ভাটি পর্যন্ত ৩৬ কি.মি. কপোতক্ষ নদ খনন কাজ চলমান। প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিবসা, হাড়িয়া, কাটাখালী কয়রা নদী খননের জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।নাসিরপুর খাল, পোদাখাল ১১ কোটি টাকা ব্যায়ে খনন, দেলুটি ডিহি বোড়া খাল ৫ কি.মি. সহ অনেক খাল ও কয়রার আমাদী ও বাগলী ইউনিয়নে একাধিক খাল খনন সমাপ্ত ও দেলুটির গাছুয়া নদী সহ বিভিন্ন খাল খনন প্রক্রিয়াধীন ও আরো ৩০টি খাল খননের জন্য ডিপিপি অনুমোদন হয়েছে। পাইকগাছা-কয়রা এল.জি.ই.ডি এর অধীনে আনুমানিক ২০০ টাকার অধিক ব্যয়ে অনেক রাস্তার কাজ সমাপ্ত ও চলমান এবং অনেক রাস্তার টেন্ডার সম্পন্ন ও প্রক্রিয়াধীন।সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ৩৩৯ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৮ মাইল থেকে কয়রা সদর পর্যন্ত রাস্তার কাজ ৭৫% সমাপ্ত ও বাকি ২৫% কাজ ও রাস্তা সরলীকরণে ভূমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। এই রাস্তা প্রসস্থকরণের জন্য গত ১৮/০৫/২০২৩ তারিখে ১৮ মাইল থেকে কয়রা সদর পর্যন্ত সড়কের ২ পাশে ৩ ফিট+৩ ফিট মোট ৬ফিট প্রসস্থকরণের টেন্ডার আহ্বান ও কার্যাদেশ প্রদানের কাজ চলমান।পাইকগাছা-কয়রা সল্প সময়ে পৌঁছানোর জন্য রূপসা ব্রীজ পার হয়ে বটিয়াঘাটা-ছাচিয়াবুনিয়া রোড থেকে সুরখালী ইউনিয়ন থেকে দারুনমল্লিক হয়ে পাইকগাছা পর্যন্ত ৪০ কি.মি রাস্তা ভূমি অধিগ্রহন সহ ৭৪৭ কোটি টাকার ডিপিপি গ্রহণ। কয়রা- পাইকগাছাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার দাবি সংসদে উত্থাপন। ১৮ মাইল থেকে কয়রা পর্যন্ত রাস্তা চার লেন করার প্রস্থাব সংসদে উত্থাপন ।

এল.জি.ই.ডি এর অধীনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ সমাপ্ত, চলমান ও অনেকগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, হাইস্কুল ভবন, মাদ্রাসা ভবন ও বিভিন্ন গেট ও প্রাচীর নির্মাণ। পাইকগাছা কৃষি কলেজের বিগত সময়ের ধারাবাহিক উন্নয়নে চলমান কাজের সাথে বাকি উন্নয়ন কাজ চলমান। একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কয়রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে টিটিসি একনেকে অনুমোদন ও জমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। ১৫টি মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা এম,পি,ও করণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ব্যাপারে সংসদে উত্থাপন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবহনকারী মুর্যাল ও ট্যারাকোটা নির্মাণ এর কাজ চলমান। ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন এবং আরো ৩১টি প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কাজ দ্রুত সমাপ্ত হবে।

একই সাথে কয়রা সদর পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য পাইকগাছার সোলদানা ইউনিয়নের ভিলেজ পাইকগাছা-লস্কর ইউনিয়নের কড়লিয়া নদীর ওপর ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৪৮.৯০ মিটার ব্রীজ এর টেন্ডার ১২/০২/২০২৩ আহ্বান হয়ে কার্যাদেশ প্রদান করা হবে অচিরেই। ভোমরা বন্দরের সাথে কয়রা পাইকগাছার দূরত্ব কমানোর জন্য কয়রার দশালিয়া নামক স্থানে ব্রীজ নির্মাণ সংসদে উত্থাপন।  শিববাটি সেতু ও চাঁদআলী সেতু’র টোল মওকুফের জন্য সংসদে একাধিকবার উত্থাপন এবং নোটিশ প্রদান। দারুনমল্লিক- দেলুটি ব্রিজ, দেলুটি-লতা ব্রীজ, লতা-সোলদানা ব্রীজ নির্মাণের লক্ষ্যে সেতু বিভাগের সমীক্ষার কাজ চলমান। ইতিমধ্যে সেতু মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা সহ আমি উক্ত জায়গা পরিদর্শন করি। ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কয়রা সদর থেকে কাশির হাট পর্যন্ত রাস্তা একনেকে অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন এবং স্মরণখালী থেকে বড়দল ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা ১৮ ফুট প্রসস্থকরণ সহ ৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০ টি ত্রাণের ব্রীজের কাজ সমাপ্ত ও কয়েকটি কাজ চলমান ও ১৭টির ত্রাণের ব্রীজের কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। ত্রাণের এইচবিবি রাস্তা ১৫ কিমি সমাপ্ত ত্রাণের বিসি রাস্তা ৯ কি.মি.র কাজ চলমান। লতা ইউনিয়নে কাঠামারীতে কাঠামারী ব্রীজ ও দেলুটি ইউনিয়নে নড়া নদীর ব্রীজ দুটোর জন্য ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রইং ডিজাইনের কাজ চলছে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে কাজের উদ্বোধন সম্ভব হবে। রাডুলিতে খেসড়া ব্রীজ, শালিখা ব্রীজ, কপিলমুনি শংকর দানা ব্রীজ, গড়ইখালী বাইনতলা ব্রীজের কাজ চলমান ৬০% সমাপ্তির পথে। গড়ইখালি শীলপাড়া ব্রীজের টেন্ডার সমাপ্ত। কয়রায় ৩৬ মিটার কায়েমখালী ব্রীজ টেন্ডার সমাপ্ত। মহারাজপুর, বাগালীতে একটি করে ব্রীজ অনুমোদন, আরো ১০০ মিটারের ৮টি ব্রীজ এর অনুমোদন।

কয়রা ও পাইকগাছায় ২টি মুজিব কিল্লার কাজ সমাপ্তির পথে আরো ৩টি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। • কয়রা গোলখালীতে সুন্দরবনের পাদদেশে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটনকেন্দ্রের জন্য অর্থ বরাদ্দ এবং ইতিমধ্যে ৪ কোটি টাকার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। • ঐতিহ্যবাহী মসজিদ কুড় মসজিদ, পিসি রায়ের বাড়ি সংস্কার এবং বেদকাশী দীঘি, আমাদী দীঘি রক্ষণাবেক্ষণ সহ পর্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ। পাইকগাছা জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি নন্দন ম্যুরাল ও কয়রার আমাদীতে এবং বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল ও চাঁদআলী ব্রীজে উঠার জন্য দৃষ্টি নন্দন সিঁড়ি, বঙ্গবন্ধু, সুন্দরবন, সাত বীরশ্রেষ্ঠ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এম.এ.গফুরের দৃষ্টি নন্দন ম্যুরাল নির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন। পাইকগাছায় বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, ফজলুল হক মনি, শেখ রাসেল ও শেখ হেলাল ভাইয়ের দৃষ্টি নন্দন ম্যুরাল স্থাপন সহ আধুনিক মুজিব কর্ণার নির্মাণ। ২টি উপজেলায় দুটি দৃষ্টি নন্দন প্রবেশ দ্বার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ। ১৯৭২ এর ২২ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান লস্কর ইউনিয়নের আলমতলায় যেখানে মাটি কেটে ভেড়ী-বাধ উদ্বোধন করেছিলেন, সেখানে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ। পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় বাংলাদেশের ৪৬০ টি উপজেলার মধ্যে ১০০টি উপজেলায় সামাজিক সুরক্ষাবলয় (যেমন- ভিডিজি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা) ১০০% জনগন আওতাভুক্ত হয়েছে। লক্ষ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা চেক প্রদান। এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের থেকে দুইশতাধিক।দরিদ্র, ও অসচ্ছল সাধারণ মানুষ (দলমত নির্বিশেষে) ১২০০ জন মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৭লাখ ও সর্বনিন্ম ৫০,০০০টাকা পর্যন্ত সহায়তা প্রদান । করোনাকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক এলাকায় অবস্থান করে মানুষকে সেবা প্রদান এবং ১২০০০ লোককে জননেতা শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও নিজস্ব অর্থায়নে এবং ব্যক্তিদের সহায়তায় খাদ্য সমগ্রী বিতরন। অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। পানি আমাদী, কয়রা সদর ও কপিলমুনিতে আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ ভবন অনুমোদন, বাকি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন প্রায় প্রত্যেকটি যার জন্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। • দুই উপজেলায় ২টি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নিমার্ণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক জমি অধিগ্রহণের নিমিত্তে জমি নির্বাচনের কাজ প্রক্রিয়াধীন ও উল্লেখ্য সাংস্কৃতিক মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ইতিমধ্যে নির্দেশনাসহ জায়গা পরিদর্শন করেছেন। নিজ ও দলীয় শুভাকাঙ্খিদের অর্থায়নে পাইকগাছায় দ্বিতল দলীয় কার্যালয় ও কয়রায় জমি ক্রয় করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের কাজ চলমান। দীর্ঘ ১৯৬০ সাল পর থেকে কয়রা সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ছিল এটাকে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে আনা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৩৬ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দে ৫০০০রেইন ওয়াটার হার্বেষ্টিং ও (পানির ট্যাংকি), গভীর নলকুপ ও প্রতিটি ৪০-৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৮টি আরও স্থাপন, ওয়াস ব্লক সেনেটারী ল্যাট্রিন স্থাপন। রাজস্ব খাত থেকে প্রায় ৫০০০ পানির ট্যাংকি এবং ইউএনডিপির সহায়তায় ১৭টি ইউনিয়নে ৭০০০ পানির ট্যাংকি প্রদান। সুপেয় পানির জন্য জেলা পরিষদের অধীনে পাইকগাছা ও কয়রায় প্রায় ১৫টি পুকুর খনন ও সংরক্ষণের কাজ সমাপ্ত।

পাইকগাছা পৌরসভার উন্নয়ন কাজের জন্য ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ। উল্লেখ্য এই বরাদ্দের মধ্যে পাইকগাছার বাসস্ট্যান্ডের জন্য ১২ কোটি এবং বর্জ ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে আধুনিক মার্কেট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও ওয়াক ওয়েসহ আধুনিক পার্ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দ আছে। পৌরসভাকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য টেকসই টাউন প্রোটেকশন বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ১ কোটি টাকার ষ্ট্রীট লাইট স্থাপনে পৌরসভাকে সর্বাত্তক সহায়তা প্রদান। কপিলমুনিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মানের জন্য কার্যাদেশ প্রদান, জমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। মুক্তিযোদ্ধা শ্রদ্ধেয় শেখ বেলালউদ্দিন বিলু, রেজাউল শেখ, নওশের মাস্টার, স.ম. ইউসুফ আলী, জালাল ঢালীর কবরস্থান সংরক্ষন ও আধুনিকায়ন। আমাদী বাজার, হোগলা বাজারের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত । কপিলমুনিতে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আধুনিক বাজারের কাজ ৯০% সমাপ্ত । ২টি উপজেলায় ১০০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রত্যেকটি প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ফুড সাইলো অনুমোদন। কপিলমুনি ও পাইকগাছায় ২টি ফায়ার স্টেশন অনুমোদন এখন জমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। পাইকগাছা ও কয়রায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাওয়ার গ্রিড ষ্টেশন অনুমোদন। পাইকগাছায় শিববাটীতে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সঞ্চালন লাইনের কাজ চলছে।ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পাইকগাছায় ২০০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি টিম গঠন। পাইকগাছা পৌরসভা ভবন ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ চলমান এবং পাইকগাছায় যুব ভবন অনুমোদন। পাইকগাছা ও কয়রায় বিভিন্ন ইউনিয়নে আধুনিক ভূমি অফিস নির্মাণ। পাইকগাছা ও কায়রায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম একনেকে অনুমোদন ও জমি অধিগ্রহনের কাজ চলমান। আমাদীতে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের কাজ চলমান। এবং প্রত্যেক ইউনিয়নে জমি ক্রয় করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ। • কয়রায় কালনায় আমার মায়ের নামে (মোছাঃ ফাতেমা খানম) ৪ তলা বিশিষ্ট ৭ তলা সাদৃশ্য গুম্বুজ সহ মসজিদ ও গড়ইখালীতে মায়ের কবরের পাশে হাফেজিয়া মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলমান।জননেত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়নের অংশ হিসাবে পাইকগাছায় নতুন উপজেলা পরিষদ,টিটিসি, টিএসসি ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট অডিটরিয়াম নির্মাণ কাজ চলমান এবং উপজেলা দুটি ১০০% বিদ্যুৎ সংযোগ এর আওতায়। কাঠকাটায় পর্যটন কেন্দ্র করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি ভাবে উদ্যোক্তাদের যুক্ত করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন। কাঠকাটায় আধুনিক পুলিশ ফাড়ি প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজ চলমান। পাইকগাছা উপজেলায় এসিল্যান্ড অফিস ও জনস্বাস্থ্য নির্মাণ কাজ সম্পন্ন। দৃষ্টিনন্দন পরিদর্শন বাংলো নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে কয়রা শিববাটীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শতাধিক মানুষকে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা। কয়রা সদর ইউনিয়নকে পৌরসভা করার দাবী সংসদে উপস্থাপন ও কপিলমুনি পৌরসভা অনুমোদন। অসচ্ছল জনগোষ্টিকে সচ্ছল করার লক্ষ্যে সেলাই মেশিন, ভ্যান, হুইলচেয়ার প্রদান । আদালত ভবন নির্মানে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। পাইকগাছা ও কয়রায় আধুনিক কয়রার হরিহরপুর ও পাথরখালী লঞ্চঘাটে যাত্রী সুবিধার্থে পল্টুন স্থাপন। ভরতচন্দ্র হাসপাতাল (কপিলমুনি হাসপাতাল)কে ২০ শয্যায় উন্নিতকরে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে ও জায়গীরমহল হাসপাতাল ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চলমান। সোলাদানা ও লতা ইউনিয়নে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ বিভিন্নস্থানে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কয়রা সদরে ৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ প্রক্রিয়াধীন।• পাইকগাছা হাসপাতালে ১টি নতুন এ্যাম্বুলেন্স ও কয়রা হাসপাতালে এডিপির অর্থায়নে ১টি, ভারত সরকারের উপহারের ১টি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান সাথে ২ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার জন্য ২টি গাড়ি প্রদান ।

পাইকগাছা উপজেলায় মডেল মসজিদের নিমার্ণের কাজ ৬০% সমাপ্ত ও কয়রা মডেল মসজিদের কাজ জমি অধিগ্রহণ শেষে শুরুর অপেক্ষায়। ৭টি মন্দির ও নামযজ্ঞ স্থানে ১০ লক্ষ টাকা, পাইকগাছা পুজা উৎযাপন পরিষদ অফিস, কেন্দ্রীয় মন্দির, কেন্দ্রীয় শশ্মানঘাট নির্মান, কয়রা রামকৃষ্ণ মিশন সহ প্রায় সকল মন্দিরে শশ্মানে অনুদান প্রদান। টিআর, কাবিখা, কাবিটা দ্বারা ছোট ছোট রাস্তা নির্মাণসহ সকল মসজিদ, কবরস্থান, মন্দির, শশ্মানে ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান প্রদান। স্কুল, কলেজ, মন্দির নামজজ্ঞ স্থানে ও গীর্জার মাঠে মাটি ভরাট। এলজিইডির প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক মসজিদ, মন্দির, শশ্মানের টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ সমাপ্তির পথে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি আগামীতে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ করার মধ্য দিয়ে পাইকগাছা-কয়রার নবযাত্রার সূচনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির ববির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীরণ সাধু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন ফিরোজ বুলু, কপোতাক্ষ কলেজের অধ্যক্ষ আদ্রিশ আদিত্য মন্ডল, খান সাহেব কোমর উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়, পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরণ বিশ^াস, পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার, হরিঢালী-কপিলমুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেজবাহ উদ্দিন, পাইকগাছা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান রঞ্জু, পাইকগাছার হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দার, গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু, সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী, লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস, গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম, কয়রার আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল, বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, দক্ষিণ বেদকাশী ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা জাফরুল ইসলাম পাড়, হারুন অর রশীদ, মাঈনুল ইসলাম, নির্মল চন্দ মঙ্গল রায়, শংকর দেবনাথ, নির্মল চন্দ রায়, আঃ সাত্তার গাজী, নির্মল চন্দ্র দাশ, সমরেশ সরকার, মাস্টার খায়রুল ইসলাম, গনেশ চন্দ্র মন্ডল, বিমল পাল, জেলা যুবলীগ নেতা হারুন আর রশীদ, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবু সাঈদ খান, উপজেলা যুবলীগ নেতা  আব্দুর রাজ্জাক রাজু, স্বপন কুমার রায়, কুমারেশ মন্ডল, সাইফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান, আলমগীর হোসেন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সুমাইয়া আমিন লতা, সুলতানা মিলি, ফাতেমাতুজ্জোহারা রূপা, ছাত্রলীগ নেতা শেখ মোঃ শাকিল,  রায়হান পারেভেজ রনি, রমজান সরদার, মীর ছদরুল আমিন, কাজী মাহবুব, শাহেনশাহ বাদশা, রাজিব সরকার রাহুল সহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীসহ অনুষ্ঠানে জাতীয় ও খুলনার আঞ্চলিক পত্রিকার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#