০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলা পোর্ট পৌর সভার সচিবের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি অনিময় ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

####
মোংলা পোর্ট পৌর সভার সচিব অমল কৃষ সাহার বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি অনিময় ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন একই স্থানে কর্মস্থল থাকায় অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি বানিজ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এমনকি পৌর সভার রাস্তা-ঘাট ও উন্নয়ন কাজে পছন্দের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তার গোপন সমঝতা। ওই ঠিকাদারকে পক্ষে তদ্বির সহ কাজ ভাগিয়ে নেয়া ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন পৌর কাউন্সিলরা। আর এ নিয়ে কাউন্সিলরদের যৌথ স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে। এ অভিযোগে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রæত অপসারনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে মোংলা পোর্ট পৌর সভায় সচিব হিসেবে যোগদান করেন অমল কৃষ সাহা। শিল্পাঞ্চল ও জনবহুল এ পৌর সভায় যোগদানের পর থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা কর্মকান্ডে। স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি বিধি নিষেধ পরিপন্থি কার্যকলাপ, অসাধুপায়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহন ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহন ও নিয়োগ বানিজ্য এবং স্বজনপ্রীতির বিস্তার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া টানা প্রায় ১০ বছর সচিবের দায়িত্বে থাকায় পদোন্নতি ও মাস্টার রোলে কর্মচারী নিয়োগ বানিজ্যে লাখা লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অমান্য করে খামখেয়ালী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার নানা অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রনালয়ের আদেশ থাকা স্বত্বেও কর্মচারীদের অবসরের পাওনা টাকা প্রদান না করে হয়রানী করা হচ্ছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ কর্মচারীদের সাময়িক ও স্থায়ী বরখাস্তে মদদ দিয়ে অনেককে নিঃস্ব করা হয়েছে। নানা অজুহাতে সেবা গ্রহীতাদের ফাইল আটকে অর্থ বানিজ্যের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থালে থাকায় পৌর ঠিকাদারকের সঙ্গে তার রয়েছে আয় বানিজ্যের গভীর শখ্যতা। প্রকৌশলী শাখায় প্রভাব বিস্তার করে কাজ ভাগিয়ে বারবার একই ঠিকাদার দিয়ে নিজেই অর্থ বানিজ্যে নেমেছেন। পছন্দের ঠিকাদারের একই পে-অডার বিভিন্ন কাজের অনুকুলে সরবরাহ করে পৌর তহবিল থেকে বিল উত্তোলন ও ভাগভাটোয়ারর বিষয়টি পৌর কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের মুখে মুখে।  এমনকি বিগত দিনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সম্মানি ভাতা আটকে দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে পৌর সচিবের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সেবাগ্রহীতা পৌরবাসিকে দাপ্তরিক কাজে নানা অজুহাতে হয়রানী সহ তার লাগামহীন কর্মকান্ড পৌর পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে ক্ষুব্দ পৗর কাউন্সিলররা। গত ৫ মার্চ সচিব অমল কৃষ সাহার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলো প্রশাসক এবং দূর্নীতিদমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পৌর পরিষদ। এতে তার অপসারন দাবি করা হলেও এখন বহাল তবিয়াতে রয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, দূদকের একটি টিম উত্থাপিত অভিযোগের বিষয় খোঁজ খবর নিচ্ছে। তবে কাউন্সিলরদের সঙ্গে সচিবের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান পৌর মেয়র। পৌর সচিব অমল কৃষ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাউন্সিলরদের কেউ কেউ তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে লেগেছেন। #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

মোংলা পোর্ট পৌর সভার সচিবের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি অনিময় ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ০১:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

####
মোংলা পোর্ট পৌর সভার সচিব অমল কৃষ সাহার বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি অনিময় ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন একই স্থানে কর্মস্থল থাকায় অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি বানিজ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এমনকি পৌর সভার রাস্তা-ঘাট ও উন্নয়ন কাজে পছন্দের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তার গোপন সমঝতা। ওই ঠিকাদারকে পক্ষে তদ্বির সহ কাজ ভাগিয়ে নেয়া ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন পৌর কাউন্সিলরা। আর এ নিয়ে কাউন্সিলরদের যৌথ স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে। এ অভিযোগে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রæত অপসারনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে মোংলা পোর্ট পৌর সভায় সচিব হিসেবে যোগদান করেন অমল কৃষ সাহা। শিল্পাঞ্চল ও জনবহুল এ পৌর সভায় যোগদানের পর থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা কর্মকান্ডে। স্বেচ্ছাচারিতা ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি বিধি নিষেধ পরিপন্থি কার্যকলাপ, অসাধুপায়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহন ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহন ও নিয়োগ বানিজ্য এবং স্বজনপ্রীতির বিস্তার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া টানা প্রায় ১০ বছর সচিবের দায়িত্বে থাকায় পদোন্নতি ও মাস্টার রোলে কর্মচারী নিয়োগ বানিজ্যে লাখা লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অমান্য করে খামখেয়ালী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার নানা অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রনালয়ের আদেশ থাকা স্বত্বেও কর্মচারীদের অবসরের পাওনা টাকা প্রদান না করে হয়রানী করা হচ্ছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ কর্মচারীদের সাময়িক ও স্থায়ী বরখাস্তে মদদ দিয়ে অনেককে নিঃস্ব করা হয়েছে। নানা অজুহাতে সেবা গ্রহীতাদের ফাইল আটকে অর্থ বানিজ্যের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থালে থাকায় পৌর ঠিকাদারকের সঙ্গে তার রয়েছে আয় বানিজ্যের গভীর শখ্যতা। প্রকৌশলী শাখায় প্রভাব বিস্তার করে কাজ ভাগিয়ে বারবার একই ঠিকাদার দিয়ে নিজেই অর্থ বানিজ্যে নেমেছেন। পছন্দের ঠিকাদারের একই পে-অডার বিভিন্ন কাজের অনুকুলে সরবরাহ করে পৌর তহবিল থেকে বিল উত্তোলন ও ভাগভাটোয়ারর বিষয়টি পৌর কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের মুখে মুখে।  এমনকি বিগত দিনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সম্মানি ভাতা আটকে দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে পৌর সচিবের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সেবাগ্রহীতা পৌরবাসিকে দাপ্তরিক কাজে নানা অজুহাতে হয়রানী সহ তার লাগামহীন কর্মকান্ড পৌর পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে ক্ষুব্দ পৗর কাউন্সিলররা। গত ৫ মার্চ সচিব অমল কৃষ সাহার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলো প্রশাসক এবং দূর্নীতিদমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পৌর পরিষদ। এতে তার অপসারন দাবি করা হলেও এখন বহাল তবিয়াতে রয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, দূদকের একটি টিম উত্থাপিত অভিযোগের বিষয় খোঁজ খবর নিচ্ছে। তবে কাউন্সিলরদের সঙ্গে সচিবের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান পৌর মেয়র। পৌর সচিব অমল কৃষ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাউন্সিলরদের কেউ কেউ তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে লেগেছেন। #