০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় শেষ মুহূর্তে জমজমাট ফলের বাজার

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ১০:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • ২৯ পড়েছেন

 

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক মোংলা প্রতিনিধি :

মোংলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ফলের বাজার । প্রতিদিনই ক্রেতা বিক্রেতাদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার। বিক্রেতারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আম, কাঁঠাল’সহ বিভিন্ন ফল ক্রয় করে বিক্রি করতে আসছেন হাট বাজার’সহ গ্রাম অঞ্চলে। কেউ নিজেদের উৎপাদিত আম, কাঁঠাল’সহ বিভিন্ন ফল নিয়ে বাজার ও গ্রাম অঞ্চলে আসছেন, আবার কেউ বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা ক্রয় করে পাইকারী বিক্রি করতে আসছেন।

মোংলা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারি – সারি অটোরিক্সা, ভ্যানগাড়ি ও ভটভটিতে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে কাঁঠাল’সহ হরেক রকমের ফল। এবং ছোট-বড় মাঝারি সব সাইজের কাঁঠালে ভরে গেছে মোংলা উপজেলার প্রতিটা হাট বাজার।

ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর আম ও কাঁঠালের দাম অন্যান্য ফলের দামের চেয়ে একটু বেশি।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামের হানিফা শেখ নামের এক আম ক্রেতা বলেন, সব জাতের আমই বাজারে এখন আসছে। কিন্তু মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তো কেউ কিনতে পারছে না। এই আমার কথাই ধরুন, আমি যেখানে পাঁচ কেজি আম না কিনলে আমার পরিবারের হয় না, সেখানে আমাকে দুই কেজি কিনতে হচ্ছে। আমার চাহিদার অর্ধেকও পূরণ হচ্ছে না। আমের দাম যদি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজির মধ্যে রাখা যেতো তাহলে আর এই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়হীনতাটা হতো না।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ গ্রামের অপূর্ব চৌধুরী বলেন, প্রতি বছরের চেয়ে এবার প্রতিটা জিনিসের দাম একটু বেশি । গত বছর যা কিনেছি ১০০টাকায়, তা এ বছর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে । সবকিছুতে যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে সিজোনাল ফল খাওয়া নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে । আমাদের দেশের কাঁঠাল ও আম আমরাই কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছি। অদূর ভবিষ্যতে ইলিশের মতো আমও দুর্লভ ফলে পরিণত হবে । এক কেজি আমের যদি এতো দাম হয় তাহলে মানুষ কিনবে কীভাবে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের সুশান্ত মন্ডল (নায়েব) নামের এক কাঁঠাল ও আম বিক্রেতা বলেন,

আমরা যে দামে আম ও কাঁঠাল কিনে আনি তার চেয়ে অল্প কিছু বেশি লাভ করেই বিক্রি করে দেই। এই আম ও কাঁঠাল নষ্ট হয় তাতে লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে আসে। আমাদের হাতে ফলের দাম বাড়ানো, কমানোর কিছু নেই।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আম ও কাঁঠাল তো আমাদেরই দেশের ফল। এরপরেও বাজারে গতবারের তুলনায় দামটা একটু বেশি। গাড়ি ভাড়া ও মধ্যস্থতাভোগী দালাল চক্রের কারণে আমাদের লাভ করা মুস্কিল হয়ে পড়েছে। তবে দাম বেশি হলেও ক্রেতার অভাব নেই । ফলের দাম অতিরিক্ত বাড়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন মহল । #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মোংলায় শেষ মুহূর্তে জমজমাট ফলের বাজার

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

 

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক মোংলা প্রতিনিধি :

মোংলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ফলের বাজার । প্রতিদিনই ক্রেতা বিক্রেতাদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার। বিক্রেতারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আম, কাঁঠাল’সহ বিভিন্ন ফল ক্রয় করে বিক্রি করতে আসছেন হাট বাজার’সহ গ্রাম অঞ্চলে। কেউ নিজেদের উৎপাদিত আম, কাঁঠাল’সহ বিভিন্ন ফল নিয়ে বাজার ও গ্রাম অঞ্চলে আসছেন, আবার কেউ বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা ক্রয় করে পাইকারী বিক্রি করতে আসছেন।

মোংলা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারি – সারি অটোরিক্সা, ভ্যানগাড়ি ও ভটভটিতে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে কাঁঠাল’সহ হরেক রকমের ফল। এবং ছোট-বড় মাঝারি সব সাইজের কাঁঠালে ভরে গেছে মোংলা উপজেলার প্রতিটা হাট বাজার।

ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর আম ও কাঁঠালের দাম অন্যান্য ফলের দামের চেয়ে একটু বেশি।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামের হানিফা শেখ নামের এক আম ক্রেতা বলেন, সব জাতের আমই বাজারে এখন আসছে। কিন্তু মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তো কেউ কিনতে পারছে না। এই আমার কথাই ধরুন, আমি যেখানে পাঁচ কেজি আম না কিনলে আমার পরিবারের হয় না, সেখানে আমাকে দুই কেজি কিনতে হচ্ছে। আমার চাহিদার অর্ধেকও পূরণ হচ্ছে না। আমের দাম যদি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজির মধ্যে রাখা যেতো তাহলে আর এই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়হীনতাটা হতো না।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ গ্রামের অপূর্ব চৌধুরী বলেন, প্রতি বছরের চেয়ে এবার প্রতিটা জিনিসের দাম একটু বেশি । গত বছর যা কিনেছি ১০০টাকায়, তা এ বছর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে । সবকিছুতে যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে সিজোনাল ফল খাওয়া নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে । আমাদের দেশের কাঁঠাল ও আম আমরাই কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছি। অদূর ভবিষ্যতে ইলিশের মতো আমও দুর্লভ ফলে পরিণত হবে । এক কেজি আমের যদি এতো দাম হয় তাহলে মানুষ কিনবে কীভাবে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের সুশান্ত মন্ডল (নায়েব) নামের এক কাঁঠাল ও আম বিক্রেতা বলেন,

আমরা যে দামে আম ও কাঁঠাল কিনে আনি তার চেয়ে অল্প কিছু বেশি লাভ করেই বিক্রি করে দেই। এই আম ও কাঁঠাল নষ্ট হয় তাতে লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে আসে। আমাদের হাতে ফলের দাম বাড়ানো, কমানোর কিছু নেই।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আম ও কাঁঠাল তো আমাদেরই দেশের ফল। এরপরেও বাজারে গতবারের তুলনায় দামটা একটু বেশি। গাড়ি ভাড়া ও মধ্যস্থতাভোগী দালাল চক্রের কারণে আমাদের লাভ করা মুস্কিল হয়ে পড়েছে। তবে দাম বেশি হলেও ক্রেতার অভাব নেই । ফলের দাম অতিরিক্ত বাড়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন মহল । #