০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহানগরীর নদী ও খালের নাব্যতা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি ষ্টাডি শুরু

###    খুলনা মহানগরীর নদী ও খালের নাব্যতা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা সমস্যা দূরীকরণ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি ষ্টাডি শুরু হয়েছে। রবিবার সকালে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে নেদারল্যান্ডসের ওয়াটার এ্যাজ লেভারেজ কর্তৃক গৃহীত ‘‘ন্যচারাল ড্রেনেজ সলুশন ফর খুলনা সিটি’’ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি ষ্টাডি’র উপদেষ্টা কমিটির ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভাপতির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ময়ূর নদী খননের পাশাপাশি রূপসা ও ভৈরব নদেরও নাব্যতা বৃদ্ধি করা দরকার। নগর সংলগ্ন নদীগুলির নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় জোয়ারের সময় পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে উল্লেখ তিনি বলেন, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সময়োপযোগী পদক্ষেপ দরকার। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে কেসিসি’র উদ্যোগে ইতোমধ্যে ময়ূর নদী, ক্ষুদের খালসহ আরো কয়েকটি খাল খননের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কাজগুলি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে নগরবাসীর দুর্ভোগে দুর হবে।প্রকল্পের আওতায় ময়ুর নদী ও নদীর সাথে সংযুক্ত খালগুলির নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা দূরীকরণে যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে নেদ্যারল্যন্ডস সরকারের সহায়তায় এ ফিজিবিলিটি ষ্টাডি শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ মাস পরামর্শক টীম খুলনা শহর ও আশেপাশের জলাবদ্ধতা নিয়ে জরীপ কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাকৃতিকভাবে নদী, খাল, জলাশয় সংরক্ষণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন, মাটির তলদেশের পানি রিচার্জ, লবনাক্ততার প্রভাব, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলি লিপিবদ্ধ করবে। পরবর্তীতে অর্জিত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব কেসিসিতে দাখিল করবে। উক্ত প্রকল্প প্রস্তাব সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হলে খুলনা শহর প্রকৃতিগতভাবে সৌন্দর্যবর্ধনসহ জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় অবজারভার হিসেবে নেদ্যারল্যাল্ডস সরকারের ইনভেস্টমেন্ট ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার মৌরিটস বোজম্যান এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার, কনসালট্যান্ট ফার্ম মট ম্যাগডোনালস-এর টীম লিডার বেন উইটস ও ডেপুটি টীম লিডার মোফাজ্জেল আহমেদ, ইনস্টিটিউশন স্পেশালিস্ট ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় উপদেষ্টা কমিটি’র সদস্য সচিব ও কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, সদস্য খুলনা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আব্দুল্লাহ পিইঞ্চ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এইচ.কে.এম তাহমিদুল ইসলাম, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো: মনজুরুল ইসলাম, কেডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো: সাবিরুল আলম, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মো: ইউসুফ আলী, কেসিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আবু সাঈদ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ্যাওসেড-এর নির্বাহী পরিচালক শামীম আরেফিন উপস্থিত ছিলেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

মহানগরীর নদী ও খালের নাব্যতা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি ষ্টাডি শুরু

প্রকাশিত সময় : ০১:০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

###    খুলনা মহানগরীর নদী ও খালের নাব্যতা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা সমস্যা দূরীকরণ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি ষ্টাডি শুরু হয়েছে। রবিবার সকালে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে নেদারল্যান্ডসের ওয়াটার এ্যাজ লেভারেজ কর্তৃক গৃহীত ‘‘ন্যচারাল ড্রেনেজ সলুশন ফর খুলনা সিটি’’ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি ষ্টাডি’র উপদেষ্টা কমিটির ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভাপতির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ময়ূর নদী খননের পাশাপাশি রূপসা ও ভৈরব নদেরও নাব্যতা বৃদ্ধি করা দরকার। নগর সংলগ্ন নদীগুলির নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় জোয়ারের সময় পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে উল্লেখ তিনি বলেন, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সময়োপযোগী পদক্ষেপ দরকার। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে কেসিসি’র উদ্যোগে ইতোমধ্যে ময়ূর নদী, ক্ষুদের খালসহ আরো কয়েকটি খাল খননের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কাজগুলি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে নগরবাসীর দুর্ভোগে দুর হবে।প্রকল্পের আওতায় ময়ুর নদী ও নদীর সাথে সংযুক্ত খালগুলির নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা দূরীকরণে যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে নেদ্যারল্যন্ডস সরকারের সহায়তায় এ ফিজিবিলিটি ষ্টাডি শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ মাস পরামর্শক টীম খুলনা শহর ও আশেপাশের জলাবদ্ধতা নিয়ে জরীপ কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাকৃতিকভাবে নদী, খাল, জলাশয় সংরক্ষণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন, মাটির তলদেশের পানি রিচার্জ, লবনাক্ততার প্রভাব, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলি লিপিবদ্ধ করবে। পরবর্তীতে অর্জিত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব কেসিসিতে দাখিল করবে। উক্ত প্রকল্প প্রস্তাব সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হলে খুলনা শহর প্রকৃতিগতভাবে সৌন্দর্যবর্ধনসহ জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় অবজারভার হিসেবে নেদ্যারল্যাল্ডস সরকারের ইনভেস্টমেন্ট ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার মৌরিটস বোজম্যান এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার, কনসালট্যান্ট ফার্ম মট ম্যাগডোনালস-এর টীম লিডার বেন উইটস ও ডেপুটি টীম লিডার মোফাজ্জেল আহমেদ, ইনস্টিটিউশন স্পেশালিস্ট ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় উপদেষ্টা কমিটি’র সদস্য সচিব ও কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, সদস্য খুলনা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আব্দুল্লাহ পিইঞ্চ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এইচ.কে.এম তাহমিদুল ইসলাম, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো: মনজুরুল ইসলাম, কেডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো: সাবিরুল আলম, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মো: ইউসুফ আলী, কেসিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আবু সাঈদ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ্যাওসেড-এর নির্বাহী পরিচালক শামীম আরেফিন উপস্থিত ছিলেন। ##