১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতা জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টারে হয় : সিটি মেয়র

####

খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শুক্রবার(১৪ জুন) রাতে দৌলতপুর থানাধীন রেলিগেট এ্যাডামস মিলনায়তনে এ মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র বলেন, আমরা শুধু দলের নেতৃত্ব দিই না, জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। আমি বিশ্বাস করি মাদক যদি বেঁচতে হয়, তাহলে আমাদের ছত্রছায়ায় বেঁচতে হয়। যদি কেউ সন্ত্রাসী করে সেটাও আমাদের ছত্র ছায়ায়। কারণ ক্ষমতার দাপট যদি না থাকে তাহলে এই ধরনের আকাম-কুকাম করতে পারে না। যারা ভূমিদস্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের ছাত্রছায়া ছাড়া এ ধরনের কাজ কেউ করতে পারে না। তিনি বলেন, খুলনায় আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ যে ফোরাম সেখানে রেজুলেশন করা আছে খুলনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে না এবং কোন তদবির করবেনা। প্রশাসন আছে অথচ সেই মাদক নির্মূল হয় না। বক্তৃতা দিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে কোন লাভ নেই। বাস্তবে যদি কাজ করা না যায়। জনগণ আমাদের ভোট দেয় ৫ বছর পরপর। তারা শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে চাই। ছেলে মেয়ে নিয়ে সম্মানজনকভাবে বসবাস করতে চাই। জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন এটার নিশ্চয়তা দেবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু এবং মাদক জনগণ চায় না। এটা নির্মূল করতে হলে প্রশাসন যদি বলেন, কারা এগুলো করে আমরা জানি না। এইটা একটা ভুল ও মিথ্যা কথা বলা হবে। মাদক নির্মূল যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে চাই তাহলে কিভাবে এই মাদকের ব্যবসা কিভাবে করে? তাদের পরিচয় কি ও শেল্টার দেয় কারা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাদেরকে শেল্টার দেন। আমরা মাদকের ব্যাপারে জিরোটলারেন্স এই কথাটা বারবার বলি কিন্তু তারপরও মাদক আজকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একটা ব্যাধি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে এ ধরনের লোককে দলে পুষতে হবে কেন। যারা পোষে আমি তাদের ঘৃণা করি। তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মেয়র, একটি এলাকার ২০ বছর ধরে এমপি ছিলাম। এই পর্যন্ত আমি কোনও থানার ওসিকে বলি নাই অমুককে ধরেন, অমুককে ছাড়েন। সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যু, জঙ্গী ও চাঁদাবাজরা অমানুষ। এ ধরনের লোক দিয়ে রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। আমি তাদেরকে মানুষ মনে করি না।

মতবিনিময় সভায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হকসহ, কেএমপি’র শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা, দৌলতপুর এবং খান জাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ, খুলনা-৩ আসনের আওতাভুক্ত দৌলতপুর এবং খানজাহানআলী থানার ওয়ার্ড কমিশনারবৃন্দ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকলে একট্টা হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতা জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টারে হয় : সিটি মেয়র

প্রকাশিত সময় : ১১:০৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

####

খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শুক্রবার(১৪ জুন) রাতে দৌলতপুর থানাধীন রেলিগেট এ্যাডামস মিলনায়তনে এ মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র বলেন, আমরা শুধু দলের নেতৃত্ব দিই না, জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। আমি বিশ্বাস করি মাদক যদি বেঁচতে হয়, তাহলে আমাদের ছত্রছায়ায় বেঁচতে হয়। যদি কেউ সন্ত্রাসী করে সেটাও আমাদের ছত্র ছায়ায়। কারণ ক্ষমতার দাপট যদি না থাকে তাহলে এই ধরনের আকাম-কুকাম করতে পারে না। যারা ভূমিদস্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের ছাত্রছায়া ছাড়া এ ধরনের কাজ কেউ করতে পারে না। তিনি বলেন, খুলনায় আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ যে ফোরাম সেখানে রেজুলেশন করা আছে খুলনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে না এবং কোন তদবির করবেনা। প্রশাসন আছে অথচ সেই মাদক নির্মূল হয় না। বক্তৃতা দিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে কোন লাভ নেই। বাস্তবে যদি কাজ করা না যায়। জনগণ আমাদের ভোট দেয় ৫ বছর পরপর। তারা শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে চাই। ছেলে মেয়ে নিয়ে সম্মানজনকভাবে বসবাস করতে চাই। জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন এটার নিশ্চয়তা দেবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু এবং মাদক জনগণ চায় না। এটা নির্মূল করতে হলে প্রশাসন যদি বলেন, কারা এগুলো করে আমরা জানি না। এইটা একটা ভুল ও মিথ্যা কথা বলা হবে। মাদক নির্মূল যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে চাই তাহলে কিভাবে এই মাদকের ব্যবসা কিভাবে করে? তাদের পরিচয় কি ও শেল্টার দেয় কারা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাদেরকে শেল্টার দেন। আমরা মাদকের ব্যাপারে জিরোটলারেন্স এই কথাটা বারবার বলি কিন্তু তারপরও মাদক আজকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একটা ব্যাধি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে এ ধরনের লোককে দলে পুষতে হবে কেন। যারা পোষে আমি তাদের ঘৃণা করি। তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মেয়র, একটি এলাকার ২০ বছর ধরে এমপি ছিলাম। এই পর্যন্ত আমি কোনও থানার ওসিকে বলি নাই অমুককে ধরেন, অমুককে ছাড়েন। সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যু, জঙ্গী ও চাঁদাবাজরা অমানুষ। এ ধরনের লোক দিয়ে রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। আমি তাদেরকে মানুষ মনে করি না।

মতবিনিময় সভায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হকসহ, কেএমপি’র শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা, দৌলতপুর এবং খান জাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ, খুলনা-৩ আসনের আওতাভুক্ত দৌলতপুর এবং খানজাহানআলী থানার ওয়ার্ড কমিশনারবৃন্দ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকলে একট্টা হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।