১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহানগরীকে সুন্দর করে গড়তে নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে

  • অফিস ডেক্স।।
  • প্রকাশিত সময় : ০৮:১৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬২ পড়েছেন

###    খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সুন্দর নগর গড়তে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিধি মেনে বাড়ি নির্মাণ করুন, আইন মেনে বর্জ্য অপসারণ করুন। তাহলেই এই নগরী সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে। সিটি কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দেখভাল করার দায়িত্বও জনগণের। কোথাও কাজ খারাপ হলে মেয়রকে জানান। সিটি কর্পোরেশন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি বুধবার দুপুরে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে নাগরিক ফোরাম খুলনা মহানগর আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সুশাসন উন্নয়নে জনসম্পৃক্তকরণ প্রকল্পের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাগরিক ফোরাম খুলনা মহানগরের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর আইনী ইসলাম ও প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন এ্যান্ড কোয়ালিট কন্ট্রোল ডিরেক্টর মীর জুনায়েদ জামাল। স্বাগত বক্তৃতা করেন নাগরিক ফোরাম, খুলনা মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডঃ সেলিনা আক্তার পিয়া। তিনি ৩১টি ওয়ার্ডের নাগরিক ফোরামের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে পরিচয় করিয়ে দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন রূপান্তর-এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাস। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন নাগরিক ফোরামের সদর থানা সভাপতি মনির আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি ইসরাত আরা হীরা, খালিশপুর থানা সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান জমাদ্দার, দৌলতপুর থানা সভাপতি সৈয়দ নওশাদুজ্জামান পল্টু, খানজাহান আলী থানার সভাপতি মোঃ শাহজাহান হাওলাদার। এরপরে শহীদ হাদিস পার্কে নাগরিক ফোরাম স্থাপিত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ডিজিটাল সিটিজেন চার্টার উদ্বোধন করা হয়।

সিটি মেয়র বলেন, অতীতে ২২টি খাল অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করতে নাগরিক ফোরাম সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করেছে। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিকল্পনা তৈরিতে তারা ভূমিকা পালন করেছে। অতীতের মত আগামীতেও নাগরিক ফোরাম এমন ভূমিকা পালন করবে বলে সিটি মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি নাগরিক ফেরামের নেতাদের তিন মাস পর পর মেয়রের সাথে বৈঠক করে জনকল্যাণে ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে এ পর্যন্ত ২৪০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই টাকায় সুন্দর নগরী গড়ে তুলতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। করোনার কারণে দুই বছর উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। খুলনা নগরীতে বর্তমানে ২০০টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। একসাথে নগরী জুড়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলার কারণে নগরবাসীকে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে এই দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নগরীতে এক শ্রেণির ধনী মানুষ নির্মাণ আইন না মেনে বাড়ি তৈরির কারণে উন্নয়ন কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।  সিটি মেয়র বলেন, খুলনায় ৩৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজে ১০০ একর জমি কেনার জন্য জেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যেই টাকা দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বর্জ্য থেকে জ্বালানী, সার এবং ডিজেল উৎপাদিত হবে। নগরীর বর্জ্য পরিনত হবে সম্পদে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মহানগরীকে সুন্দর করে গড়তে নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে

প্রকাশিত সময় : ০৮:১৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সুন্দর নগর গড়তে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিধি মেনে বাড়ি নির্মাণ করুন, আইন মেনে বর্জ্য অপসারণ করুন। তাহলেই এই নগরী সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে। সিটি কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দেখভাল করার দায়িত্বও জনগণের। কোথাও কাজ খারাপ হলে মেয়রকে জানান। সিটি কর্পোরেশন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি বুধবার দুপুরে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে নাগরিক ফোরাম খুলনা মহানগর আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সুশাসন উন্নয়নে জনসম্পৃক্তকরণ প্রকল্পের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাগরিক ফোরাম খুলনা মহানগরের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর আইনী ইসলাম ও প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন এ্যান্ড কোয়ালিট কন্ট্রোল ডিরেক্টর মীর জুনায়েদ জামাল। স্বাগত বক্তৃতা করেন নাগরিক ফোরাম, খুলনা মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডঃ সেলিনা আক্তার পিয়া। তিনি ৩১টি ওয়ার্ডের নাগরিক ফোরামের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে পরিচয় করিয়ে দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন রূপান্তর-এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাস। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন নাগরিক ফোরামের সদর থানা সভাপতি মনির আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি ইসরাত আরা হীরা, খালিশপুর থানা সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান জমাদ্দার, দৌলতপুর থানা সভাপতি সৈয়দ নওশাদুজ্জামান পল্টু, খানজাহান আলী থানার সভাপতি মোঃ শাহজাহান হাওলাদার। এরপরে শহীদ হাদিস পার্কে নাগরিক ফোরাম স্থাপিত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ডিজিটাল সিটিজেন চার্টার উদ্বোধন করা হয়।

সিটি মেয়র বলেন, অতীতে ২২টি খাল অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করতে নাগরিক ফোরাম সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করেছে। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিকল্পনা তৈরিতে তারা ভূমিকা পালন করেছে। অতীতের মত আগামীতেও নাগরিক ফোরাম এমন ভূমিকা পালন করবে বলে সিটি মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি নাগরিক ফেরামের নেতাদের তিন মাস পর পর মেয়রের সাথে বৈঠক করে জনকল্যাণে ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে এ পর্যন্ত ২৪০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই টাকায় সুন্দর নগরী গড়ে তুলতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। করোনার কারণে দুই বছর উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। খুলনা নগরীতে বর্তমানে ২০০টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। একসাথে নগরী জুড়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলার কারণে নগরবাসীকে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে এই দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নগরীতে এক শ্রেণির ধনী মানুষ নির্মাণ আইন না মেনে বাড়ি তৈরির কারণে উন্নয়ন কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।  সিটি মেয়র বলেন, খুলনায় ৩৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজে ১০০ একর জমি কেনার জন্য জেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যেই টাকা দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বর্জ্য থেকে জ্বালানী, সার এবং ডিজেল উৎপাদিত হবে। নগরীর বর্জ্য পরিনত হবে সম্পদে। ##