১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে  চলতি মাসেই ময়ূর ও ক্ষুদে নদী খননের কাজ শুরু হচ্ছে

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৯:৩০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • ৫২ পড়েছেন

খুলনা প্রতিনিধি।।

###   খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আবারও ময়ুর ও ক্ষুদে নদীর পুন:খনন কাজ চলতি নভেম্বর মাসেই শুরু হচ্ছে।  মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে পুনরায় খনন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ময়ূর ও ক্ষুদে নদী। খুলনা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নদী খননের লে-আউট এবং পরিমাপের কাজ চলছে। নদী খননের মূল কাজ চলতি মাসেই শুরু করা হবে। এতে দীর্ঘ দশকব্যাপী জলাবদ্ধতার হাত থেকে সুরক্ষায় আশাবদী হয়ে উঠেছে নগরবাসী। খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, বিগত সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিলো নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন। তিনি বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগী হয়ে ৮২৩ কোটি টাকার ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন হয়।এই ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদী ও ক্ষুদে নদী দুটি খনন করা হচ্ছে। ময়ূর নদী পুন:খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এবং ক্ষুদে নদী খননে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।ইতিমধ্যেই কেসিসি এই প্রকল্পের জন্য পরামর্শক ও ঠিকাদারও নিয়োগ প্রদান সম্পন্ন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় গত ৬নভেম্বর দুই নদী খননের জন্য লে-আউটও প্রদান করেছেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।  কেসিসির এই প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের তথ্যে জানা গেছে, নগরীর বয়রা শ্মশান ঘাটের ৮০মিটার উজান থেকে সাচিবুনিয়া ব্রিজের ১০০ মিটার পূর্ব পর্যন্ত মোট ৫হাজার ৯১০ মিটার নদী কাটার পরিকল্পনা রয়েছে। নদী খননের সময় গড়ে ২ থেকে ৮ফুট পর্যন্ত খনন করার কথা প্রকল্পে বলা হয়েছে। ময়ূর নদীর স্থান ভেদে বর্তমানে ৬৬ফুট থেকে ১৪৪ফুট পর্যন্ত চওড়া রয়েছে। নদীর শক্ত মাটির অংশের ৭৫ শতাংশ পরিমান ভেকু দিয়ে এবং আর ১০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে কাটার কথা রয়েছে। নদীর খননকৃত মাটির ৮৫শতাংশ শক্ত মাটি ন্যুন্যতম ৫০০ মিটার দূরে এবং বাকী ১৫শতাংশ মাটি ৫কিলোমিটার দূরে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কোনবাবেই নদীর তীরবর্তী অংশে না রাখার জন্য বলা হয়েছে।  সূত্রটি আরও জানায়, ক্ষুদে নদীর আড়ংঘাটা কালভার্ট থেকে শুরু হয়ে বয়রা শশ্মান ঘাট ব্রিজ থেকে ১০৭ মিটার দূর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে।  কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ুর ও ক্ষুদে নদী খননের জন্য ৫মাস আগে কার্যাদেশ দিলেও তখন বর্ষা মৌসুম থাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিলো। নভেম্বরের মাসের শুরু থেকেই খনন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে লে-আউট ও খনন পূর্ব অবস্থা পরিমাপ চলছে। চলতি মাসেই খনন কাজ দৃশ্যমান হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক জানান, খুলনা নগররীর প্রান ময়ূর নদী পুন:খননের কাজে আগের বার কতোটুকু মাটি কাটা হয়েছে তা কেউ দেখতে পায়নি। যে কারনে খনন কাজ নিয়ে ণগরবাসীর অনেক অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এবার খনন কাজ দৃশ্যমান করতে নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে ভেকু ও শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হবে। খনন কাজে কোনো ড্রেজার ব্যবহার করা হবে না। নদী খননের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম ও ফাঁকি সহ্য করা হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এরআগে ২০১৪সালে ৫কোটি ৭৮লাখ টাকা ব্যয়ে ময়ূর নদীর ৫হাজার ৯০০মিটার খনন করা হয়। তখনেএ খনন কাজের ঠিকাদারি পেয়েছিল জামিল ইকবাল(জেভি)। ২০১৪ সালের ৩ফেব্রুয়ারি খনন কাজ শুরু হয়ে ২০১৫সালের ১০নভেম্বর শেষ হয়।কিন্তু তখন নদীর পুন:খনন কাজের কোন দৃশ্যমান কিছুই নগরবাসী দেখতে পারেনি। কেসিসি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজসে ড্রেজার দিয়ে ময়ুর নদী পুন:খনন কাজ করায় ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যা আসলেই নদরবাসীর কোন কাজেই আসেনি। উপরন্তু সরকারী বিপুল পরিমান অর্থের অপব্যবহার ও লুটপাট হয়েছে বলে মনে করেন নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে  চলতি মাসেই ময়ূর ও ক্ষুদে নদী খননের কাজ শুরু হচ্ছে

প্রকাশিত সময় : ০৯:৩০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

খুলনা প্রতিনিধি।।

###   খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আবারও ময়ুর ও ক্ষুদে নদীর পুন:খনন কাজ চলতি নভেম্বর মাসেই শুরু হচ্ছে।  মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে পুনরায় খনন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ময়ূর ও ক্ষুদে নদী। খুলনা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নদী খননের লে-আউট এবং পরিমাপের কাজ চলছে। নদী খননের মূল কাজ চলতি মাসেই শুরু করা হবে। এতে দীর্ঘ দশকব্যাপী জলাবদ্ধতার হাত থেকে সুরক্ষায় আশাবদী হয়ে উঠেছে নগরবাসী। খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, বিগত সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিলো নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন। তিনি বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগী হয়ে ৮২৩ কোটি টাকার ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন হয়।এই ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদী ও ক্ষুদে নদী দুটি খনন করা হচ্ছে। ময়ূর নদী পুন:খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এবং ক্ষুদে নদী খননে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।ইতিমধ্যেই কেসিসি এই প্রকল্পের জন্য পরামর্শক ও ঠিকাদারও নিয়োগ প্রদান সম্পন্ন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় গত ৬নভেম্বর দুই নদী খননের জন্য লে-আউটও প্রদান করেছেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।  কেসিসির এই প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের তথ্যে জানা গেছে, নগরীর বয়রা শ্মশান ঘাটের ৮০মিটার উজান থেকে সাচিবুনিয়া ব্রিজের ১০০ মিটার পূর্ব পর্যন্ত মোট ৫হাজার ৯১০ মিটার নদী কাটার পরিকল্পনা রয়েছে। নদী খননের সময় গড়ে ২ থেকে ৮ফুট পর্যন্ত খনন করার কথা প্রকল্পে বলা হয়েছে। ময়ূর নদীর স্থান ভেদে বর্তমানে ৬৬ফুট থেকে ১৪৪ফুট পর্যন্ত চওড়া রয়েছে। নদীর শক্ত মাটির অংশের ৭৫ শতাংশ পরিমান ভেকু দিয়ে এবং আর ১০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে কাটার কথা রয়েছে। নদীর খননকৃত মাটির ৮৫শতাংশ শক্ত মাটি ন্যুন্যতম ৫০০ মিটার দূরে এবং বাকী ১৫শতাংশ মাটি ৫কিলোমিটার দূরে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কোনবাবেই নদীর তীরবর্তী অংশে না রাখার জন্য বলা হয়েছে।  সূত্রটি আরও জানায়, ক্ষুদে নদীর আড়ংঘাটা কালভার্ট থেকে শুরু হয়ে বয়রা শশ্মান ঘাট ব্রিজ থেকে ১০৭ মিটার দূর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে।  কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ুর ও ক্ষুদে নদী খননের জন্য ৫মাস আগে কার্যাদেশ দিলেও তখন বর্ষা মৌসুম থাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিলো। নভেম্বরের মাসের শুরু থেকেই খনন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে লে-আউট ও খনন পূর্ব অবস্থা পরিমাপ চলছে। চলতি মাসেই খনন কাজ দৃশ্যমান হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক জানান, খুলনা নগররীর প্রান ময়ূর নদী পুন:খননের কাজে আগের বার কতোটুকু মাটি কাটা হয়েছে তা কেউ দেখতে পায়নি। যে কারনে খনন কাজ নিয়ে ণগরবাসীর অনেক অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এবার খনন কাজ দৃশ্যমান করতে নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে ভেকু ও শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হবে। খনন কাজে কোনো ড্রেজার ব্যবহার করা হবে না। নদী খননের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম ও ফাঁকি সহ্য করা হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এরআগে ২০১৪সালে ৫কোটি ৭৮লাখ টাকা ব্যয়ে ময়ূর নদীর ৫হাজার ৯০০মিটার খনন করা হয়। তখনেএ খনন কাজের ঠিকাদারি পেয়েছিল জামিল ইকবাল(জেভি)। ২০১৪ সালের ৩ফেব্রুয়ারি খনন কাজ শুরু হয়ে ২০১৫সালের ১০নভেম্বর শেষ হয়।কিন্তু তখন নদীর পুন:খনন কাজের কোন দৃশ্যমান কিছুই নগরবাসী দেখতে পারেনি। কেসিসি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজসে ড্রেজার দিয়ে ময়ুর নদী পুন:খনন কাজ করায় ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যা আসলেই নদরবাসীর কোন কাজেই আসেনি। উপরন্তু সরকারী বিপুল পরিমান অর্থের অপব্যবহার ও লুটপাট হয়েছে বলে মনে করেন নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। ##