০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
‘অগ্নিঝরা মার্চ’র ১৭তম দিন:

মুজিব- ইয়াহিয়ার বৈঠক ভেঙে যাওয়ায় দেশবাসীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহবান ছাত্র নেতৃবৃন্দের

###    ১৯৭১ ‘অগ্নিঝরা মার্চ’র ১৭তম দিন । অগ্নিঝরা মার্চ বাঙালির যৌক্তিক স্বপ্নপুুরণের স্বাধীনতার মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’র মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু। স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৯৭১ সালের এই মার্চেই রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে, একাত্তরের মার্চ মাসের দিনগুলো ছিল থমথমে, উৎকণ্ঠা, শঙ্কায় পরিপূর্ণ। চাপা উদ্বেগ, অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি। অবরুদ্ধ গণমানুষ ইতোমধ্যে প্রস্তুত চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য। লক্ষ্য একটাই, নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা। স্বাধীনতাকামী বাঙালির ঐক্য সুদৃঢ় হচ্ছিল প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের ‘স্বাধীনতা’র দুর্বার আকাঙ্খার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। বাংগালীর ইতিহাসের ৭১’র আজকের দিনের ঘটনাপ্রবাহে দেখা যায় শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইয়াহিয়ার দ্বিতীয় দফা বৈঠক সম্পন্ন। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর; জনগণকে ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকার নতুন নির্দেশনা দেন। বাঙালি হত্যার নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চূড়ান্ত করা হয় ৭১’র আজকের দিনে। একাত্তরের মার্চের প্রতিটি দিনই কাটছিল আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আজকের দিনে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে টানা ১৪ তম দিনের মতো অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত থাকে। এদিন কঠোর নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু-ইয়াহিয়া খানের দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে প্রায় একঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক চলে। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু জনগণের গণতান্ত্রিক রায়ের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং ছয় দফার ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়নের প্রশ্নে অটল থাকেন। অন্যদিকে ইয়াহিয়া খান জনগণের ভোটে নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানান। ফলে বৈঠক অসমাপ্ত রেখে এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও ইয়াহিয়া খানের মধ্যে আলোচনা ভেঙে যায়। বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর গাড়ি বের হয়ে আসেন। আগের মতোই তার সাদা গাড়ির এক পাশে কালো পতাকা এবং অপর পাশে শোভা পাচ্ছিল বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মানচিত্রখোচিত পতাকা। বঙ্গবন্ধু গাড়ি সাংবাদিকরা ঘিওে ধরেন। তখর গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু। আলোচনার ফলাফল সম্পকে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন,  ‘আলোচনার ফলাফল বলার সময় আসেনি।’ এর পরই ‘সংগ্রাম জোরদার হতে পারে।’ ইয়াহিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বৈঠক ভেঙে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে জনতার ঢল। বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্র নেতারা স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করে বলেন, ‘বাংলার মানুষ এখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। আর কোনো বৈঠক দরকার নেই। স্বাধীনতা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।’ অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ময়দানসহ বিভিন্ন এলাকায় কুচকাওয়াজ ও রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে ‘প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ উপলক্ষে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতারা ওইদিন সকাল ৬টায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সকল প্রকার যানবাহনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন, প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জয় বাংলা বাহিনীর কুচকাওয়াজ এবং বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় ছাত্র-জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে।

একাত্তরের আজকের দিনেই টিক্কা খান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত নৃশংস কার্যকলাপের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিলে বঙ্গবন্ধু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘সামরিক কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত তদন্ত কমিশন মানি না।’ এদিন গভীর রাতে ঢাকায় পাকিস্তানী জেনারেলদের গোপন বৈঠক বসে। মূলত ইয়াহিয়া খানের আলোচনা নাটকের আড়ালেই চলতে থাকে ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা। এ রাতেই প্রেসিডেন্ট ভবনে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে টিক্কা খানের বৈঠক হয়। গভীর রাতেই জেনারেল খাদেম হোসেন রাজাকে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকায় সামরিক জান্তার বৈঠকে বাঙালি হত্যার নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চূড়ান্ত করা হয় আজকের দিনে। বাঙালীকে দমিয়ে রাখতে দীর্ঘ সময় ধরে সব ধরণের ষড়যন্ত্রেরই আশ্রয় নেয় সামরিক জান্তা। কিন্তু বলাই বাহুল্য, এদেশের মানুষকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করতে না পেওে পাক জান্তা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। একাত্তরের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মিছিল করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনে গিয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানায়।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

‘অগ্নিঝরা মার্চ’র ১৭তম দিন:

মুজিব- ইয়াহিয়ার বৈঠক ভেঙে যাওয়ায় দেশবাসীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহবান ছাত্র নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত সময় : ১০:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

###    ১৯৭১ ‘অগ্নিঝরা মার্চ’র ১৭তম দিন । অগ্নিঝরা মার্চ বাঙালির যৌক্তিক স্বপ্নপুুরণের স্বাধীনতার মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’র মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু। স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৯৭১ সালের এই মার্চেই রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে, একাত্তরের মার্চ মাসের দিনগুলো ছিল থমথমে, উৎকণ্ঠা, শঙ্কায় পরিপূর্ণ। চাপা উদ্বেগ, অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি। অবরুদ্ধ গণমানুষ ইতোমধ্যে প্রস্তুত চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য। লক্ষ্য একটাই, নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা। স্বাধীনতাকামী বাঙালির ঐক্য সুদৃঢ় হচ্ছিল প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের ‘স্বাধীনতা’র দুর্বার আকাঙ্খার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। বাংগালীর ইতিহাসের ৭১’র আজকের দিনের ঘটনাপ্রবাহে দেখা যায় শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইয়াহিয়ার দ্বিতীয় দফা বৈঠক সম্পন্ন। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর; জনগণকে ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকার নতুন নির্দেশনা দেন। বাঙালি হত্যার নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চূড়ান্ত করা হয় ৭১’র আজকের দিনে। একাত্তরের মার্চের প্রতিটি দিনই কাটছিল আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আজকের দিনে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে টানা ১৪ তম দিনের মতো অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত থাকে। এদিন কঠোর নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু-ইয়াহিয়া খানের দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে প্রায় একঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক চলে। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু জনগণের গণতান্ত্রিক রায়ের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং ছয় দফার ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়নের প্রশ্নে অটল থাকেন। অন্যদিকে ইয়াহিয়া খান জনগণের ভোটে নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানান। ফলে বৈঠক অসমাপ্ত রেখে এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও ইয়াহিয়া খানের মধ্যে আলোচনা ভেঙে যায়। বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর গাড়ি বের হয়ে আসেন। আগের মতোই তার সাদা গাড়ির এক পাশে কালো পতাকা এবং অপর পাশে শোভা পাচ্ছিল বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মানচিত্রখোচিত পতাকা। বঙ্গবন্ধু গাড়ি সাংবাদিকরা ঘিওে ধরেন। তখর গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু। আলোচনার ফলাফল সম্পকে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন,  ‘আলোচনার ফলাফল বলার সময় আসেনি।’ এর পরই ‘সংগ্রাম জোরদার হতে পারে।’ ইয়াহিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বৈঠক ভেঙে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে জনতার ঢল। বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্র নেতারা স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করে বলেন, ‘বাংলার মানুষ এখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। আর কোনো বৈঠক দরকার নেই। স্বাধীনতা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।’ অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ময়দানসহ বিভিন্ন এলাকায় কুচকাওয়াজ ও রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে ‘প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ উপলক্ষে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতারা ওইদিন সকাল ৬টায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সকল প্রকার যানবাহনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন, প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জয় বাংলা বাহিনীর কুচকাওয়াজ এবং বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় ছাত্র-জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে।

একাত্তরের আজকের দিনেই টিক্কা খান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত নৃশংস কার্যকলাপের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিলে বঙ্গবন্ধু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘সামরিক কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত তদন্ত কমিশন মানি না।’ এদিন গভীর রাতে ঢাকায় পাকিস্তানী জেনারেলদের গোপন বৈঠক বসে। মূলত ইয়াহিয়া খানের আলোচনা নাটকের আড়ালেই চলতে থাকে ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা। এ রাতেই প্রেসিডেন্ট ভবনে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে টিক্কা খানের বৈঠক হয়। গভীর রাতেই জেনারেল খাদেম হোসেন রাজাকে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকায় সামরিক জান্তার বৈঠকে বাঙালি হত্যার নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চূড়ান্ত করা হয় আজকের দিনে। বাঙালীকে দমিয়ে রাখতে দীর্ঘ সময় ধরে সব ধরণের ষড়যন্ত্রেরই আশ্রয় নেয় সামরিক জান্তা। কিন্তু বলাই বাহুল্য, এদেশের মানুষকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করতে না পেওে পাক জান্তা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। একাত্তরের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মিছিল করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনে গিয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানায়।##