০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় সম্পত্তির সকল কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রতারণার শিকার মেয়ে ।

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৬:০৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৪৯ পড়েছেন

 

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক মোংলা বাগেরহাট :
মোংলায় মায়ের দেওয়া সম্পত্তির সকল কাগজ পত্র থাকা সত্ত্বেও সম্পত্তি থেকে মেয়েকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে আপন পিতা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

মোংলা সহকারী পুলিশ সুপারের দপ্তরে দায়ের করা অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, মোংলা উপজেলার দিগরাজ কাপালিরমেঠ এলাকার বাসিন্দা মোঃ আবুল কালাম আজাদের মেয়ে ইলোরা আজাদ মৌসুমি। তার মায়ের দেওয়া সম্পত্তি জে,এল নং -বি, আর,এস-০৪ নং বুড়িরডাঙ্গা মৌজায় বি,আর,এস খতিয়ান নং-৮২ স্থলে খারিজ ৭০৪ স্থলে খারিজ ১৬৭৬ দাগ নং বি,আর,এস-১০৪৬,১১৮০ ও ১১৮১ তাহার মধ্য হইতে তার নিজ হেবার ঘোষণাকৃত জায়গার মধ্যে ০ দশমিক ৫২০০ একর অংশ জমির প্রাপ্য দলিল করে বুঝিয়ে দেয় তার মা। কিন্তু ইলোরা আজাদ মৌসুমীর আপন পিতা ও ছোটো ভাই সম্পত্তির ভাগ বুঝিয়ে না দিয়ে ভোগদখলে রেখেছেন। এ নিয়ে ইলোরা আজাদ মৌসুমী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দ্বারে – দ্বারে ঘুরে সমস্যা সমাধান না পেয়ে উপজেলা নিরর্বাহী অফিসার ও মোংলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের দপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ইলোরা আজাদ মৌসুমী অভিযোগে বলেন, আমার মায়ের দেওয়া দলিলকৃত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করছেন আমার আপন পিতা ও ছোটো ভাই। তারা আমার প্রাপ্য ভূমি দীর্ঘদিন জোর করে ভোগদখল করে আসছেন।

মোংলা সহকারী পুলিশ সুপারের দপ্তরে অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দিগরাজ এলাকার কাপালিরমেঠ গ্রামের বাসিন্দা ১’নং বিবাদী মোঃ আবুল কালাম আজাদ একজন দুর্ধর্ষ ভূমিদস্য । তিনি মোংলা বন্দরে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন । কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কায়দায় ঘুসের টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন । সরকারকে কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে । অপরদিকে তার ছেলে এ কে এম মইনুল হাসান তুহিন, নিটল টাটা কোম্পানিতে চাকুরি করা অবস্থায় অফিসের পাঞ্চ মেশিন চুরি করে নিজ বাসায় রাখার অপরাধে তাকে চাকুরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তুহিন বিবাহ করে এবং তালাক দেয় এভাবে একাধিক বিবাহ আছে তার । নারী ঘটিত অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধে এলাকার সাবেক শফি মেম্বার তাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন । উল্লেখ্য গত ২০২৩ সালের জুন মাসে মৌসুমীর মা তার নামে ৫২ শতক জমি দলিল করে দেয়। ওই জমিতে ঘর উঠিয়ে ভাড়াও দেন মৌসুমী । কিন্তু ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে জোরপূর্বক ওই ভাড়াটিয়া নামিয়ে দেয় তার পিতা এবং ভাই । ওই সময়ে তার একটি রুমে থাকার সইকৃত চেক বই নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা । এ ব্যাপারে মোংলা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । তার ভাই এবং পিতা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু এবং দুষ্কৃতিকারী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মৌসুমী । এ বিষয়ে বিবাদী মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং মইনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি ।
এ ব্যাপারে মোংলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

 

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

চিতলমারীতে অবঃ পুলিশ অফিসারকে কুপিয়ে রক্তাত্ত জখম করেছে দুর্বৃত্তরা

মোংলায় সম্পত্তির সকল কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রতারণার শিকার মেয়ে ।

প্রকাশিত সময় : ০৬:০৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

 

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক মোংলা বাগেরহাট :
মোংলায় মায়ের দেওয়া সম্পত্তির সকল কাগজ পত্র থাকা সত্ত্বেও সম্পত্তি থেকে মেয়েকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে আপন পিতা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

মোংলা সহকারী পুলিশ সুপারের দপ্তরে দায়ের করা অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, মোংলা উপজেলার দিগরাজ কাপালিরমেঠ এলাকার বাসিন্দা মোঃ আবুল কালাম আজাদের মেয়ে ইলোরা আজাদ মৌসুমি। তার মায়ের দেওয়া সম্পত্তি জে,এল নং -বি, আর,এস-০৪ নং বুড়িরডাঙ্গা মৌজায় বি,আর,এস খতিয়ান নং-৮২ স্থলে খারিজ ৭০৪ স্থলে খারিজ ১৬৭৬ দাগ নং বি,আর,এস-১০৪৬,১১৮০ ও ১১৮১ তাহার মধ্য হইতে তার নিজ হেবার ঘোষণাকৃত জায়গার মধ্যে ০ দশমিক ৫২০০ একর অংশ জমির প্রাপ্য দলিল করে বুঝিয়ে দেয় তার মা। কিন্তু ইলোরা আজাদ মৌসুমীর আপন পিতা ও ছোটো ভাই সম্পত্তির ভাগ বুঝিয়ে না দিয়ে ভোগদখলে রেখেছেন। এ নিয়ে ইলোরা আজাদ মৌসুমী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দ্বারে – দ্বারে ঘুরে সমস্যা সমাধান না পেয়ে উপজেলা নিরর্বাহী অফিসার ও মোংলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের দপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ইলোরা আজাদ মৌসুমী অভিযোগে বলেন, আমার মায়ের দেওয়া দলিলকৃত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করছেন আমার আপন পিতা ও ছোটো ভাই। তারা আমার প্রাপ্য ভূমি দীর্ঘদিন জোর করে ভোগদখল করে আসছেন।

মোংলা সহকারী পুলিশ সুপারের দপ্তরে অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দিগরাজ এলাকার কাপালিরমেঠ গ্রামের বাসিন্দা ১’নং বিবাদী মোঃ আবুল কালাম আজাদ একজন দুর্ধর্ষ ভূমিদস্য । তিনি মোংলা বন্দরে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন । কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কায়দায় ঘুসের টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন । সরকারকে কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে । অপরদিকে তার ছেলে এ কে এম মইনুল হাসান তুহিন, নিটল টাটা কোম্পানিতে চাকুরি করা অবস্থায় অফিসের পাঞ্চ মেশিন চুরি করে নিজ বাসায় রাখার অপরাধে তাকে চাকুরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তুহিন বিবাহ করে এবং তালাক দেয় এভাবে একাধিক বিবাহ আছে তার । নারী ঘটিত অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধে এলাকার সাবেক শফি মেম্বার তাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন । উল্লেখ্য গত ২০২৩ সালের জুন মাসে মৌসুমীর মা তার নামে ৫২ শতক জমি দলিল করে দেয়। ওই জমিতে ঘর উঠিয়ে ভাড়াও দেন মৌসুমী । কিন্তু ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে জোরপূর্বক ওই ভাড়াটিয়া নামিয়ে দেয় তার পিতা এবং ভাই । ওই সময়ে তার একটি রুমে থাকার সইকৃত চেক বই নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা । এ ব্যাপারে মোংলা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । তার ভাই এবং পিতা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু এবং দুষ্কৃতিকারী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মৌসুমী । এ বিষয়ে বিবাদী মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং মইনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি ।
এ ব্যাপারে মোংলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।