০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলার চিলা মিলটন নাথের বাড়ী থেকে উত্তোলন করা হলো মাহে আলম’র মরদেহ

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৩:২৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • ৯৯ পড়েছেন

 

মোংলা প্রতিনিধি,
অবশেষে ৭ মাসেরও বেশি সময় পর আদালতের নির্দেশে মোংলা উপজেলার চিলা এলাকায় খৃষ্ঠান সম্প্রদায়ের নিয়মনীতি মেনে হিলটন নাথ দাবী করে সমাহিত করা মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ২টায় মরদেহটি মোংলা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়ে। এর আগে গেল ৮ নভেম্বর হিল্টন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহ উদ্ধার করে মাহে আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক খোকন হোসেন।
থানা পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানাযায়, গেল ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয় চিলা এলাকার হিলটন নাথ। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ ময়নাতন্দন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা মরদেহটি তার কাছে হস্তান্তর করে।পরে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের নিয়মনীতি মেনে ওই দিন সমাহিত করা হয় মরদেহটি। এর পর হিলটন নাথ হত্যার বিষয়ে খুলনার দাকোপে এবং মাহে আলম নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়।
পরে নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত হিলটন হিসেবে সমাহিত মরদেহটির ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গেল ১ আগস্ট প্রকাশিত “ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মরদেহ হিলটন নাথের নয়। অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা। অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র”। তবে সুন্দরবনে নিখোজ হিল্টন নাথ কি হল, সে কি বেঁচে আছে, না মারা গেছে, মারা গেলে তার মরদেহ কি হয়েছে এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে মোংলা জুড়ে।
মাহে আলমের ছেলে সোহেল রানা জানান, মুসলিম রীতি অনুযায়ী আজ সোমবার(২০ নভেম্বর) বিকাল ৫ টায় মোংলায় জানাজা শেষে দাফন করা হবে তার বাবার মরদেহ।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সামছউদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা মরদেহ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। মোংলা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মাহে আলমের পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হবে।#

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

মোংলার চিলা মিলটন নাথের বাড়ী থেকে উত্তোলন করা হলো মাহে আলম’র মরদেহ

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

 

মোংলা প্রতিনিধি,
অবশেষে ৭ মাসেরও বেশি সময় পর আদালতের নির্দেশে মোংলা উপজেলার চিলা এলাকায় খৃষ্ঠান সম্প্রদায়ের নিয়মনীতি মেনে হিলটন নাথ দাবী করে সমাহিত করা মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ২টায় মরদেহটি মোংলা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়ে। এর আগে গেল ৮ নভেম্বর হিল্টন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহ উদ্ধার করে মাহে আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক খোকন হোসেন।
থানা পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানাযায়, গেল ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয় চিলা এলাকার হিলটন নাথ। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ ময়নাতন্দন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা মরদেহটি তার কাছে হস্তান্তর করে।পরে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের নিয়মনীতি মেনে ওই দিন সমাহিত করা হয় মরদেহটি। এর পর হিলটন নাথ হত্যার বিষয়ে খুলনার দাকোপে এবং মাহে আলম নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়।
পরে নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত হিলটন হিসেবে সমাহিত মরদেহটির ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গেল ১ আগস্ট প্রকাশিত “ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মরদেহ হিলটন নাথের নয়। অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা। অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র”। তবে সুন্দরবনে নিখোজ হিল্টন নাথ কি হল, সে কি বেঁচে আছে, না মারা গেছে, মারা গেলে তার মরদেহ কি হয়েছে এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে মোংলা জুড়ে।
মাহে আলমের ছেলে সোহেল রানা জানান, মুসলিম রীতি অনুযায়ী আজ সোমবার(২০ নভেম্বর) বিকাল ৫ টায় মোংলায় জানাজা শেষে দাফন করা হবে তার বাবার মরদেহ।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সামছউদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা মরদেহ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। মোংলা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মাহে আলমের পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হবে।#